অধ্যায় ১৩
যে-উদ্যাপনগুলো ঈশ্বরকে অসন্তুষ্ট করে
“প্রভুর প্রীতিজনক কি, তাহার পরীক্ষা কর।”—ইফিষীয় ৫:১০.
১. যিহোবা কোন ধরনের লোকেদের তাঁর প্রতি আকর্ষণ করেন আর কেন তাদের আধ্যাত্মিকভাবে সতর্ক থাকতে হবে?
“প্রকৃত ভজনাকারীরা,” যিশু বলেছিলেন, “আত্মায় ও সত্যে পিতার ভজনা করিবে; কারণ বাস্তবিক পিতা এইরূপ ভজনাকারীদেরই অন্বেষণ করেন।” (যোহন ৪:২৩) যিহোবা যখন এইরকম ব্যক্তিদের খুঁজে পান—যেমনটা তিনি আপনাকে পেয়েছেন—তখন তিনি তাদেরকে নিজের প্রতি ও তাঁর পুত্রের প্রতি আকর্ষণ করেন। (যোহন ৬:৪৪) এটা কতই-না সম্মানের এক বিষয়! কিন্তু, বাইবেলের সত্যের প্রেমিকদের ‘প্রভুর প্রীতিজনক কি, তাহার পরীক্ষা করিয়া’ চলতে হবে কারণ শয়তান হল এক সুনিপুণ প্রতারক।—ইফিষীয় ৫:১০; প্রকাশিত বাক্য ১২:৯.
২. যারা সত্য ধর্মকে মিথ্যা ধর্মের সঙ্গে মিশ্রিত করার চেষ্টা করে, তাদেরকে যিহোবা কোন দৃষ্টিতে দেখেন, তা ব্যাখ্যা করুন।
২ সীনয় পর্বতের কাছে ইস্রায়েলীয়রা যখন হারোণকে তাদের জন্য এক দেবতা নির্মাণ করে দিতে বলেছিল, তখন কী ঘটেছিল, তা বিবেচনা করুন। হারোণ এতে রাজি হয়েছিলেন এবং একটা সোনার বাছুর তৈরি করে দিয়েছিলেন তবে বলেছিলেন যে, এটা যিহোবাকে প্রতিনিধিত্ব করে। “কল্য সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসব হইবে,” তিনি বলেছিলেন। সত্য ধর্মের সঙ্গে মিথ্যা ধর্মের এই মিশ্রণের ব্যাপারে যিহোবা কি উদাসীন ছিলেন? না। তিনি প্রায় ৩,০০০ প্রতিমাপূজককে হত্যা করেছিলেন। (যাত্রাপুস্তক ৩২:১-৬, ১০, ২৮) শিক্ষাটা কী? আমরা যদি নিজেদেরকে ঈশ্বরের প্রেমে রক্ষা করতে চাই, তাহলে আমরা অবশ্যই ‘অশুচি কোন বস্তু স্পর্শ করিব না’ এবং উদ্যোগের সঙ্গে সত্যকে যেকোনো কলুষতা থেকে রক্ষা করব।—যিশাইয় ৫২:১১; যিহিষ্কেল ৪৪:২৩; গালাতীয় ৫:৯.
৩, ৪. জনপ্রিয় প্রথা ও উদ্যাপনগুলো পরীক্ষা করার সময় কেন আমাদের বাইবেলের নীতিগুলোর প্রতি গভীর মনোযোগ দেওয়া উচিত?
৩ দুঃখের বিষয় হল, যে-প্রেরিতরা ধর্মভ্রষ্টতার বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করেছিল, তাদের মৃত্যুর পর নামধারী খ্রিস্টানরা, যাদের সত্যের প্রতি কোনো ভালোবাসাই ছিল না, তারা এমন সব পৌত্তলিক প্রথা, উদ্যাপন ও “পবিত্র” দিন পালন করতে শুরু করেছিল, যেগুলোকে তারা খ্রিস্টীয় হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল। (২ থিষলনীকীয় ২:৭, ১০) আপনি যখন এই উদ্যাপনগুলোর মধ্যে থেকে কয়েকটা বিবেচনা করবেন, তখন লক্ষ করুন যে, কীভাবে সেগুলো ঈশ্বরের আত্মা নয় বরং জগতের আত্মাকে প্রতিফলিত করে। সাধারণভাবে বললে, জাগতিক উদ্যাপনগুলোর এক স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে: সেগুলো মাংসিক আকাঙ্ক্ষার কাছে আবেদন সৃষ্টি করে এবং সেগুলো মিথ্যা ধর্মীয় বিশ্বাস ও প্রেতচর্চাকে—‘মহতী বাবিলের’ শনাক্তকারী চিহ্নকে—তুলে ধরে।a (প্রকাশিত বাক্য ১৮:২-৪, ২৩) এ ছাড়া, এও মনে রাখবেন যে, যিহোবা নিজে সেই জঘন্য পৌত্তলিক ধর্মীয় অভ্যাসগুলো লক্ষ করেছিলেন, যেগুলো থেকে অনেক জনপ্রিয় প্রথার উদ্ভব হয়েছে। কোনো সন্দেহ নেই যে, এই ধরনের উদ্যাপন বর্তমানেও তাঁকে অসন্তুষ্ট করে। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি কি আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হওয়া উচিত নয়?—২ যোহন ৬, ৭.
৪ সত্য খ্রিস্টান হিসেবে আমরা জানি যে, কিছু উদ্যাপন যিহোবাকে সন্তুষ্ট করে না। কিন্তু, সেগুলোর সঙ্গে কোনোরকম সম্পর্ক না রাখার বিষয়ে আমাদের হৃদয় থেকে দৃঢ়ভাবে সংকল্পবদ্ধ হতে হবে। যিহোবা কেন এই ধরনের উদ্যাপনে অসন্তুষ্ট হন, তা পুনর্বিবেচনা করা আমাদের এমন যেকোনোকিছু এড়িয়ে চলার ব্যাপারে আমাদের সংকল্পকে শক্তিশালী করবে, যেগুলো কিনা আমাদেরকে ঈশ্বরের প্রেমে অবস্থিতি করার ক্ষেত্রে বাধা দিতে পারে।
বড়োদিন —সূর্য উপাসনার নতুন নাম
৫. কেন আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে, যিশু ২৫ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেননি?
৫ বাইবেলে যিশুর জন্মদিন উদ্যাপনের বিষয়ে কোনো উল্লেখ নেই। বস্তুতপক্ষে, তাঁর জন্মের সঠিক তারিখ অজানা। তবে, আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে, তিনি ২৫ ডিসেম্বর পৃথিবীর সেই অংশে শীতকালের চরম ঠাণ্ডার মধ্যে জন্মগ্রহণ করেননি।b একটা কারণ হল, লূক লিপিবদ্ধ করেন যে, যখন যিশু জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তখন তাদের পাল চরানোর জন্য “মেষপালকেরা মাঠে অবস্থিতি করিতেছিল।” (লূক ২:৮-১১) ডিসেম্বরের শেষের দিকে বৈৎলেহমে যেহেতু শীতকালের ঠাণ্ডার সময় বৃষ্টি পড়ে ও তুষারপাত হয়, তাই বছরের সেই সময়ে মেষপাল ছাউনির মধ্যে থাকত এবং মেষপালকরা ‘রাত্রিকালে মাঠে’ তাদেরকে চরাতে পারত না। অধিকন্তু, যোষেফ ও মরিয়ম বৈৎলেহমে গিয়েছিল কারণ আগস্ত কৈসর লোকগণনা করার আদেশ দিয়েছিলেন। (লূক ২:১-৭) এইরকম সম্ভাবনা খুবই কম যে, রোমীয় শাসনের প্রতি ক্ষুব্ধ এমন লোকেদেরকে কৈসর শীতকালের চরম ঠাণ্ডার সময় তাদের পূর্বপুরুষদের নগরে যাওয়ার কথা বলবেন।
৬, ৭. (ক) বড়োদিনের অনেক প্রথার উৎস কোথায় পাওয়া যেতে পারে? (খ) বড়োদিনের দান ও খ্রিস্টানদের দানের মধ্যে কোন বৈসাদৃশ্য দেখা যায়?
৬ বড়োদিনের উৎস শাস্ত্রে নয় বরং প্রাচীন পৌত্তলিক উৎসব, যেমন রোমীয় স্যাটারনালিয়ার মধ্যে পাওয়া যায়, যে-উৎসব কৃষি দেবতা স্যাটার্নের উদ্দেশে উৎসর্গীকৃত। একইভাবে, মিথরা দেবতার উপাসকরা তাদের হিসাব অনুযায়ী ২৫ ডিসেম্বরকে “অজেয় সূর্যের জন্মদিন” হিসেবে উদ্যাপন করত, যেমনটা নিউ ক্যাথলিক এনসাইক্লোপিডিয়া বলে। খ্রিস্টের মৃত্যুর প্রায় তিন-শো বছর পর, “বড়োদিন এমন এক সময়ে শুরু হয়েছিল, যখন সূর্যের উপাসনা রোমে বিশেষভাবে দৃঢ় ছিল।”
সত্য খ্রিস্টানরা প্রেমের দ্বারা পরিচালিত হয়ে দান করে থাকে
৭ পৌত্তলিকরা তাদের উদ্যাপনের সময় উপহার বিনিময় করত ও বিরাট ভোজের আয়োজন করত—যে-অভ্যাসগুলো বড়োদিন এখনও ধরে রেখেছে। কিন্তু বর্তমানেও যেমন সত্য, বড়োদিনের বেশিরভাগ দান ২ করিন্থীয় ৯:৭ পদের মনোভাব অনুযায়ী ছিল না, যেখানে লেখা আছে, “প্রত্যেক ব্যক্তি আপন আপন হৃদয়ে যেরূপ সঙ্কল্প করিয়াছে, তদনুসারে দান করুক, মনোদুঃখপূর্ব্বক কিম্বা আবশ্যক বলিয়া না দিউক; কেননা ঈশ্বর হৃষ্টচিত্ত দাতাকে ভাল বাসেন।” সত্য খ্রিস্টানরা প্রেমের দ্বারা পরিচালিত হয়ে দান করে থাকে, তাদের দান একটা নির্ধারিত তারিখের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় আর প্রতিদানে তারা কোনো উপহারও আশা করে না। (লূক ১৪:১২-১৪; পড়ুন, প্রেরিত ২০:৩৫.) অধিকন্তু, বড়োদিনের উন্মত্ততা থেকে স্বাধীন হওয়ায় এবং বছরের সেই সময়টাতে অনেকে আর্থিক ঋণের যে-ভারী বোঝা মাথায় নেয়, তা থেকে মুক্ত হওয়ায় তারা খুবই কৃতজ্ঞ।—মথি ১১:২৮-৩০; যোহন ৮:৩২.
৮. জ্যোতিষীরা কি যিশুকে জন্মদিনের উপহার দিয়েছিল? ব্যাখ্যা করুন।
৮ কিন্তু, কেউ কেউ হয়তো যুক্তি দেখাতে পারে যে, জ্যোতিষীরা কি যিশুকে জন্মদিনের উপহার দেয়নি? না। তাদের উপহার দেওয়া কেবলমাত্র একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তির প্রতি তাদের সম্মান প্রদর্শনের একটা উপায় ছিল, যা বাইবেলের সময়ে একটা সাধারণ প্রথা। (১ রাজাবলি ১০:১, ২, ১০, ১৩; মথি ২:২, ১১) বস্তুত, তারা এমনকী যিশুর জন্মের রাতেই আসেনি। তারা যখন এসে পৌঁছায়, তখন যিশু যাবপাত্রে শোয়ানো কোনো শিশু ছিলেন না বরং তখন তাঁর বয়স অনেক মাস হয়ে গিয়েছিল এবং তিনি একটা বাড়িতে বাস করছিলেন।
জন্মদিন সম্বন্ধে বাইবেল যা বলে
৯. বাইবেলে উল্লেখিত জন্মদিন উদ্যাপনগুলোর তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়টা কী?
৯ যদিও একটি শিশুর জন্ম সবসময়ই অনেক আনন্দের এক কারণ হয়ে থাকে, তবুও বাইবেলে ঈশ্বরের কোনো দাসের জন্মদিন উদ্যাপন সম্বন্ধে কোনো তথ্য নেই। (গীতসংহিতা ১২৭:৩) এটা কি ভুলবশত করা হয়েছে? না, কারণ দুটো জন্মদিন সম্বন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে—একটা হল মিশরের ফরৌণের এবং অন্যটা হেরোদ আন্তিপার। (পড়ুন, আদিপুস্তক ৪০:২০-২২; মার্ক ৬:২১-২৯.) কিন্তু, দুটো ঘটনাকেই অপ্রীতিকর হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে—বিশেষভাবে দ্বিতীয় ঘটনাটা, যেখানে যোহন বাপ্তাইজকের শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল।
১০, ১১. প্রাথমিক খ্রিস্টানরা জন্মদিন উদ্যাপনকে কীভাবে দেখত এবং কেন?
১০ “প্রাথমিক খ্রিস্টানরা কারো জন্মদিন উদ্যাপনকে এক পৌত্তলিক প্রথা হিসেবে বিবেচনা করত,” দ্যা ওয়ার্ল্ড বুক এনসাইক্লোপিডিয়া বলে। উদাহরণ স্বরূপ, প্রাচীন গ্রিকরা বিশ্বাস করত যে, প্রত্যেক ব্যক্তিরই এক সুরক্ষাকারী আত্মা রয়েছে, যা সেই ব্যক্তির জন্মদিনের সময় উপস্থিত থাকে আর এরপর তার উপর নজর রাখে। ওই আত্মার “সেই দেবতার সঙ্গে এক রহস্যময় সম্পর্ক ছিল, যে-দেবতার জন্মদিনে সেই ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করেছে,” জন্মদিন বিষয়ক লোককাহিনী (ইংরেজি) বইটা বলে। এ ছাড়া, জ্যোতিষবিদ্যা ও রাশিচক্রের সঙ্গেও জন্মদিনের দীর্ঘ ও ঘনিষ্ঠ যোগসূত্র রয়েছে।
১১ পৌত্তলিকতা ও প্রেতচর্চা থেকে উদ্ভূত হওয়ার কারণে জন্মদিনের প্রথাগুলোকে প্রত্যাখ্যান করা ছাড়াও, ঈশ্বরের প্রাচীনকালের দাসেরা সম্ভবত তাদের নৈতিক মানের কারণেও সেগুলোকে প্রত্যাখ্যান করত। কেন? সেই নম্র নারী-পুরুষরা জগতে তাদের আগমনকে এতটা গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখত না যে, তা উদ্যাপন করতে হবে।c (মীখা ৬:৮; লূক ৯:৪৮) এর পরিবর্তে, তারা যিহোবাকে গৌরবান্বিত করত এবং মূল্যবান দান জীবনের জন্য তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা দেখাত।d—গীতসংহিতা ৮:৩, ৪; ৩৬:৯; প্রকাশিত বাক্য ৪:১১.
১২. কীভাবে আমাদের জন্মদিন অপেক্ষা মরণদিন ভালো?
১২ মৃত্যুর পর সমস্ত নীতিনিষ্ঠা রক্ষাকারী ব্যক্তি ঈশ্বরের স্মৃতিতে নিরাপদ থাকে এবং তাদের ভবিষ্যৎ জীবন নিশ্চিত থাকে। (ইয়োব ১৪:১৪, ১৫) উপদেশক ৭:১ পদ বলে: “উৎকৃষ্ট তৈল অপেক্ষা সুখ্যাতি ভাল, এবং জন্মদিন অপেক্ষা মরণদিন ভাল।” আমাদের “সুখ্যাতি” হল সেই সুনাম, যা আমরা বিশ্বস্ত সেবার মাধ্যমে ঈশ্বরের কাছে অর্জন করেছি। লক্ষণীয় বিষয়টা হল, খ্রিস্টানদেরকে একমাত্র যে-উদ্যাপন পালন করার আজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, সেটা কোনো জন্মের সঙ্গে নয় বরং মৃত্যুর সঙ্গে যুক্ত—আর তা হল যিশুর মৃত্যু, যাঁর উৎকৃষ্ট ‘নাম’ বা সুখ্যাতি আমাদের পরিত্রাণের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ।—ইব্রীয় ১:৩, ৪; লূক ২২:১৭-২০.
ইস্টার—ছদ্মনামে উর্বরতার উপাসনা
১৩, ১৪. ইস্টারের জনপ্রিয় প্রথাগুলোর উৎস কী?
১৩ যদিও ইস্টারকে খ্রিস্টের পুনরুত্থানের উদ্যাপন হিসেবে তুলে ধরা হয় কিন্তু আসলে এর উৎস মিথ্যা ধর্ম। ইস্টার নামটা আ্যংলো-স্যাক্সনদের উষা ও বসন্তের দেবী ইয়াস্ত্র বা অস্তারার সঙ্গে যুক্ত। আর ডিম কীভাবে ইস্টারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত? ডিম “নতুন জীবন ও পুনরুত্থানের প্রতীক হিসেবে উল্লেখযোগ্য হয়ে এসেছে,” এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা বলে। তাই, ইস্টার আসলে উর্বরতার আচারঅনুষ্ঠান, যা আপাতদৃষ্টিতে খ্রিস্টের পুনরুত্থানের উদ্যাপন হিসেবে ছদ্মনাম ধারণ করেছে।e
১৪ তাঁর পুত্রের পুনরুত্থান উদ্যাপন করার জন্য যিহোবা কি উর্বরতার নোংরা আচারঅনুষ্ঠানের ব্যবহারকে অনুমোদন করবেন? কখনোই না! (২ করিন্থীয় ৬:১৭, ১৮) বস্তুতপক্ষে, শাস্ত্র কখনোই যিশুর পুনরুত্থান উদ্যাপন করার আজ্ঞা দেয়নি বা সেটাকে অনুমোদনও করে না। তাই, ইস্টারের নামে তা করা আরও বড়ো আনুগত্যহীনতার কাজ।
নববর্ষ উদ্যাপন—পুরাতন উৎস থেকে
১৫. নববর্ষ উদ্যাপনগুলোর তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়টা কী?
১৫ নববর্ষ উদ্যাপনগুলোর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত তারিখ ও রীতিনীতিগুলো একেক দেশে একেক রকম হয়ে থাকে। কিন্তু, সেগুলোর উৎস কী? একজন জর্জিয়ান অর্থোডক্স ভিক্ষু সাহসের সঙ্গে তার মন্তব্য ব্যক্ত করেন: “নববর্ষের ছুটির দিনের উৎস হচ্ছে প্রাচীন রোমের বেশ কয়েকটা পৌত্তলিক ছুটির দিন। ১ জানুয়ারি ছিল পৌত্তলিক দেবতা জেনাসের উদ্দেশে উৎসর্গীকৃত এক ছুটির দিন এবং জানুয়ারি মাসের নাম তার নাম থেকে এসেছে। জেনাসের মূর্তির দু-দিকে মুখ রয়েছে, যার অর্থ হল যে সে অতীত এবং বর্তমান উভয়ই দেখতে পারে। কথিত ছিল যে, যারা ১ জানুয়ারিকে মজা, হাসি-তামাশা এবং প্রাচুর্যের সঙ্গে গ্রহণ করবে, তাদের সারা বছর সুখেশান্তিতে কাটবে। আমাদের অনেক সহনাগরিকের নববর্ষ উদ্যাপনের সঙ্গেও এই একই কুসংস্কার যুক্ত রয়েছে। . . . নির্দিষ্ট কিছু পৌত্তলিক ছুটির দিনে লোকেরা দেবতার উদ্দেশে সরাসরি বলি উৎসর্গ করে। কিছু কিছু ছুটির দিন অনৈতিক ধর্মানুষ্ঠান, পারদারিকতা এবং ব্যভিচারের জন্য কুখ্যাত। অন্যান্য সময়ে, উদাহরণ স্বরূপ, জেনাসের ছুটির দিনে মাত্রাতিরিক্ত ভোজন, মদ্যপান করা হয় এবং সব ধরনের অশুচিতা এগুলোর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। অতীতে আমরা যেভাবে নববর্ষ উদ্যাপন করেছি, তা যদি আমরা স্মরণ করি, তাহলে আমাদের স্বীকার করতেই হবে যে, আমরা সকলে এই পৌত্তলিক উদ্যাপনে অংশগ্রহণ করেছি।”
আপনার বিয়েকে অকলুষিত রাখুন
১৬, ১৭. (ক) যে-খ্রিস্টান যুগলরা বিয়ে করার পরিকল্পনা করছে, তাদের কেন বাইবেলের নীতিগুলোর আলোকে স্থানীয় বিয়ের প্রথাগুলো পরীক্ষা করে দেখা উচিত? (খ) চাল অথবা এই ধরনের বিকল্প কিছু ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার ক্ষেত্রে খ্রিস্টানদের কোন বিষয়টা বিবেচনা করা উচিত?
১৬ যে-বিষয়গুলো মহতী বাবিল বা মিথ্যা ধর্মের বিশ্ব সাম্রাজ্যের বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে, সেগুলোর মধ্যে “বর কন্যার রব” রয়েছে বলে বাইবেল উল্লেখ করে। (প্রকাশিত বাক্য ১৮:২৩) কেন? এর আংশিক কারণ হল, মিথ্যা ধর্ম থেকে আসা মায়া বা প্রেতচর্চার অনেক অভ্যাস একটা বিয়েকে বিয়ের দিন থেকেই কলুষিত করতে পারে।
১৭ বিভিন্ন দেশে বিভিন্নরকম প্রথা রয়েছে। কিছু প্রথাকে হয়তো অক্ষতিকর বলে মনে হতে পারে কিন্তু সেগুলোর উৎস হয়তো বাবিলীয় অভ্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে, যেগুলো বিবাহিত দম্পতি বা তাদের অতিথিদের জন্য সৌভাগ্য নিয়ে আসবে বলে মনে করা হয়। (যিশাইয় ৬৫:১১) এইরকম একটা রীতি হল, চাল অথবা এই ধরনের বিকল্প কিছু ছুঁড়ে ফেলা। এই অভ্যাসের উৎস হয়তো এই বিশ্বাসের সঙ্গে যুক্ত যে, খাদ্য মন্দ আত্মাদের শান্ত রাখে এবং তাদেরকে বর ও কনের ক্ষতি করা থেকে রোধ করে। অধিকন্তু, চাল দীর্ঘদিন ধরে রহস্যজনকভাবে উর্বরতা, সুখ ও দীর্ঘায়ুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। স্পষ্টতই, ঈশ্বরের প্রেমে অবস্থিতি করতে চায় এমন সকলে এই ধরনের কলুষিত প্রথা এড়িয়ে চলবে।—পড়ুন, ২ করিন্থীয় ৬:১৪-১৮.
১৮. যে-যুগল বিয়ের পরিকল্পনা করছে এবং যারা বিয়েতে যোগদান করার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছে, তাদের উভয়েরই বাইবেলের কোন নীতিগুলোর দ্বারা নির্দেশনা লাভ করা উচিত?
১৮ যিহোবার দাসেরাও একইভাবে সেই জাগতিক অভ্যাসগুলো থেকে বিরত থাকে, যেগুলো বিয়ে ও বিয়ের অনুষ্ঠানের খ্রিস্টীয় মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করতে পারে ও অন্যদের বিবেককে অসন্তুষ্ট করতে পারে। উদাহরণ স্বরূপ, তারা ক্ষতিকর ব্যঙ্গবিদ্রূপ বা যৌন সংক্রান্ত আজেবাজে মন্তব্য রয়েছে এমন কথাবার্তা বলা এড়িয়ে চলে এবং কাউকে বোকা বানানোর উদ্দেশ্যে চাতুরীপূর্ণ রসিকতা বা মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে, যা কিনা নববিবাহিত দম্পতি বা অন্যদের বিব্রত করতে পারে। (হিতোপদেশ ২৬:১৮, ১৯; লূক ৬:৩১; ১০:২৭) এ ছাড়া, তারা লোকদেখানো ব্যয়বহুল বিয়ের অনুষ্ঠানও এড়িয়ে চলে, যা বিনয়ভাবকে নয় বরং “জীবিকার দর্প” প্রতিফলিত করে। (১ যোহন ২:১৬) আপনি যদি বিয়ের জন্য পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে কখনো ভুলে যাবেন না যে, যিহোবা চান যেন আপনার বিশেষ দিনটা এমন হয়, যা আপনি সবসময় আনন্দের সঙ্গে স্মরণ করবেন, অনুশোচনার সঙ্গে নয়।f
টোস্টিং—এক ধর্মীয় ভঙ্গিমা?
১৯, ২০. টোস্টিংয়ের উৎপত্তি সম্বন্ধে একটা জাগতিক উৎস কী বলে আর কেন এই প্রথা খ্রিস্টানদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়?
১৯ বিয়ে এবং অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানে টোস্টিং বা মদের গ্লাস উপরে তুলে শুভকামনা করা এক সাধারণ অভ্যাস। ১৯৯৫ সালের ইন্টারন্যাশনাল হ্যান্ডবুক অন আ্যলকোহল আ্যন্ড কালচার বলে: “টোস্টিং . . . সম্ভবত প্রাচীনকালে দেব-দেবীর উদ্দেশে বলিদান হিসেবে মদ্যজাতীয় পানীয় ঢালার প্রথার এক অনাধ্যাত্মিক নিদর্শন, যেখানে দেব-দেবীর উদ্দেশে এক পবিত্র তরল পদার্থ উৎসর্গ করা হতো . . . এটার বিনিময়ে এক শুভকামনা অর্থাৎ ‘দীর্ঘজীবি হও!’ অথবা ‘তোমার স্বাস্থ্যের উদ্দেশে!’ এই সংক্ষিপ্ত কথাগুলো বলে এক প্রার্থনা করা হতো।”
২০ এটা ঠিক যে, অনেক লোকই টোস্টিংকে ধর্মীয় বা কুসংস্কারাচ্ছন ভঙ্গিমা বলে মনে করে না। তবুও, মদের গ্লাস উপরের দিকে উঁচু করে ধরার এই প্রথাকে এমন এক উপায়ে আশীর্বাদের জন্য “স্বর্গের”—অতিমানবীয় শক্তির—প্রতি করা এক অনুরোধ হিসেবে দেখা যেতে পারে, যা শাস্ত্রে লিপিবদ্ধ বিষয়বস্তুর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।—যোহন ১৪:৬; ১৬:২৩.g
“সদাপ্রভু-প্রেমিকগণ, দুষ্টতাকে ঘৃণা কর”
২১. যদিও ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে যুক্ত নয়, তবুও কোন জনপ্রিয় উদ্যাপনগুলো খ্রিস্টানদের এড়িয়ে চলা উচিত এবং কেন?
২১ বর্তমান জগতের দ্রুত নীচের দিকে নেমে যাওয়া মানকে—প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মহতী বাবিলের তুলে ধরা প্রবণতাকে—প্রতিফলিত করে কিছু দেশ সেই উৎসবগুলোকে সমর্থন করে থাকে, যে-উৎসবগুলো নোংরা নাচকে উপস্থাপন করে আর এমনকী সমকামী জীবনযাত্রাকে উদ্যাপন করে থাকে। এই ধরনের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া বা সেগুলো দেখা কি সেই ব্যক্তিদের জন্য উপযুক্ত হবে, যারা যিহোবাকে ভালোবাসে? তা করা কি মন্দ বিষয়ের প্রতি প্রকৃত ঘৃণাকে প্রতিফলিত করবে? (গীতসংহিতা ১:১, ২; ৯৭:১০) গীতরচকের এই মনোভাব অনুকরণ করা কতই-না উত্তম হবে, যিনি প্রার্থনা করেছিলেন: “অলীকতা-দর্শন হইতে আমার চক্ষু ফিরাও”!—গীতসংহিতা ১১৯:৩৭.
২২. কখন একজন খ্রিস্টান একটা উদ্যাপনে অংশ নেবেন কী নেবেন না, সেই সম্বন্ধে তার বিবেক অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন?
২২ খ্রিস্টানদের জন্য উপযুক্ত নয় এমন উদ্যাপনগুলোর দিনে একজন খ্রিস্টান সতর্ক থাকবেন যেন তার আচরণ অন্যদেরকে এই ধারণা না দেয় যে, তিনি সেই উদ্যাপনে যোগ দিচ্ছেন। প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন “তোমরা ভোজন, কি পান, কি যাহা কিছু কর, সকলই ঈশ্বরের গৌরবার্থে কর।” (১ করিন্থীয় ১০:৩১; “বিজ্ঞ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া” শিরোনামের বাক্সটা দেখুন।) অন্যদিকে, যদি কোনো প্রথা বা উদ্যাপনের মধ্যে স্পষ্টতই মিথ্যা ধর্মীয় তাৎপর্য না থাকে, সেটা যদি রাজনৈতিক বা দেশাত্মবোধক উদ্যাপনের অংশ না হয় এবং বাইবেলের কোনো নীতি লঙ্ঘন না করে, তাহলে প্রত্যেক খ্রিস্টান তাতে অংশ নেবেন কী নেবেন না, সেই সম্বন্ধে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। একই সময়ে, তাকে অন্যদের অনুভূতি সম্বন্ধেও চিন্তা করতে হবে, যাতে তা বিঘ্নের কারণ না হয়।
কথায় ও কাজে ঈশ্বরকে গৌরবান্বিত করুন
২৩, ২৪. যিহোবার ধার্মিক মানগুলো সম্বন্ধে আমরা কীভাবে উত্তম সাক্ষ্য দিতে পারি?
২৩ অনেক লোক কিছু জনপ্রিয় উদ্যাপনকে মূলত পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে একত্রিত হওয়ার বিভিন্ন সুযোগ হিসেবে দেখে থাকে। তাই, কেউ যদি ভুলভাবে এইরকম ধরে নেয় যে, আমাদের শাস্ত্রীয় অবস্থান প্রেমময় নয় বরং চরম, তাহলে আমরা সদয়ভাবে ব্যাখ্যা করতে পারি যে, যিহোবার সাক্ষিরা পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে গঠনমূলক মেলামেশাকে মূল্যবান বলে গণ্য করে। (হিতোপদেশ ১১:২৫; উপদেশক ৩:১২, ১৩; ২ করিন্থীয় ৯:৭) আমরা প্রিয়জনদের সঙ্গে বছরজুড়ে অন্যান্য সময়ে মেলামেশা উপভোগ করে থাকি কিন্তু ঈশ্বরের ও তাঁর ধার্মিক মানগুলোর প্রতি আমাদের ভালোবাসার কারণে আমরা এই ধরনের আনন্দজনক মুহূর্তগুলোকে সেই প্রথাগুলো দিয়ে কলুষিত করতে চাই না, যেগুলো তাঁকে অসন্তুষ্ট করে।— “সত্য উপাসনা পরমানন্দ নিয়ে আসে” শিরোনামের বাক্সটা দেখুন।
২৪ কিছু সাক্ষি আন্তরিক প্রশ্নকারীদের কাছে বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়?h বইয়ের ১৬ অধ্যায় থেকে বিভিন্ন বিষয় বলার ক্ষেত্রে অনেক সফল হয়েছে। তবে, মনে রাখবেন যে, আমাদের লক্ষ্য হল মন জয় করা, তর্ক করা নয়। তাই সম্মানপূর্বক কথা বলুন, মৃদুভাব বজায় রাখুন এবং ‘আপনাদের বাক্যকে সর্ব্বদা অনুগ্রহ সহযুক্ত হইতে, লবণে আস্বাদযুক্ত হইতে দিন।’—কলসীয় ৪:৬.
২৫, ২৬. কীভাবে বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদেরকে বিশ্বাসে ও যিহোবার প্রতি ভালোবাসায় বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করতে পারে?
২৫ যিহোবার দাস হিসেবে আমরা প্রশিক্ষিত। আমরা জানি যে, কেন আমরা নির্দিষ্ট কিছু বিষয় বিশ্বাস করি ও সেগুলো পালন করি এবং কেন আমরা অন্যান্য বিষয় থেকে বিরত থাকি। (ইব্রীয় ৫:১৪) তাই, বাবা-মায়েরা আপনারা আপনাদের সন্তানদেরকে বাইবেলের নীতিগুলো নিয়ে যুক্তি করতে শিক্ষা দিন। তা করার মাধ্যমে আপনি তাদের বিশ্বাসকে গড়ে তোলেন, তাদের বিশ্বাস সম্বন্ধে প্রশ্ন করে এমন ব্যক্তিদের শাস্ত্রীয় প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য তাদের সাহায্য করে থাকেন এবং তাদেরকে যিহোবার প্রেম সম্বন্ধে আশ্বাস দিয়ে থাকেন।—যিশাইয় ৪৮:১৭, ১৮; ১ পিতর ৩:১৫.
২৬ ঈশ্বরকে “আত্মায় ও সত্যে” উপাসনা করে এমন সকলে কেবল অশাস্ত্রীয় উদ্যাপনগুলোকে এড়িয়েই চলে না কিন্তু সেইসঙ্গে জীবনের প্রতিটা দিকে সৎ থাকার জন্যও আপ্রাণ চেষ্টা করে। (যোহন ৪:২৩) আজকে অনেকে সততাকে অব্যাবহারিক বলে মনে করে। কিন্তু, পরের অধ্যায়ে আমরা যেমন দেখতে পাব যে, ঈশ্বরের পথ সবসময়ই উত্তম।
a “আমার কি উদ্যাপনে যোগ দেওয়া উচিত?” শিরোনামের বাক্সটা দেখুন। নির্দিষ্ট কিছু “পবিত্র” দিন ও উদ্যাপন যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত ওয়াচ টাওয়ার পাবলিকেশনস্ ইনডেক্স-এ তালিকাবদ্ধ করা হয়েছে।
b বাইবেলের কালনিরূপণবিদ্যা ও জাগতিক ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে যিশু সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব ২ সালে, যিহুদি এথানীম মাসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যা আমাদের বর্তমান ক্যালেন্ডারের সেপ্টেম্বর/অক্টোবর মাসে পড়ে।—যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত শাস্ত্রের প্রতি অন্তর্দৃষ্টি (ইংরেজি) বইয়ের ২য় খণ্ডের ৫৬-৫৭ পৃষ্ঠা দেখুন।
c “‘পবিত্র’ দিনগুলো ও শয়তানবাদ” শিরোনামের বাক্সটা দেখুন।
d ব্যবস্থা চুক্তিতে বলা হয়েছিল যে, প্রসব করার পর একজন নারীকে ঈশ্বরের কাছে পাপার্থক বলি উৎসর্গ করতে হবে। (লেবীয় পুস্তক ১২:১-৮) মানুষ যে তাদের সন্তানদের মধ্যে উত্তরাধিকারসূত্রে পাপ প্রদান করে থাকে, সেই সম্বন্ধে এক জোরালো অনুস্মারক হিসেবে এই বৈধ চাহিদা, ইস্রায়েলীয়দেরকে একটা সন্তানের জন্ম সম্বন্ধে ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখতে সাহায্য করত এবং তাদেরকে হয়তো জন্মদিনের পৌত্তলিক প্রথাগুলো গ্রহণ করার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করত।—গীতসংহিতা ৫১:৫.
e ইওস্টারও (অথবা ইস্টার) একজন উর্বরতার দেবী ছিলেন। দ্য ডিকশনারি অভ্ মিথলজি অনুসারে, “চাঁদে তার একটা খরগোশ ছিল, যেটা ডিম খেতে ভালোবাসত আর কখনো কখনো তিনি খরগোশের মাথাওয়ালা একজন দেবী হিসেবে বর্ণিত হয়েছেন।”
f বিয়ে ও সামাজিক মেলামেশা সম্বন্ধে ২০০৬ সালের ১৫ অক্টোবর প্রহরীদুর্গ পত্রিকার ১৮-৩১ পৃষ্ঠার প্রবন্ধ তিনটে দেখুন।
h যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত।