রোমীয়দের প্রতি চিঠি
১০ হে ভাইয়েরা, ইজরায়েলীয়দের জন্য আমার হৃদয়ের আকাঙ্ক্ষা এবং ঈশ্বরের কাছে বিনতি এই, তারা যেন পরিত্রাণ পায়। ২ কারণ আমি তাদের বিষয়ে এই সাক্ষ্য দিই, ঈশ্বরের জন্য তাদের উদ্যোগ রয়েছে ঠিকই, কিন্তু তা সঠিক জ্ঞান অনুযায়ী নয়। ৩ কারণ ঈশ্বর যা সঠিক বলে মনে করেন, তা না জানায় তারা নিজেদের মান প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে আর এর ফলে তারা ঈশ্বর যা সঠিক বলে মনে করেন, সেটার বশীভূত হয় না। ৪ কারণ খ্রিস্টের মাধ্যমেই ব্যবস্থার শেষ হয়েছে, যেন যে-কেউ বিশ্বাস করে চলে, সে ধার্মিক বলে গণ্য হয়।
৫ কারণ মোশি সেই বিষয়গুলো করার কথা লিখেছেন, ব্যবস্থায় যেগুলোকে সঠিক বলা হয়েছে: “যে-ব্যক্তি ব্যবস্থায় বলা বিষয়গুলো পালন করে, সে ব্যবস্থার দ্বারাই বেঁচে থাকবে।” ৬ কিন্তু, যে-ব্যক্তি বিশ্বাসের সঙ্গে মিল রেখে যা সঠিক, তা-ই করে, তার সম্বন্ধে শাস্ত্র বলে: “তুমি মনে মনে এমনটা বোলো না, ‘কে স্বর্গে উঠবে?’ অর্থাৎ খ্রিস্টকে নামিয়ে আনার জন্য কে স্বর্গে উঠবে? ৭ কিংবা ‘কে অতল গহ্বরে* নামবে?’ অর্থাৎ খ্রিস্টকে মৃতদের মধ্য থেকে ওঠানোর জন্য কে অতল গহ্বরে* নামবে?” ৮ কিন্তু, শাস্ত্র কী বলে? “সেই বার্তা তোমার কাছে রয়েছে, তোমার মুখে এবং তোমার হৃদয়ে রয়েছে”; অর্থাৎ বিশ্বাসের “সেই বার্তা,” যেটা সম্বন্ধে আমরা প্রচার করছি। ৯ কারণ তুমি যদি জনসমক্ষে মুখে ঘোষণা কর যে, যিশুই প্রভু এবং হৃদয়ে বিশ্বাস করে চল যে, ঈশ্বর তাঁকে মৃতদের মধ্য থেকে উঠিয়েছেন, তা হলে তুমি রক্ষা পাবে। ১০ কারণ একজন ব্যক্তি যদি ধার্মিক হতে চায়, তা হলে তাকে হৃদয়ে বিশ্বাস করে চলতে হবে আর সে যদি পরিত্রাণ পেতে চায়, তা হলে তাকে সেই বার্তা জনসমক্ষে ঘোষণা করতে হবে।
১১ কারণ শাস্ত্র বলে: “যে-কেউ তাঁর উপর বিশ্বাস রাখবে, সে হতাশ হবে* না।” ১২ কারণ যিহুদিদের ও গ্রিকদের* মধ্যে কোনো প্রভেদ নেই। তাদের সকলের প্রভু একই আর যারা তাঁকে ডাকে, তাদের সকলকে তিনি প্রচুর আশীর্বাদ করেন।* ১৩ কারণ “যে-কেউ যিহোবার* নামে ডাকবে, সে রক্ষা পাবে।” ১৪ কিন্তু, কীভাবেই-বা তারা তাঁর নামে ডাকবে, যদি তারা তাঁর উপর বিশ্বাস না করে? আর কীভাবেই-বা তারা তাঁর উপর বিশ্বাস করবে, যদি তারা তাঁর বিষয়ে না শোনে? আর কীভাবেই-বা তারা শুনবে, যদি কেউ তাদের কাছে প্রচার না করে? ১৫ আর কীভাবেই-বা তারা প্রচার করবে, যদি কেউ তাদের না পাঠান?* যেমনটা লেখা আছে: “যারা সুসমাচার ঘোষণা করে, তাদের পা কেমন সুন্দর!”
১৬ কিন্তু, সকলে সুসমাচার গ্রহণ করেনি। কারণ যিশাইয় বলেন: “হে যিহোবা,* কেই-বা আমাদের কথা শুনে সেগুলোর উপর* বিশ্বাস করেছে?” ১৭ তাই, বাক্য শোনার পরই একজন ব্যক্তি বিশ্বাস করে। আর বাক্য তখনই শোনা যায়, যখন কেউ খ্রিস্ট সম্বন্ধে প্রচার করে। ১৮ তা হলে, এর অর্থ কি এই, তারা বার্তা শুনতে পায়নি? কখনোই না। কারণ “পৃথিবীর সমস্ত জায়গার লোকেরা সেই বার্তা শুনেছে এবং দূরদূরান্তে বসবাসকারী লোকেরাও সেই বার্তা শুনেছে।” ১৯ তা হলে এর অর্থ কি এই, ইজরায়েলীয়েরা বুঝতে পারেনি? কখনোই না। কারণ প্রথমে মোশি বলেন: “আমি ন-যিহুদিদের মাধ্যমে তোমাদের ঈর্ষা জাগিয়ে তুলব; আমি মূর্খ জাতির মাধ্যমে তোমাদের প্রচণ্ড ক্রোধ জাগিয়ে তুলব।” ২০ আর যিশাইয় অত্যন্ত সাহসী হয়ে বলেন: “যারা আমার অন্বেষণ করেনি, তারা আমাকে খুঁজে পেয়েছে; যারা আমার ব্যাপারে জানতে চায়নি, তাদের কাছে আমি নিজেকে প্রকাশ করেছি।” ২১ কিন্তু, ইজরায়েল সম্বন্ধে তিনি বলেন: “আমি সারাদিন অবাধ্য ও একগুঁয়ে লোকদের দিকে আমার হাত বাড়িয়ে রেখেছিলাম।”