যিশাইয়
৩২ দেখো! একজন রাজা ন্যায্যতা সহকারে রাজত্ব করবেন
আর অধ্যক্ষেরা ন্যায়বিচার সহকারে শাসন করবেন।
২ আর প্রত্যেক অধ্যক্ষ বাতাস থেকে রক্ষা পাওয়ার* জায়গার মতো,
ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে লুকোনোর* জায়গার মতো,
শুকনো জমিতে জলের ধারার মতো
এবং শুকনো জমিতে বড়ো শৈলের ছায়ার মতো হবেন।
৩ তখন যারা দেখতে পায়, তাদের চোখ আর বন্ধ থাকবে না
আর যারা শুনতে পায়, তারা মনোযোগ দিয়ে শুনবে।
৪ যারা চিন্তাভাবনা না করেই কাজ করে, তাদের হৃদয় জ্ঞান নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করবে
আর যারা তোতলা, তারা সাবলীল ও স্পষ্টভাবে কথা বলবে।
৫ মূর্খ ব্যক্তিকে আর উদার ব্যক্তি বলা হবে না
আর যে কোনো নীতি মেনে চলে না, তাকে ভালো ব্যক্তি বলা হবে না।
৬ কারণ মূর্খ ব্যক্তি আজেবাজে কথা বলবে
আর তার হৃদয় ক্ষতিকর কাজ করার ষড়যন্ত্র করবে,
যাতে সে ধর্মভ্রষ্টতা তুলে ধরতে পারে,*
যিহোবার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলতে পারে
এবং ক্ষুধার্ত ব্যক্তিকে খাবার থেকে
এবং তৃষ্ণার্ত ব্যক্তিকে জল থেকে বঞ্চিত করে রাখতে পারে।
৭ যে কোনো নীতি মেনে চলে না, সে মন্দ ষড়যন্ত্র করে
এবং লজ্জাজনক কাজ তুলে ধরে,
যাতে সে মিথ্যা কথা বলে গরিব ও অত্যাচারী ব্যক্তিদের বিনষ্ট করে দিতে পারে,
এমনকী তারা সত্য কথা বললেও।
৮ কিন্তু, উদার ব্যক্তির উদারতাপূর্ণ কাজ করার ইচ্ছা থাকে
আর সে উদারতা দেখিয়ে চলে।*
৯ “হে নির্বিঘ্নে থাকা মহিলারা, ওঠো, আমার কথা শোনো!
হে নিশ্চিন্তে থাকা মেয়েরা, আমার কথার প্রতি মনোযোগ দাও!
১০ তোমরা যারা নিশ্চিন্তে রয়েছ, এক বছর পার হওয়ার কিছুসময় পরই, তোমরা ভয়ে কাঁপবে
কারণ আঙুর সংগ্রহ করার সময় পার হয়ে যাবে, কিন্তু কোনো আঙুর সংগ্রহ করা হবে না।
১১ হে নির্বিঘ্নে থাকা মহিলারা, তোমরা ভয়ে কাঁপো!
হে নিশ্চিন্তে থাকা মেয়েরা, তোমরা ভয়ে থরথর করে কাঁপো!
তোমরা নিজেদের পোশাক খুলে নিজেদের কোমরে চট বাঁধো।
১২ সুন্দর সুন্দর খেত এবং ফলবান আঙুর গাছগুলোর জন্য
বুক চাপড়ে বিলাপ করো।
১৩ কারণ আমার লোকদের জমি কাঁটাঝোপে ভরে যাবে,
আনন্দের সমস্ত বাড়ি,
হ্যাঁ, উল্লাসের সেই নগর কাঁটাঝোপে ভরে যাবে।
১৪ কারণ দৃঢ় দুর্গকে ত্যাগ করা হয়েছে,
জনরবে পূর্ণ নগরকে পরিত্যাগ করা হয়েছে।
ওফল এবং পাহারাদারদের দুর্গ চিরকালের জন্য পরিত্যক্ত জমি হয়ে উঠেছে,
বুনো গাধা সেখানে নেচে বেড়ায়
আর মেষ ও ছাগল সেখানে চরে বেড়ায়।
১৫ এমনটা ততক্ষণ পর্যন্ত থাকবে,
যতক্ষণ না ঈশ্বর উপর থেকে আমাদের উপর তাঁর পবিত্র শক্তি ঢেলে দেন।
তখন প্রান্তর ফলের বাগান হয়ে উঠবে
আর ফলের বাগানকে বন বলে মনে হবে।
১৬ তখন সেই প্রান্তরে এবং সেই ফলের বাগানে
ন্যায়বিচার বাস করবে।
১৭ প্রকৃত ন্যায়বিচারের কারণে শান্তি থাকবে
আর প্রকৃত ন্যায়বিচারের ফলে স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা থাকবে।
১৮ আমার লোকেরা শান্তিপূর্ণ থাকার জায়গায়,
নিরাপদ বাসস্থানে এবং শান্তিপূর্ণ বিশ্রামের জায়গায় থাকবে।
১৯ কিন্তু, শিলাবৃষ্টি বনকে মাটিতে মিশিয়ে দেবে
আর নগরকে পুরোপুরিভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।
২০ সুখী তোমরা, যারা জলের ধারে বীজ বপন কর,
যারা ষাঁড় ও গাধাকে চরতে দাও।”