গিলিয়েড স্কুল তার ১০০তম ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের বিদেশে পাঠায়
আধুনিক কালে পৃথিবীব্যাপী ঈশ্বরের রাজ্য ঘোষণার ক্ষেত্রে দ্যা ওয়াচটাওয়ার বাইবেল স্কুল অফ গিলিয়েড এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে। ১৯৪৩ সাল থেকে গিলিয়েড স্কুল যখন মিশনারীদের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করে, তখন থেকে এর স্নাতকেরা ২০০রও বেশি দেশে পরিচর্যা করে আসছে। ২রা মার্চ, ১৯৯৬ সালে, ১০০তম ক্লাসটি স্নাতকোত্তর লাভ করে।
ছাত্রছাত্রীরা এমন এক সময় স্কুলে যোগদান করেছিল যখন নিউ ইয়র্ক, প্যাটারসনের ওয়াচটাওয়ার শিক্ষাকেন্দ্রে প্রায় দুই মিটারের উপর তুষারপাত ঘটে। এটা কোন আশ্চর্যের বিষয় ছিল না যে গ্র্যাজুয়েশনের দিনে বরফ পড়ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও, অডিটোরিয়ামটি পূর্ণ ছিল এবং প্যাটারসন, ওয়ালকিল ও ব্রুকলিনে অধিক পরিমাণে দর্শকেরা অনুষ্ঠানটি শুনেছিল—মোট ২,৮৭৮ জন ব্যক্তি।
থিয়োডর জারাস, পরিচালক গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত শিক্ষা কমিটির সদস্য, সভাপতির স্থানটি গ্রহণ করেছিলেন। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অতিথিদের উদ্দেশ্যে সাদর সম্ভাষণ জানানোর পর, তিনি সকলকে উঠে দাঁড়িয়ে ৫২ সংখ্যার গান গাইতে আহ্বান করেন। যিহোবার প্রশংসায় অডিটোরিয়ামটি কেঁপে ওঠে যখন তারা যিহোবার উদ্দেশ্যে স্তুতি গান (ইংরাজি) নামক বইটির থেকে “আমাদের পিতার নাম,” এই গানটি গাইতে শুরু করে। ঐ গানটি এবং যিহোবাকে প্রশংসা করার জন্য শিক্ষার ব্যবহার এই বিষয়ের উপর সভাপতির কয়েকটি মন্তব্য, পরবর্তী অনুষ্ঠানের আমেজকে তুলে ধরে।
প্রাচীন ব্যক্তিদের কাছ থেকে শাস্ত্রীয় উপদেশ
অনুষ্ঠানের প্রথম ভাগটি গ্র্যাজুয়েটিং ক্লাসের উদ্দেশ্যে দেওয়া যিহোবার দীর্ঘকালীন দাসেদের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার দ্বারা প্রস্তুত করা হয়। রিচার্ড এব্রাহেমসান, প্রধান কার্যালয়ের একজন সদস্য যিনি তার পূর্ণ-সময়ের পরিচর্যার কাজ শুরু করেন ১৯৪০ সালে, তিনি ক্লাসটিকে উৎসাহ দিয়ে বলেন: “ক্রমাগতভাবে পুনর্বিন্যাসিত হয়ে চলুন।” তিনি তাদের মনে করিয়ে দেন যে তারা ইতিমধ্যেই তাদের খ্রীষ্টীয় জীবনে নানা ধরনের পুনর্বিন্যাসমূলক সময়ের মোকাবিলা করে এসেছেন আর এর অন্তর্ভুক্ত হল তাদের এই পাঁচ মাসের গিলিয়েড স্কুল। অতএব এখনও কেন তাদের পুনর্বিন্যাসিত হওয়া উচিত?
বক্তা ব্যাখ্যা করেন যে প্রেরিত পৌলের দ্বারা ২ করিন্থীয় ১৩:১১ পদে ব্যবহৃত অভিব্যক্তিটির “অর্থ হল এক ক্রমাগত পদ্ধতি, যিহোবা যেভাবে একজনকে তৈরি অথবা শোধিত করেন, এক সমন্বয় সাধন করেন, তার প্রতি অবিরত বশ্যতা স্বীকার, যার ফলে একজন আরও অধিকমাত্রায় যিহোবার নিখুঁত মানকে পালন করতে পারে।” তাদের এই বিদেশের কার্যভারে, গ্র্যাজুয়েটিং ক্লাসকে তাদের বিশ্বাসের ক্ষেত্রে নতুন প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন হতে হবে। তাদের নতুন ভাষা শেখার প্রয়োজনীয়তা থাকবে, ভিন্ন সংস্কৃতি ও জীবনধারার সাথে তাদের মানিয়ে নিতে হবে এবং বিভিন্ন ধরনের এলাকার সাথে তাদের খাপ খাওয়াতে হবে। এছাড়াও তাদের মিশনারী হোমে এবং নতুন মণ্ডলীগুলিতে বিভিন্ন রকমের ব্যক্তিত্বের সাথে মিশতে হবে। তারা যদি এই সমস্ত পরিস্থিতিতে সতর্কতার সাথে বাইবেলের মানগুলিকে প্রয়োগ করতে পারে আর স্বেচ্ছায় পুনর্বিন্যাসিত হতে চায়, তাহলে, যেমন প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন তারাও “আনন্দ” করতে পারবে।
জন বার, পরিচালক গোষ্ঠীর পাঁচজন সদস্যদের মধ্যে একজন যিনি এই অনুষ্ঠানে যোগদান করেন, তিনি তার বিষয়বস্তু ১ করিন্থীয় ৪:৯ পদ থেকে বেছে নেন। তিনি তার শ্রোতাদের মনে করিয়ে দেন যে খ্রীষ্টানেরা দূত ও মানুষের সামনে প্রদর্শিত। “এটা জানতে পারা,” তিনি বলেন, “অতীবমাত্রায় খ্রীষ্টীয় জীবনধারার গুরুত্বকে বাড়িয়ে তোলে, বিশেষ করে যখন সে উপলব্ধি করে যে সে যা বলছে বা করছে তা তাদের উপর এক স্পষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে যারা তাকে দেখছে, অদৃশ্যভাবেই হোক বা দৃশ্যত। আমি বিশ্বাস করি যে এটি এমন একটি বিষয় যা ১০০তম গিলিয়েড ক্লাসের প্রিয় ভাই ও বোনেরা আপনারা যদি মনে রাখেন ত ভাল হয় যখন আপনারা পৃথিবীর সুদূর প্রান্তরে যাবেন।”
ভাই বার ৪৮ জন ছাত্রছাত্রীদের, তারা যখন মেষতুল্য ব্যক্তিদের সত্য শিখতে সাহায্য করবে, এই কথা মনে রাখতে উৎসাহ দেন যে “এক জন পাপী মন ফিরাইলে ঈশ্বরের দূতগণের সাক্ষাতে আনন্দ হয়।” (লূক ১৫:১০) ১ করিন্থীয় ১১:১০ পদের প্রতি নির্দেশ করে তিনি দেখান যে ঐশিক ব্যবস্থার প্রতি একজনের মনোভাব কেবলমাত্র আমাদের ভাই ও বোন যাদের আমরা দেখতে পাই তাদের উপরেই প্রভাব ফেলে না, কিন্তু দূতেদের উপরেও ফেলে যাদের আমরা দেখতে পাই না। এই ব্যাপক চিত্রটি মনের মধ্যে রাখা কতই না উপকারজনক!
পরিচালক গোষ্ঠীর আরেকজন সদস্য, গেরিট লোস, যিনি নিজেই একজন গিলিয়েড স্কুলের স্নাতক, তিনি কিছু শাস্ত্র যেমন গীতসংহিতা ১২৫:১, ২; সখরিয় ২:৪, ৫; এবং গীতসংহিতা ৭১:২১ পদের উপর আলোচনা করেন এটা দেখানোর জন্য যে যিহোবা ‘তাঁর লোকেদের ঘিরে রাখেন।’ তিনি তাদের জন্য সর্বদিক দিয়ে সুরক্ষার ব্যবস্থা করেন। ঈশ্বর কি কেবলমাত্র মহাক্লেশের সময়েই এইধরনের সুরক্ষা দেবেন? “না,” বক্তা এর উত্তর দেন, “কারণ যিহোবা ইতিমধ্যেই একজন ‘অগ্নিবৎ প্রাচীর’, তাঁর লোকেদের জন্য এক সুরক্ষাস্বরূপ। ১৯১৯ সালে যুদ্বের পরবর্তী বছরে দেখতে পাওয়া যায় যে আত্মিক ইস্রায়েলের অবশিষ্টাংশেরা জগদ্ব্যাপী সমগ্র জাতির কাছে সাক্ষ্য দেওয়ার নিমিত্তে রাজ্যের সুমাচার প্রচার করতে আগ্রহ দেখায়। তারা ছিল স্বর্গের রূপক যিরূশালেমের প্রতিনিধি। শেষকালের সময় যিহোবা দলগতভাবে এই প্রতিনিধিদের ঐশিক রক্ষণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কে সক্রিয়ভাবে এদের থামাতে পারে? কেউ নয়।” তাদের পক্ষে এবং যারা ঘনিষ্ঠভাবে তাদের সাথে মেলামেশা করে ঐশিক ইচ্ছা পালন করছে তাদের জন্যও এটি কতই না আশ্বাসজনক!
ইউলিসিস গ্লাস, যিনি এই স্কুল বিভাগের একজন অভিজ্ঞ সদস্য, তিনি এই ক্লাসটিকে উৎসাহ দেন যে তারা যেন ‘যিহোবার জগদ্ব্যাপী সংগঠনের মধ্যে নিজেদের কুলুঙ্গি করে নেয়।’ কুলুঙ্গি হল এমন এক পরিস্থিতি বা কার্যকলাপ যা একজন ব্যক্তির ক্ষমতা অথবা চরিত্রের সাথে খাপ খায়। “আপনারা যারা সম্ভাব্য মিশনারী আপনারা যিহোবা সাক্ষীদের জগদ্ব্যাপী সংগঠনের মধ্যে নিজেদের কুলুঙ্গি খুঁজে পেয়েছেন,” তিনি ঘোষণা করেন। “কিন্তু, আজ এটি যেমন মূল্যবান, এটি আপনাদের মিশনারী জীবনের আরম্ভ মাত্র।” তাদের প্রয়োজন হবে নিজেদেরকে প্রয়োগ করা যাতে করে তারা তাদের ক্ষমতাকে ব্যবহার করতে পারে এবং যিহোবা ও তাঁর সংগঠন তাদের যে বিশেষ কার্যভার দিচ্ছে তার সাথে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে পারে।
এই অনুষ্ঠানের শেষ বক্তৃতাটি দেন ওয়ালেস লিভারেন্স, গিলিয়েড বিভাগের এক সদস্য যিনি ১৭ বছর ধরে বলিভিয়াতে পরিচর্যা করে এসেছেন। “আপনি কি ঈশ্বরকে পরীক্ষা করবেন?” তিনি ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রাখেন। তাদের কিভাবে এটা করা উচিত? ইস্রায়েল জাতি ভুলভাবে ঈশ্বরের পরীক্ষা করেছিল। (দ্বিতীয় বিবরণ ৬:১৬) “স্পষ্টতই, অভিযোগ অথবা বচসা অথবা তিনি যে ভাবে বিষয়ের সমাধান করেন তার প্রতি বিশ্বাসের অভাব প্রদর্শন করার মাধ্যমে ঈশ্বরকে পরীক্ষা করা হবে অন্যায়,” বক্তা মন্তব্য করেন। “আপনি যখন আপনার নতুন কার্য স্থানে যাবেন, তখন সেই প্রবণতাকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করবেন,” তিনি উপদেশ দেন। তাহলে ঈশ্বরকে পরীক্ষা করার সঠিক উপায়টি কী? “এটি হল তিনি যা বলেন তা সঠিকভাবে পালন করা ও তাঁর বাক্যকে বিশ্বাস করার মাধ্যমে এবং তারপর এর পরিণতি তাঁর হাতে ছেড়ে দেওয়া,” ভাই লিভারেন্স ব্যাখ্যা করেন। মালাখি ৩:১০ পদে যেমন দেখা যায়, যিহোবা তাঁর লোকেদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন: “আমার পরীক্ষা কর।” তিনি প্রতিজ্ঞা করেন যে তারা যদি তাদের দশমাংশ মন্দিরের ভাণ্ডারে নিয়ে আসে, তাহলে তিনি তাদের আশীর্বাদ করবেন। “আপনাদের এই মিশনারী কার্যভারকে সেই একই দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখুন না কেন?” বক্তা জিজ্ঞাসা করেন। “যিহোবা চান যে আপনি যেন এই ক্ষেত্রে সফল হন, অতএব তাঁর পরীক্ষা করুন। আপনারা কার্যভারে লেগে থাকুন। যে ধরনের বিন্যাস তিনি চান তা করুন। সহিষ্ণু হোন। দেখুন তিনি আপনাকে আশীর্বাদ করেন কি না।” সকলে যারা যিহোবার সেবা করছে তাদের জন্য কতই না এক উত্তম উপদেশ!
একটি গানের পর অনুষ্ঠানটি বক্তৃতার পরিবর্তে ধারাবাহিক কিছু আনন্দকর সাক্ষাৎকারের রূপ নেয়।
ক্ষেত্র থেকে আসা কিছু বাস্তবধর্মী অভিব্যক্তি
মার্ক নুমেয়ার, গিলিয়েড বিভাগের এক নতুন সদস্য, স্কুলে যোগদানের সময় তাদের ক্ষেত্রের পরিচর্যার কিছু অভিজ্ঞতার কথা বলতে ছাত্রছাত্রীদের আহ্বান জানান। পরিচর্যায় নিজের থেকে এগিয়ে এসে কিছু করার যে মূল্য এটাই তারা আলোকপাত করে এবং দর্শকদের কিছু বাস্তবধর্মী ধারণা দেয় যা তারা ব্যবহার করতে পারে।
স্কুল চলাকালীন, গিলিয়েড ক্লাসের ছাত্রেরা ৪২টি দেশ থেকে আগত শাখা কমিটির সদস্যদের সাথে সহভাগিতা করে বিশেষভাবে উপকৃত হয়, যারা প্যাটারসন শিক্ষা কেন্দ্রে এক বিশেষ প্রশিক্ষণের জন্য উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে অনেকে বিগত বছরগুলিতে গিলিয়েড থেকে স্নাতকোত্তর লাভ করেছিলেন। অনুষ্ঠানের মধ্যে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল ৩য়, ৫ম, ৫১তম ও ৯২তম ক্লাসের প্রতিনিধিদের আর এছাড়াও ছিল জার্মানির গিলিয়েড একস্টেনশন স্কুলের সদস্যেরা। তাদের মন্তব্যগুলি কতই না উপকারজনক ছিল!
তারা জানান যে মিশনারীদের কিধরনের উপলব্ধিবোধ হয়েছিল যখন তারা দেখে যে তাদের এই কার্যভারে কিভাবে যিহোবার প্রশংসাকারীদের সংখ্যা মুষ্টিমেয় সংখ্যা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে সহস্রাধিকে দাঁড়িয়েছে। অ্যান্ডিস পাহাড়ে ছড়িয়ে থাকা অধিবাসী এবং অ্যামাজন নদীর তীরবর্তী গ্রামে সুসমাচার প্রচারে তাদের যে অংশ ছিল সেই বিষয়ে তারা উল্লেখ করেন। নিরক্ষর লোকেদের কাছে সাক্ষ্য দেওয়ার সম্বন্ধেও তারা আলোচনা করেন। নতুন ভাষাগুলি শিখতে তাদের যে পরিশ্রম করতে হয়েছিল এবং বাস্তবিকভাবে কত তাড়াতাড়ি এই স্নাতকেরা কিছু ভাষা যেমন চীন ভাষায় সাক্ষ্য দিতে বা বক্তৃতা দেওয়ার আশা রাখতে পারে এই বিষয়েও তারা মন্তব্য করেন। এমনকি উদাহরণস্বরূপ তারা স্পেনীয় ও চাইনিজ ভাষায় উপস্থাপনার কিছু নমুনা প্রদর্শন করেন। তারা বিশেষভাবে জোর দেন এই বিষয়ের উপর যে মিশনারীরা সবচাইতে কার্যকারী হয়ে ওঠে যখন তারা কেবলমাত্র ভাষাই নয়, কিন্তু লোকেদের চিন্তাধারা সম্বন্ধে বোধগম্যতা অর্জন করে। দরিদ্র দেশগুলিতে যে প্রায়ই কঠোর জীবনধারা দেখা যায় সে সম্বন্ধে তারা বলে এবং মন্তব্য করে যে: “মিশনারীদের অবশ্যই উপলব্ধি করা উচিত যে এইধরনের পরিস্থিতি প্রায়ই শোষণের সাথে সম্পর্কযুক্ত। একজন মিশনারী খুবই ভাল করবেন যদি তিনি সেই রকম উপলব্ধিবোধ গড়ে তোলেন যা যীশু দেখিয়েছিলেন-----তাঁর সেই সব লোকেদের প্রতি করুণা ছিল যারা ঠিক পালকবিহীন মেষেদের তুল্য ছিল।”
গানের পর অনুষ্ঠানটি চলতে থাকে পরিচালক গোষ্ঠীর সদস্য এ. ডি. শ্রোডারের বক্তৃতার মাধ্যমে। ১৯৪৩ সালে গিলিয়েড স্কুল যখন শুরু হয় তখন সেখানকার নির্দেশদাতা হওয়ার সুযোগ তার হয়েছিল। অনুষ্ঠানের এক যথার্থ সমাপ্তিস্তরে, তিনি “সার্বভৌম প্রভু হিসাবে যিহোবার প্রশংসা কর” এই বিষয়টিকে নিয়ে আলোচনা করেন। ২৪তম গীতের উপর ভাই শ্রোডারের হৃদয়গ্রাহী আলোচনা উপস্থিত সকলকে অত্যন্ত মুগ্ধ করেছিল এই উপলব্ধি করতে যে সার্বভৌম প্রভু হিসাবে যিহোবার প্রশংসা করা কতই না এক উত্তম সুযোগ।
ডিপ্লোমা বন্টন ও শেষ গানটির পর, পরিচালক গোষ্ঠীর সদস্য কার্ল ক্লাইন এক মর্মস্পর্শী প্রার্থনার দ্বারা সমাপ্তির ঘোষণা করেন। কতই না বাস্তবধর্মী ও আধ্যাত্মিকভাবে সতেজতাপূর্ণ অনুষ্ঠান এটি ছিল!
গ্র্যাজুয়েশনের পরবর্তী দিনগুলিতে, ১০০তম ক্লাসের ৪৮ জন সদস্যেরা ১৭টি দেশে তাদের মিশনারীর কার্যভার নিয়ে রওনা হয়। কিন্তু তারা তাদের পরিচর্যার কাজ এই প্রথম শুরু করতে যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই তাদের পূর্ণ-সময় খ্রীষ্টীয় পরিচর্যার এক উত্তম রেকর্ড রয়েছে। যখন তারা গিলিয়েডের জন্য তালিকাভুক্ত হয়, তখন গড়ে তাদের বয়স ছিল ৩৩ বছর এবং তারা ১২ বছরের উপর পূর্ণ-সময়ের পরিচর্যা কাজে ব্যয় করেছে। এদের মধ্যে কয়েকজন ওয়াচ টাওয়ার সোসাইটির জগদ্ব্যাপী বেথেল পরিবারের সদস্য ছিল। অন্যান্যেরা ভ্রমণ অধ্যক্ষ হিসাবে কাজ করে এসেছে। কয়েকজন ছাত্রছাত্রী ইতিমধ্যেই কোন না কোন ধরনের বিদেশী কাজে অংশ গ্রহণ করেছে-----যেমন আফ্রিকা, ইউরোপ, দক্ষিণ আমেরিকা, সমুদ্রের দ্বীপপুঞ্জগুলি এবং তাদের নিজেদের দেশে বিদেশী ভাষার দলগুলির মধ্যে। কিন্তু এখন তারা অন্যান্য বহু মিশনারীদের সাথে যোগ দিতে চলেছে যারা আনন্দের সাথে বলতে পারে, ‘পৃথিবীর যেখানে আমাদের প্রয়োজন আমরা সেখানেই কাজ করব।’ তাদের হৃদয়ের ইচ্ছা হল যিহোবার মহিমার্থে তাদের জীবনকে ব্যবহার করা।
[২৭ পৃষ্ঠার বাক্স]
ক্লাস পরিসংখ্যান:
বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিনিধিদের সংখ্যা: ৮
বিভিন্ন দেশে নির্বাচিতদের সংখ্যা: ১৭
ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা: ৪৮
বয়সের গড়: ৩৩.৭৫
সত্যে থাকার গড় বছর: ১৭.৩১
পূর্ণ-সময় পরিচর্যায় গড় বছর: ১২.০৬
[২৬ পৃষ্ঠার চিত্র]
ওয়াচটাওয়ার বাইবেল স্কুল অফ গিলিয়েডের ১০০তম গ্র্যাজুয়েটিং ক্লাস
নিম্নলিখিত তালিকাতে, সামনে থেকে পিছনে সারিগুলি গণিত হয়েছে এবং নামগুলি প্রতিটি সারিতে বাঁ দিক থেকে ডান দিকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
(১) শার্লি, এম.; গ্রুন্ডস্ট্রম, এম.; গেনারডিনি, ডি.; গিয়াইমো, জে.; শুড, ডাব্লু.; ফেয়ার, পি.; বুখানান, সি.; রবিনসন, ডি. (২) পাইন, সি.; ক্রাউস, বি.; রাসিকট, টি.; হানসেন, এ.; বিটস্, টি.; বার্গ, জে.; গারসিয়া, এন.; ফ্লেমিং, কে. (৩) হুইনারী, এল.; হুইনারী, এল.; হার্পস্, সি.; গিয়াইমো, সি.; বার্গ, টি.; মান, সি.; বেরিয়স, ভি.; ফাইফার, সি. (৪) রানডাল্, এল.; গেনারডিনি, এস.; ক্রাউস, এইচ.; ফ্লেমিং, আর.; ডি’আবাডাই, এস.; শার্লি, টি.; স্টিভেনসন, জি.; বুখানান, বি. (৫) রবিন্সন্, টি.; গারসিয়া, জে.; হার্পস্, পি.; রাসিকট, ডি.; ডি’আবাডাই, এফ.; ফেইর, এম.; স্টিভেনসন্, জি.; শুড, ডি. (৬) বিটস্, এল.; ফাইফার, এ.; বেরিয়স, এম.; পাইন, জে.; মান, এল.; রানডাল্, পি.; গ্রুন্ডস্ট্রম, জে.; হানসেন, জি.