যোহনের কাছে প্রকাশিত বাক্য
৭ এরপর আমি দেখলাম, পৃথিবীর চার কোণে চার জন স্বর্গদূত দাঁড়িয়ে রয়েছেন এবং তারা পৃথিবীর চার বায়ু দৃঢ়ভাবে আটকে রেখেছেন, যাতে পৃথিবীর কিংবা সমুদ্রের কিংবা কোনো গাছের উপর বায়ু বইতে না পারে। ২ পরে আমি আরেকজন স্বর্গদূতকে পূর্ব দিক* থেকে উঠতে দেখলাম, তার কাছে জীবন্ত ঈশ্বরের এক সিলমোহর রয়েছে; আর যে-চার জন স্বর্গদূতকে পৃথিবী ও সমুদ্রের ক্ষতি করার অধিকার দেওয়া হয়েছে, তাদের তিনি উচ্চস্বরে ডেকে ৩ বললেন: “যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা আমাদের ঈশ্বরের দাসদের কপালে সিলমোহর দিয়ে চিহ্ন দিই, ততক্ষণ পর্যন্ত পৃথিবীর কিংবা সমুদ্রের কিংবা গাছপালার ক্ষতি কোরো না।”
৪ পরে আমি, যে-লোকদের সিলমোহর দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের সংখ্যা শুনলাম; ইজরায়েলীয়দের প্রতিটা বংশের মধ্য থেকে মোট ১,৪৪,০০০ জনকে সিলমোহর দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে:
৫ যিহূদা বংশের মধ্য থেকে ১২,০০০ জনকে সিলমোহর দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে;
রূবেণ বংশের মধ্য থেকে ১২,০০০ জনকে;
গাদ বংশের মধ্য থেকে ১২,০০০ জনকে;
৬ আশের বংশের মধ্য থেকে ১২,০০০ জনকে;
নপ্তালি বংশের মধ্য থেকে ১২,০০০ জনকে;
মনঃশি বংশের মধ্য থেকে ১২,০০০ জনকে;
৭ শিমিয়োন বংশের মধ্য থেকে ১২,০০০ জনকে;
লেবি বংশের মধ্য থেকে ১২,০০০ জনকে;
ইষাখর বংশের মধ্য থেকে ১২,০০০ জনকে;
৮ সবূলূন বংশের মধ্য থেকে ১২,০০০ জনকে;
যোষেফ বংশের মধ্য থেকে ১২,০০০ জনকে;
বিন্যামীন বংশের মধ্য থেকে ১২,০০০ জনকে সিলমোহর দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে।
৯ এরপর আমি তাকালাম আর দেখো! সমস্ত জাতি ও বংশ ও বর্ণ ও ভাষার মধ্য থেকে আসা এক বিরাট জনতা, যাদের গোনার সাধ্য কারো ছিল না। তারা সাদা পোশাক পরে সিংহাসনের সামনে এবং মেষশাবকের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে; আর তাদের হাতে খেজুর গাছের পাতা। ১০ তারা চিৎকার করে বলতে লাগল: “পরিত্রাণ, যিনি সিংহাসনে বসে আছেন, আমাদের সেই ঈশ্বরের এবং মেষশাবকেরই দান।”
১১ আর সমস্ত স্বর্গদূত সেই সিংহাসনের ও প্রাচীনদের* এবং চার জন জীবিত প্রাণীর চারপাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারা সিংহাসনের সামনে উবুড় হয়ে ঈশ্বরের উপাসনা করে ১২ বললেন: “আমেন! প্রশংসা ও গৌরব ও প্রজ্ঞা ও ধন্যবাদ ও সমাদর ও ক্ষমতা ও শক্তি যুগে যুগে চিরকাল আমাদের ঈশ্বরেরই হোক। আমেন।”
১৩ তখন সেই প্রাচীনদের* মধ্য থেকে একজন আমাকে বললেন: “এই যে-লোকেরা সাদা পোশাক পরে আছে, এরা কারা এবং এরা কোথা থেকে এসেছে?” ১৪ আমি সঙ্গেসঙ্গে তাকে বললাম: “হে আমার প্রভু, আপনিই তা জানেন।” তিনি আমাকে বললেন: “এরা সেই লোক, যারা মহাক্লেশ পার হয়ে এসেছে এবং মেষশাবকের রক্তে নিজেদের পোশাক ধুয়ে সেগুলোকে সাদা করেছে। ১৫ এইজন্য তারা ঈশ্বরের সিংহাসনের সামনে রয়েছে এবং তারা তাঁর মন্দিরে দিন-রাত তাঁকে পবিত্র সেবা প্রদান করছে; আর যিনি সিংহাসনে বসে আছেন, সেই ঈশ্বর তাদের সুরক্ষিত রাখবেন।* ১৬ তারা আর ক্ষুধার্ত অথবা তৃষ্ণার্ত হবে না কিংবা তারা সূর্যের তাপ অথবা অন্য কিছুর উত্তাপের ফলে কষ্ট পাবে না, ১৭ কারণ যিনি সিংহাসনের মাঝখানে রয়েছেন, সেই মেষশাবক তাদের পালন করবেন এবং তাদের জীবনজলের উৎসের দিকে নিয়ে যাবেন। আর ঈশ্বর তাদের চোখের সমস্ত জল মুছে দেবেন।”