যোহনের দ্বিতীয় চিঠি
১ আমি, একজন বয়স্ক ব্যক্তি,* আমি সেই মনোনীত নারী* এবং তার সন্তানদের প্রতি লিখছি, যাদের আমি সত্যিই ভালোবাসি। তবে, শুধু আমিই নই, কিন্তু সত্য জানে এমন সকলে তোমাদের ভালোবাসে। ২ যে-সত্য আমাদের হৃদয়ে রয়েছে এবং চিরকাল ধরে থাকবে, সেই সত্যের জন্যই আমরা তোমাদের ভালোবাসি। ৩ পিতা ঈশ্বর এবং তাঁর পুত্র যিশু খ্রিস্টের মহাদয়া, করুণা ও শান্তি আর সেইসঙ্গে সত্য ও ভালোবাসা আমাদের সঙ্গে থাকবে।
৪ পিতার কাছ থেকে আমরা যেমন আজ্ঞা পেয়েছি, সেই অনুসারে তোমার সন্তানদের মধ্যে কেউ কেউ সত্যে চলছে জেনে আমি খুবই আনন্দিত। ৫ হে নারী, আমি তোমাকে অনুরোধ করছি: এসো, আমরা পরস্পরের প্রতি প্রেম দেখাই। (আমি তোমাকে কোনো নতুন আজ্ঞা দিচ্ছি না, বরং সেই আজ্ঞা দিচ্ছি, যা প্রথম থেকেই আমাদের কাছে ছিল।) ৬ আর প্রেমের অর্থ এই যে, আমরা যেন তাঁর আজ্ঞা অনুসারে চলি। তোমরা প্রথম থেকে যেমন শুনেছ, তাঁর আজ্ঞা এই যে, তোমরা প্রেমে চলো। ৭ কারণ জগতে অনেক প্রতারক দেখা যাচ্ছে। এরা স্বীকার করে না, যিশু খ্রিস্ট মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে এসেছিলেন। এরাই হল প্রতারক এবং খ্রিস্টের বিরোধী।*
৮ তোমরা সাবধান থেকো, যাতে তোমাদের মাঝে আমরা যে-পরিশ্রম করেছি, সেটার ফল হারিয়ে না ফেল, বরং তোমরা যেন সম্পূর্ণ পুরস্কার লাভ কর। ৯ যে-কেউ খ্রিস্টের শিক্ষা আর পালন করে না এবং ভুলভাবে শিক্ষা দেয়, তার উপর ঈশ্বরের অনুমোদন নেই। কিন্তু, যে খ্রিস্টের শিক্ষা পালন করে চলে, তার উপর পিতা ও পুত্র, উভয়ের অনুমোদন রয়েছে। ১০ কেউ যদি তোমাদের কাছে আসে এবং খ্রিস্টের শিক্ষার সঙ্গে মিল রেখে শিক্ষা না দেয়, তা হলে তোমরা তাকে তোমাদের বাড়িতে গ্রহণ কোরো না কিংবা তাকে সম্ভাষণও জানিয়ো না। ১১ কারণ যে এই ব্যক্তিকে সম্ভাষণ জানায়, সে তার মন্দ কাজকে সমর্থন করে।
১২ যদিও তোমাদের লেখার মতো অনেক বিষয় আমার রয়েছে, কিন্তু আমি সেগুলো চিঠিতে লিখতে চাই না। আশা করি, আমি তোমাদের কাছে এসে তোমাদের সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলতে পারব, যাতে তোমাদের আনন্দ পূর্ণ হয়।
১৩ তোমার সেই মনোনীত বোনের সন্তানেরা তোমাকে তাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।