যোহনের কাছে প্রকাশিত বাক্য
২২ পরে তিনি আমাকে জীবনজলের এক নদী দেখালেন; এই নদী স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ এবং তা ঈশ্বর ও মেষশাবকের সিংহাসন থেকে বের হয়ে বয়ে চলেছে। ২ আর তা নগরের প্রধান সড়কের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে। নদীর দু-পাশেই জীবনবৃক্ষ রয়েছে, যেগুলোতে প্রতি বছর ১২ বার অর্থাৎ প্রতি মাসে এক বার করে ফল ধরে। আর সেই গাছগুলোর পাতা জাতিগুলোকে সুস্থ করে তোলার জন্য কাজ করে।
৩ সেখানে কোনো অভিশাপ আর থাকবে না। সেই নগরে ঈশ্বর ও মেষশাবকের সিংহাসন থাকবে এবং ঈশ্বরের দাসেরা তাঁকে পবিত্র সেবা প্রদান করবে; ৪ আর তারা তাঁর মুখ দেখবে এবং তাদের কপালে তাঁর নাম লেখা থাকবে। ৫ রাত আর থাকবে না এবং তাদের আর প্রদীপের আলো কিংবা সূর্যের আলোর প্রয়োজন হবে না, কারণ যিহোবা* ঈশ্বর তাদের উপর আলো বর্ষণ করবেন। আর তারা যুগে যুগে চিরকাল রাজত্ব করবে।
৬ তিনি আমাকে বললেন: “এই কথাগুলো বিশ্বাসযোগ্য ও সত্য; হ্যাঁ, ঈশ্বর যিহোবা,* যিনি ভাববাদীদের মাধ্যমে কথা বলেন, তিনি তাঁর দাসদের সেই বিষয়গুলো দেখানোর জন্য তাঁর স্বর্গদূতকে পাঠিয়েছেন, যেগুলো শীঘ্রই ঘটবে। ৭ দেখো! আমি শীঘ্রই আসছি। সুখী সেই ব্যক্তি, যে এই গোটানো পুস্তকে লেখা ভবিষ্যদ্বাণীর কথাগুলো পালন করে।”
৮ আমি, যোহন, এইসমস্ত বিষয় শুনলাম ও দেখলাম। সেগুলো শোনার ও দেখার পর, যে-স্বর্গদূত আমাকে এইসমস্ত বিষয় দেখাচ্ছিলেন, তার উপাসনা করার জন্য আমি তার পায়ের সামনে উবুড় হয়ে পড়লাম। ৯ কিন্তু, তিনি আমাকে বললেন: “সাবধান! এমন কাজ কোরো না! আমি কেবল তোমার এবং তোমার ভাইদের অর্থাৎ ভাববাদীদের এবং এই গোটানো পুস্তকে লেখা কথাগুলো পালন করে এমন ব্যক্তিদের সহদাস। ঈশ্বরেরই উপাসনা করো।”
১০ তিনি আমাকে আরও বললেন: “এই গোটানো পুস্তকে লেখা ভবিষ্যদ্বাণীর কথাগুলো সিলমোহর দিয়ে বন্ধ কোরো না, কারণ নিরূপিত সময় কাছে এসে গিয়েছে। ১১ যে অধার্মিক, সে মন্দ কাজ করে চলুক এবং যে নোংরা আচরণ করে, সে নোংরা বিষয় করে চলুক; কিন্তু যে ধার্মিক, সে সঠিক কাজ করে চলুক আর যে পবিত্র, সে পবিত্র কাজ করে চলুক।
১২ “‘দেখো! আমি শীঘ্রই আসছি। আমি প্রত্যেককে তার কাজ অনুযায়ী ফল দেব। ১৩ আমিই আলফা ও ওমেগা* অর্থাৎ প্রথম ও শেষ, শুরু ও শেষ। ১৪ সুখী সেই ব্যক্তিরা, যারা নিজ নিজ কাপড় ধুয়েছে, যেন তারা জীবনবৃক্ষের কাছে যাওয়ার অধিকার লাভ করতে পারে এবং নগরের প্রবেশদ্বার দিয়ে নগরে প্রবেশ করতে পারে। ১৫ নগরের বাইরে কুকুরেরা,* প্রেতচর্চাকারীরা, যৌন অনৈতিকতায়* রত আছে এমন ব্যক্তিরা, খুনিরা ও প্রতিমাপূজকেরা রয়েছে আর সেইসঙ্গে এমন সমস্ত লোক রয়েছে, যারা মিথ্যা ভালোবাসে এবং মিথ্যা বলে থাকে।’
১৬ “‘আমি যিশু, আমি আমার স্বর্গদূতকে পাঠালাম, যেন সে মণ্ডলীগুলোর উপকারের জন্য তোমাদের কাছে এইসমস্ত বিষয়ে সাক্ষ্য দেয়। আমি দায়ূদের মূল ও বংশধর এবং উজ্জ্বল শুকতারা।’”
১৭ পবিত্র শক্তি এবং মেষশাবকের কনে এই কথা বলছেন, “এসো!” আর যে-কেউ এই কথা শোনে, সে-ও বলুক, “এসো!” আর যে-কেউ তৃষ্ণার্ত, সে আসুক; যে-কেউ ইচ্ছা করে, সে বিনা মূল্যে জীবনজল গ্রহণ করুক।
১৮ “যে-কেউ এই গোটানো পুস্তকে লেখা ভবিষ্যদ্বাণীর কথাগুলো শোনে, তার কাছে আমি এই সাক্ষ্য দিচ্ছি: কেউ যদি এই বিষয়গুলোর সঙ্গে কিছু যুক্ত করে, তা হলে ঈশ্বর তার উপর এই গোটানো পুস্তকে লেখা আঘাতগুলো আনবেন; ১৯ আর কেউ যদি ভবিষ্যদ্বাণীর এই গোটানো পুস্তকের কথাগুলো থেকে কোনো কিছু বাদ দেয়, তা হলে ঈশ্বর তাকে এই গোটানো পুস্তকে লেখা ভালো বিষয়গুলো লাভ করতে দেবেন না। অর্থাৎ ঈশ্বর তাকে জীবনবৃক্ষের ফল খেতে ও সেইসঙ্গে পবিত্র নগরে প্রবেশ করতে দেবেন না।
২০ “যিনি এই বিষয়গুলো সম্বন্ধে সাক্ষ্য দিচ্ছেন, তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি শীঘ্রই আসছি।’”
“আমেন! প্রভু যিশু, এসো।”
২১ প্রভু যিশুর মহাদয়া পবিত্র ব্যক্তিদের সঙ্গে থাকুক।