-
কোনো গুরুতর পাপ করে ফেললে আপনি কী করবেন?চিরকাল জীবন উপভোগ করুন!—ঈশ্বরের কাছ থেকে শিখুন
-
-
৪. গুরুতর পাপ করেছে এমন ব্যক্তিদের প্রতি যিহোবা করুণা দেখান
একজন ব্যক্তি যদি কোনো গুরুতর পাপ করেন আর যিহোবার মান মেনে চলতে না চান, তা হলে তাকে মণ্ডলী থেকে বের করে দেওয়া হয় আর সেই ব্যক্তির সঙ্গে আমরা মেলামেশা করি না। ১ করিন্থীয় ৫:৬, ১১ পদ পড়ুন এবং এরপর এই প্রশ্নটা নিয়ে আলোচনা করুন:
একটুখানি খামির বা ইস্ট, ময়দার পুরো তালকে ফাঁপিয়ে তোলে। একইভাবে, আমরা যদি এমন কোনো ব্যক্তির সঙ্গে মেলামেশা করি, যিনি তার পাপের জন্য অনুতপ্ত নন, তা হলে তা মণ্ডলীর উপর কোন প্রভাব ফেলতে পারে?
যিহোবার করুণাকে অনুকরণ করে প্রাচীনেরা সেইসমস্ত ব্যক্তিদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়, যাদের মণ্ডলী থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। সেই ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই পুনরায় মণ্ডলীতে ফিরে এসেছে। কেন? মণ্ডলী থেকে বের করে দেওয়ার কারণে যদিও তাদের অনেক কষ্ট হয়, কিন্তু এই ব্যবস্থার ফলে তারা তাদের ভুল বুঝতে পারে এবং ফিরে আসে।—গীতসংহিতা ১৪১:৫.
মণ্ডলী থেকে বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা কীভাবে যিহোবার প্রেম, করুণা ও ন্যায়বিচার প্রকাশ করে?
৫. অনুতপ্ত হলে যিহোবা আমাদের ক্ষমা করে দেন
একজন ব্যক্তি যখন অনুতপ্ত হন, তখন যিহোবার কেমন লাগে? এই বিষয়টা বোঝার জন্য যিশুর দেওয়া একটা দৃষ্টান্ত লক্ষ করুন। লূক ১৫:১-৭ পদ পড়ুন এবং এরপর এই প্রশ্নটা নিয়ে আলোচনা করুন:
এই দৃষ্টান্ত যিহোবা সম্বন্ধে আপনাকে কী শেখায়?
যিহিষ্কেল ৩৩:১১ পদ পড়ুন এবং এরপর এই প্রশ্নটা নিয়ে আলোচনা করুন:
-
-
যিহোবার প্রতি অনুগত থাকুনচিরকাল জীবন উপভোগ করুন!—ঈশ্বরের কাছ থেকে শিখুন
-
-
১. কীভাবে কিছু ব্যক্তি যিহোবার প্রতি অনুগত থাকাকে কঠিন করে তুলতে পারে?
কিছু ব্যক্তি চেষ্টা করবে যেন আমরা যিহোবাকে সেবা করা বন্ধ করে দিই। এটা কারা করতে পারে? কিছু ব্যক্তি রয়েছে, যারা সত্য ছেড়ে চলে গিয়েছে আর তারা এখন অন্যদের বিশ্বাস নষ্ট করে দিতে চায়। তাই, তারা সংগঠনের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা ছড়িয়ে থাকে। এই ব্যক্তিদের ধর্মভ্রষ্ট বলা হয়। আবার কিছু ধর্মগুরু রয়েছে, যারা সাক্ষিদের সম্বন্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে থাকে, যাতে মণ্ডলীতে থাকা ব্যক্তিরা সেগুলো বিশ্বাস করে আর সত্য ছেড়ে চলে যায়। আমরা যদি এই ধরনের ব্যক্তিদের সঙ্গে তর্কবিতর্ক করি, তাদের বিভিন্ন পত্রপত্রিকা অথবা ব্লগ পড়ি, তাদের ওয়েবসাইটে যাই কিংবা তাদের কোনো ভিডিও দেখি, তা হলে এটা আমাদের জন্য খুবই বিপদজনক হতে পারে। যিশুর দিনেও কিছু ধর্মগুরু লোকদের যিহোবাকে সেবা করার ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছিল। যিশু তাদের সম্বন্ধে বলেছিলেন, “তাদের নিজেদের মতো থাকতে দাও। তারা তো অন্ধ পথ প্রদর্শক। কোনো অন্ধ যদি অন্ধকে পথ দেখায়, তা হলে উভয়েই গর্তে পড়বে।”—মথি ১৫:১৪.
২. কীভাবে আমাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত দেখাতে পারে, আমরা যিহোবার প্রতি অনুগত রয়েছি?
আমরা যদি যিহোবাকে ভালোবাসি, তা হলে আমরা মিথ্যা ধর্মের সঙ্গে কোনোরকম সম্পর্ক রাখব না। তাই, আমাদের চিন্তা করতে হবে, আমরা যে-চাকরি করি অথবা যে-সংগঠন বা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি কিংবা অন্য যা-কিছুই করি না কেন, সেটার সঙ্গে মিথ্যা ধর্মের কি কোনো সম্পর্ক রয়েছে? যিহোবা আমাদের সাবধান করে বলেন, “হে আমার লোকেরা, তোমরা [মহতী বাবিলের] মধ্য থেকে বের হয়ে এসো।”—প্রকাশিত বাক্য ১৮:২, ৪.
গভীরভাবে গবেষণা করুন
আমরা যেকোনো পরিস্থিতিতে যিহোবার প্রতি অনুগত থাকতে চাই। কিন্তু, আমরা কী করতে পারি, যাতে কেউ আমাদের এই ইচ্ছাকে দুর্বল করে দিতে না পারে? আর কীভাবে আমরা মহতী বাবিল থেকে বেরিয়ে এসে দেখাতে পারি যে, আমরা যিহোবার প্রতি অনুগত রয়েছি? আসুন তা জানি।
৩. মিথ্যা শিক্ষকদের কাছ থেকে সাবধান থাকুন
যিহোবার সংগঠন সম্বন্ধে কেউ যখন আমাদের কোনো খারাপ কথা বলে, তখন আমাদের কী করা উচিত? হিতোপদেশ ১৪:১৫ পদ পড়ুন এবং এরপর এই প্রশ্নটা নিয়ে আলোচনা করুন:
কেন আমাদের সমস্ত কথা অন্ধের মতো বিশ্বাস করা উচিত নয়?
২ যোহন ৯-১১ পদ পড়ুন এবং এরপর এই প্রশ্নগুলো নিয়ে আলোচনা করুন:
ধর্মভ্রষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আমাদের কেমন আচরণ করা উচিত?
ধর্মভ্রষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আমরা হয়তো সরাসরি কথা বলি না। কিন্তু, কীভাবে তাদের শিক্ষা আমাদের কাছে পৌঁছে যেতে পারে?
যিহোবা এবং তাঁর সংগঠনের বিরুদ্ধে যে-মিথ্যা কথাগুলো ছড়ানো হয়, সেগুলোর প্রতি আপনি যদি মনোযোগ দেন, তা হলে যিহোবার কেমন লাগবে?
৪. কোনো ভাই অথবা বোন যখন পাপ করেন, তখনও যিহোবার প্রতি অনুগত থাকুন
-