টীকা
৬. সংক্রামক রোগ
১. মহতী বাবিলকে শনাক্ত করা
কীভাবে আমরা জানি যে, “মহতী বাবিল” সমস্ত মিথ্যা ধর্মকে চিত্রিত করে? (প্রকাশিত বাক্য ১৭:৫) আসুন, কিছু বিষয় লক্ষ করি:
সে পুরো বিশ্বে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। মহতী বাবিলকে একটা নারী হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে, যে ‘জনতা ও জাতির’ উপর বসে আছে। শুধু তা-ই নয়, সে “পৃথিবীর রাজাদের উপর শাসন করে।”এর থেকে বোঝা যায়, সে পুরো বিশ্বে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।—প্রকাশিত বাক্য ১৭:১৫, ১৮.
সে রাজনৈতিক শক্তি কিংবা বাণিজ্যিক জগৎ হতে পারে না। মহতী বাবিল যখন ধ্বংস হবে, তখন ‘পৃথিবীর রাজারা’ এবং ‘বণিকেরা’ তার জন্য দুঃখে কাঁদবে। তাই বলা যায়, তারা মহতী বাবিল হতে পারে না।—প্রকাশিত বাক্য ১৮:৯, ১৫.
সে ঈশ্বরের উপর নিন্দা নিয়ে আসে। মহতী বাবিলকে বেশ্যা বলা হয়েছে, কারণ সরকারগুলোর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। সে এইজন্য এই সম্পর্ক রেখেছে, যাতে তাদের কাছ থেকে টাকাপয়সা এবং বিভিন্ন সুযোগসুবিধা পেতে পারে। (প্রকাশিত বাক্য ১৭:১, ২) সে সমস্ত জাতির লোকদের ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে। আর তার হাতে অনেক নির্দোষ ব্যক্তির রক্ত লেগে রয়েছে।—প্রকাশিত বাক্য ১৮:২৩, ২৪.
২. মশীহের আবির্ভাব কখন হওয়ার কথা ছিল?
বাইবেলে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল যে, ৬৯ সপ্তাহ শেষ হওয়ার পর মশীহের আবির্ভাব হবে।—পড়ুন, দানিয়েল ৯:২৫.
কখন থেকে ৬৯ সপ্তাহের শুরু হয়েছিল? খ্রিস্টপূর্ব ৪৫৫ সাল থেকে। সেই সালে রাজ্যপাল নহিমিয় জেরুসালেমে এসেছিলেন, যাতে সেই নগর “পুনঃস্থাপন ও নির্ম্মাণ” করতে পারেন।—দানিয়েল ৯:২৫; নহিমিয় ২:১, ৫-৮.
এই ৬৯ সপ্তাহের সময়কাল কতটা দীর্ঘ ছিল? বাইবেলের কিছু ভবিষ্যদ্বাণীতে এক দিনকে এক বছরের সমান বলা হয়েছে। (গণনাপুস্তক ১৪:৩৪; যিহিষ্কেল ৪:৬) তাই, এক সপ্তাহের অর্থ হল, সাত বছর। এই হিসাব অনুযায়ী, ৬৯ সপ্তাহের সময়কাল ৪৮৩ বছরের দীর্ঘ ছিল (৬৯ সপ্তাহ গুণ ৭ দিন)।
এই ৬৯ সপ্তাহ কখন শেষ হয়েছিল? আমরা যদি খ্রিস্টপূর্ব ৪৫৫ সাল থেকে ৪৮৩ বছর গুনি, তা হলে আমরা ২৯ খ্রিস্টাব্দে গিয়ে পৌঁছোই।a আর এটাই ছিল সেই সাল, যে-সালে যিশু বাপ্তিস্ম নিয়েছিলেন এবং মশীহ হয়েছিলেন!—লূক ৩:১, ২, ২১, ২২.
৩. রক্ত জড়িত রয়েছে এমন চিকিৎসা পদ্ধতি
খ্রিস্টানেরা রক্ত নেয় না আর সেইসঙ্গে কাউকে রক্ত দেয় না। তবে এমন অনেক পদ্ধতি রয়েছে, যেখানে চিকিৎসার জন্য রোগীর নিজের রক্ত ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর এর মধ্যে কিছু পদ্ধতি খ্রিস্টানদের জন্য গ্রহণযোগ্য নয় যেমন, অপারেশনের আগে রোগীর নিজের রক্ত মজুত করে রাখা, যাতে তা পরে ব্যবহার করা যেতে পারে।—দ্বিতীয় বিবরণ ১৫:২৩.
তবে, এমন কিছু পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো হয়তো খ্রিস্টানেরা গ্রহণ করতে পারে। যেমন, রক্ত পরীক্ষা করা, হিমোডায়ালাইসিস, হিমোডাইলুশন ও সেল স্যালভেজ অথবা হার্ট-লাং বাইপাস মেশিন ব্যবহার করা।b কোনো অপারেশন, মেডিকেল টেস্ট কিংবা চিকিৎসা করার সময় আপনার রক্ত যদি ব্যবহার করা হয়, তা হলে প্রত্যেক খ্রিস্টানকে ব্যক্তিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, তিনি তার নিজের রক্ত কীভাবে ব্যবহার করতে দেবেন। একেক জন ডাক্তার এই পদ্ধতিগুলো একেকভাবে ব্যবহার করে থাকে। তাই, কোনো পরীক্ষা কিংবা অপারেশন অথবা চিকিৎসার কোনো পদ্ধতি গ্রহণ করার আগে, একজন খ্রিস্টানের ভালোভাবে জানা উচিত, তার রক্ত কীভাবে ব্যবহার করা হবে। পরবর্তী প্রশ্নগুলো নিয়ে বিবেচনা করুন:
চিকিৎসার এমন পদ্ধতি রয়েছে, যেখানে রোগীর নিজের রক্ত তার দেহ থেকে বাইরে বের করা হয় আর কিছু সময়ের জন্য রক্তপ্রবাহ থামিয়ে দেওয়া হয়। আমার বিবেক কি আমাকে এই চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করার অনুমতি দেবে? আমার বিবেক কি মেনে নেবে যে, এই রক্ত এখনও আমার শরীরের অংশ এবং সেটা “মাটিতে ঢেলে” দেওয়ার প্রয়োজন নেই?—দ্বিতীয় বিবরণ ১২:২৩, ২৪.
চিকিৎসার জন্য কখনো কখনো শরীর থেকে কিছুটা রক্ত বাইরে বের করা হয় আর সেটাকে পরিবর্তন (যেমন, কোনো ওষুধ মিশিয়ে) করে পুনরায় শরীরে ঢোকানো (অথবা শরীরে লাগানো) হয়। বাইবেল থেকে আমি যা শিখেছি, সেটার উপর ভিত্তি করে আমার বিবেক কি আমাকে এই চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করার অনুমতি দেবে, না কি আমার বিবেক আমাকে দোষী করবে?
৪. স্বামী ও স্ত্রী আলাদা থাকা
বাইবেল স্বামী ও স্ত্রীকে আলাদা থাকার জন্য উৎসাহিত করে না। সেইসঙ্গে এটি স্পষ্টভাবে জানায় যে, যদি তারা আলাদা থাকে, তা হলে স্বামী অথবা স্ত্রীর মধ্যে কেউই পুনরায় বিয়ে করতে পারবে না। (১ করিন্থীয় ৭:১০, ১১) তবে, এমন কিছু পরিস্থিতি রয়েছে যেখানে কিছু খ্রিস্টান তাদের নিজের জীবনসঙ্গীর কাছ থেকে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসুন, সেই পরিস্থিতিগুলো নিয়ে বিবেচনা করি:
একজন স্বামী যখন ইচ্ছাকৃতভাবে পরিবারের ভরণ-পোষণ না জোগান: একজন স্বামী স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে, তিনি তার পরিবারের ভরণ-পোষণ জোগাতে পারবেন না। আর এর ফলে এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যখন স্ত্রী ও সন্তানদের কাছে জীবনযাপন করার জন্য টাকাপয়সা ও খাবার কোনোটাই থাকে না।—১ তীমথিয় ৫:৮.
একজন ব্যক্তি যখন তার সাথিকে খুব মারধর করেন: স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে কেউ তার সাথিকে এতটাই মারধর করেন, যার ফলে তার স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় অথবা তার জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকে।—গালাতীয় ৫:১৯-২১.
যিহোবার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা যখন অসম্ভব হয়ে পড়ে: একজন ব্যক্তি তার সাথির জন্য এতটাই সমস্যা তৈরি করেন, যার ফলে যিহোবার সেবা করা তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে।—প্রেরিত ৫:২৯.
৫. বিভিন্ন উদ্যাপন
খ্রিস্টানেরা এমন উদ্যাপনগুলো পালন করে না, যেগুলো যিহোবা পছন্দ করেন না। কিন্তু, উদ্যাপনগুলোর সঙ্গে যখন বিভিন্ন বিষয় জড়িত থাকে, তখন সেই পরিস্থিতিতে তারা কী করতে পারে? এমন পরিস্থিতিতে প্রত্যেক খ্রিস্টানকে ব্যক্তিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, তিনি তার বাইবেল প্রশিক্ষিত বিবেকের উপর ভিত্তি করে কোন সিদ্ধান্ত নেবেন। আসুন কিছু পরিস্থিতি নিয়ে বিবেচনা করি:
কেউ যখন আপনাকে বিভিন্ন উদ্যাপনের সময় শুভেচ্ছা জানায়। আপনি তাকে এইরকম পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র “ধন্যবাদ” বলতে পারেন। তিনি যদি জানতে চান, তা হলে আপনি তাকে বলতে পারেন যে, কেন আপনি সেই উদ্যাপনগুলো পালন করেন না।
কোনো উদ্যাপনের দিনে আপনার আত্মীয়স্বজন যখন আপনাকে খাবারের নিমন্ত্রণ জানায় আর আপনার জীবনসঙ্গী যিনি যিহোবার সাক্ষি নন, তিনি চান যেন আপনি তার সঙ্গে সেখানে যান। আপনার বিবেক যদি আপনাকে যেতে বলে, তা হলে প্রথমে আপনার সাথির সঙ্গে কথা বলুন। তাকে জানান যদি সেখানে খাবার খাওয়ার সময় এমন কোনো রীতিনীতি পালন করা হয়, যেটা বাইবেলের বিরুদ্ধে, তা হলে আপনি তাতে অংশ নেবেন না।
আপনার বস কোনো উদ্যাপনের সময় আপনাকে বোনাস দিচ্ছেন। আপনার কি তা প্রত্যাখ্যান করা উচিত? ঠিক তা নয়। নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, ‘আমি যদি এই বোনাস নিই, তা হলে আমার বস কি মনে করবেন যে, আমিও এই উদ্যাপন পালন করি? না কি আমি যে-পরিশ্রম করেছি, তিনি সেটার জন্য খুশি হয়ে আমাকে এই সময়ে বোনাস দিচ্ছেন?’
কেউ আপনাকে উদ্যাপনের দিনে কোনো উপহার দিতে চায়। যিনি উপহার দিচ্ছেন তিনি হয়তো বলতে পারেন যে, “আমি জানি আপনি এই উদ্যাপন পালন করেন না, কিন্তু তা-ও আমি আপনাকে এই উপহার দিতে চাই।” তিনি হয়তো আনন্দিত হয়ে আপনাকে এই উপহার দিচ্ছেন। তবে এটাও হতে পারে যে, তিনি আপনাকে পরীক্ষা করে দেখতে চাইছেন যে, আপনার বিশ্বাস কতটা মজবুত অথবা তিনি আপনাকে কোনোভাবে উদ্যাপনে জড়িত করার জন্য চেষ্টা করছেন। এই বিষয়গুলো চিন্তা করার পর আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, আপনি সেই উপহার নেবেন, না কি নেবেন না। আমাদের সবসময় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, যাতে আমাদের বিবেক শুদ্ধ থাকে এবং আমরা যিহোবার প্রতি অনুগত থাকতে পারি।—প্রেরিত ২৩:১.
৬. সংক্রামক রোগ
আমাদের মধ্যে যদি কোনো সংক্রামক রোগ থাকে অথবা যদি মনে হয়, আমাদের মধ্যে কোনো সংক্রামক রোগের ভাইরাস রয়েছে, তা হলে আমরা সতর্ক থাকি যেন এই রোগ অন্য কারোর মধ্যে ছড়িয়ে না দিই, কারণ আমরা লোকদের ভালোবাসি। বাইবেলে আজ্ঞা দেওয়া রয়েছে, “তুমি তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মতো ভালোবাসবে।”—রোমীয় ১৩:৮-১০.
সংক্রামক রোগ রয়েছে এমন একজন ব্যক্তি কীভাবে এই আজ্ঞার প্রতি বাধ্যতা দেখাবে? তার উচিত অন্যদের জড়িয়ে না ধরা, চুমু না দেওয়া এবং হাত না মেলানো। কিছু লোক নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখার জন্য যদি সেই ব্যক্তিকে ঘরে আমন্ত্রণ না জানায়, তা হলে তার খারাপ ভাবা উচিত নয়। তিনি যদি বাপ্তিস্ম নিতে চান, তা হলে তার উচিত প্রাচীনগোষ্ঠীর কোঅর্ডিনেটরকে তার রোগ সম্বন্ধে জানানো, যাতে তার বাপ্তিস্মের জন্য এমন কিছু ব্যবস্থা করা হয়, যার ফলে অন্য বাপ্তিস্মপ্রার্থীরা সুরক্ষিত থাকে। এ ছাড়া, একজন ব্যক্তির অতীতের জীবনধারার কিংবা কোনো অন্য কারণে যদি তার মনে হয় যে, তার কোনো সংক্রামক রোগ থাকতে পারে, তা হলে বিয়ের উদ্দেশ্যে মেলামেশা শুরু করার আগেই নিজে থেকে তার রক্ত পরীক্ষা করানো উচিত। এভাবে একজন ব্যক্তি দেখাতে পারেন যে, তিনি ‘কেবল নিজের বিষয়ে চিন্তা করেন না, কিন্তু অন্যের প্রতিও চিন্তা দেখান।’—ফিলিপীয় ২:৪.
৭. ব্যাবসা এবং আইন সংক্রান্ত বিষয়গুলো
টাকাপয়সা এবং ব্যাবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন চুক্তি লিখিত রাখার মাধ্যমে অনেক সমস্যা এড়ানো যেতে পারে। এটা তখনও করা প্রয়োজন, যখন অপর ব্যক্তি আমাদের খ্রিস্টীয় ভাই অথবা বোন হয়ে থাকে। (যিরমিয় ৩২:৯-১২) কিন্তু, এরপরও হয়তো খ্রিস্টানদের মধ্যে টাকাপয়সা কিংবা অন্যান্য কারণে ছোটোখাটো মনোমালিন্য হতে পারে। যদি এমনটা হয়, তা হলে তাদের দেরি না করে নিজেদের মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যার সমাধান করা উচিত।
কিন্তু, সেই ক্ষেত্রে কী বলা যায়, যখন কোনো খ্রিস্টীয় ভাই কিংবা বোনের সঙ্গে আমাদের গুরুতর সমস্যা দেখা দেয়? যেমন, ধরুন কেউ যখন আমাদের ঠকায় অথবা আমাদের নামের উপর নিন্দা নিয়ে আসে। এই ক্ষেত্রে আমাদের কী করা উচিত? (পড়ুন, মথি ১৮:১৫-১৭.) যিশু তিনটে পদক্ষেপ সম্বন্ধে বলেছিলেন:
(১) আমাদের সেই ভাইয়ের সঙ্গে একান্তে সমস্যাটা সমাধান করার চেষ্টা করা উচিত।—১৫ পদ দেখুন।
(২) সমস্যাটা যদি সমাধান না হয়, তা হলে মণ্ডলীর এক অথবা দু-জন অভিজ্ঞ খ্রিস্টানকে সঙ্গে নিয়ে সেই ভাইয়ের সঙ্গে আমাদের কথা বলা উচিত।—১৬ পদ দেখুন।
(৩) এরপরও যদি সমস্যার সমাধান না হয়, তা হলে প্রাচীনদের কাছে আমাদের সাহায্য চাওয়া উচিত।—১৭ পদ দেখুন।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা ভাই-বোনদের আদালতে নিয়ে যাই না, কারণ এর ফলে যিহোবার নাম ও মণ্ডলীর উপর নিন্দা আসতে পারে। (১ করিন্থীয় ৬:১-৮) কিন্তু, কিছু সমস্যা সমাধান করার জন্য হয়তো আদালতে যাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। যেমন, বিবাহবিচ্ছেদ করা, বিবাহবিচ্ছেদের পর সন্তান কার কাছে থাকবে, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া, নিজের ভরণ-পোষণের জন্য সাথির কাছ থেকে কত টাকা পাবে, বীমা সংক্রান্ত বিষয়ে, দেউলিয়ার বিষয়ে অথবা উইলের ক্ষেত্রে। একজন খ্রিস্টান যদি এই সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য আইনের সাহায্য নেন, তা হলে তিনি বাইবেলে দেওয়া পরামর্শের বিরুদ্ধে যাচ্ছেন না। তবে, এই সমস্যাগুলো তার শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা উচিত।
কোনো গুরুতর অপরাধের ঘটনা যদি ঘটে, যেমন মারামারি, ধর্ষণ, শিশুদের উপর নির্যাতন, বড়ো ধরনের চুরি কিংবা হত্যা করা, তা হলে এই ক্ষেত্রগুলোতে সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করা বাইবেলের বিরুদ্ধে নয়।
a খ্রিস্টপূর্ব ৪৫৫ সাল থেকে খ্রিস্টপূর্ব ১ সাল পর্যন্ত ৪৫৪ বছর হয়। খ্রিস্টপূর্ব ১ সাল থেকে ১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এক বছর হয় (কারণ, এর মাঝে কোনো শূন্য বছর নেই)। আর ১ খ্রিস্টাব্দ থেকে ২৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ২৮ বছর হয়। আমরা যদি ৪৫৪ বছর, ১ বছর এবং ২৮ বছর একসঙ্গে যোগ করি, তা হলে সব মিলিয়ে ৪৮৩ বছর হয়।
b এই পদ্ধতিগুলোর বিষয়ে আরও জানার জন্য ২০০৬ সালের নভেম্বর মাসের আমাদের রাজ্যের পরিচর্যা-য় দেওয়া এই প্রবন্ধটা পড়ুন, “আমার নিজের রক্ত ব্যবহার করার সঙ্গে জড়িত রক্তের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ এবং চিকিৎসাপদ্ধতিগুলোকে আমি কোন দৃষ্টিতে দেখি?”