ইলীশায় অগ্নিময় রথ দেখেছিলেন আপনিও কি দেখেন?
অরামের রাজা ঈশ্বরের ভাববাদী ইলীশায়কে ধরার জন্য খুঁজছেন এবং তিনি তাকে ধাওয়া করে পাহাড়ের ওপর অবস্থিত প্রাচীরবেষ্টিত নগর দোথন পর্যন্ত আসেন। রাতের মধ্যেই অরামের শাসক দোথনে অশ্ব, যুদ্ধরথ এবং সৈন্যবাহিনী পাঠিয়ে দেন। ভোর বেলার মধ্যে তার সৈন্যবাহিনী সেই নগর বেষ্টন করে ফেলে।—২ রাজা. ৬:১৩, ১৪.
ইলীশায়ের পরিচারক যখন ঘুম থেকে উঠে বাইরে যান, তখন তিনি ভাববাদীকে বন্দি করে নিয়ে যাওয়ার জন্য আগত সৈন্যদের দেখেন। “হায় হায়, হে প্রভু! আমরা কি করিব?” তিনি চিৎকার করে বলেন। “ভয় করিও না,” ইলীশায় বলেন, “উহাদের সঙ্গীদের অপেক্ষা আমাদের সঙ্গী অধিক।” তার পর ভাববাদী এই প্রার্থনা করেন, “হে সদাপ্রভু, বিনয় করি, ইহার চক্ষু খুলিয়া দেও, যেন এ দেখিতে পায়।” এই বিবরণ আরও বলে, “তখন সদাপ্রভু সেই যুবকটীর চক্ষু খুলিয়া দিলেন, এবং সে দেখিতে পাইল, আর দেখ, ইলীশায়ের চারিদিকে অগ্নিময় অশ্বে ও রথে পর্ব্বত পরিপূর্ণ।” (২ রাজা. ৬:১৫-১৭) ইলীশায়ের জীবনের এই ঘটনা এবং অন্যান্য ঘটনা থেকে আমরা কী শিখতে পারি?
ইলীশায় অরামীয় সৈন্যদের অবরোধের মুখেও শান্ত ছিলেন কারণ তিনি যিহোবার ওপর নির্ভর করেছিলেন এবং ঈশ্বরের সুরক্ষামূলক শক্তিকে কার্যরত দেখেছিলেন। বর্তমানে আমরা কোনো অলৌকিক কাজ দেখব বলে আশা করি না কিন্তু আমরা উপলব্ধি করতে পারি যে, যিহোবা তাঁর লোকেদেরকে একটা দল হিসেবে সুরক্ষা করছেন। এক অর্থে আমরাও অগ্নিময় অশ্ব এবং রথের দ্বারা পরিবেষ্টিত। আমরা যদি আমাদের বিশ্বাসের চোখ দিয়ে তাদের ‘দেখিতে পাই’ এবং সবসময় ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করি, তাহলে আমরা “নির্ভয়ে বাস” করতে এবং যিহোবার আশীর্বাদ লাভ করতে পারব। (গীত. ৪:৮) আসুন আমরা বিবেচনা করে দেখি যে, কীভাবে আমরা ইলীশায়ের জীবনের অন্যান্য ঘটনা থেকে উপকার লাভ করতে পারি।
ইলীশায় এলিয়ের সেবা করতে শুরু করেন
একবার ইলীশায় যখন জমিতে হাল চাষ করছিলেন, তখন ভাববাদী এলিয় তার কাছে এসে নিজের শাল ইলীশায়ের ওপর ফেলে দেন। এর অর্থ কী, ইলীশায় তা জানতেন। তিনি একটা ভোজের আয়োজন করেন, তার বাবা-মাকে বিদায় জানান এবং এলিয়ের পরিচর্যা করার জন্য বাড়ি ত্যাগ করেন। (১ রাজা. ১৯:১৬, ১৯-২১) যেহেতু ইলীশায় যথাসম্ভব পূর্ণরূপে ঈশ্বরের সেবা করার জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন, তাই তিনি যিহোবার এক মাধ্যম হয়ে উঠেছিলেন এবং পরিশেষে এলিয়ের পরিবর্তে ভাববাদী হিসেবে সেবা করেছিলেন।
ইলীশায় সম্ভবত ছয় বছর ধরে এলিয়ের সেবা করেন। সেই সময় ইলীশায়ই “এলিয়ের হস্তের উপরে জল ঢালিতেন।” (২ রাজা. ৩:১১) তখনকার দিনে, আহারের পর একজন দাস তার প্রভুর হাত পরিষ্কার করার জন্য হাতে জল ঢালতেন। তাই, অন্ততপক্ষে ইলীশায়ের কিছু কাজ নিচু ছিল। তা সত্ত্বেও, তিনি এলিয়ের পরিচারক হওয়াকে এক বিশেষ সুযোগ হিসেবে গণ্য করেছিলেন।
বর্তমানে, অনেক খ্রিস্টানও বিভিন্ন ধরনের পূর্ণসময়ের পরিচর্যা করে থাকে। তা করার পিছনে তাদের অনুপ্রেরণা হল বিশ্বাস এবং যিহোবার সেবা করায় যতটা সম্ভব পূর্ণরূপে তাদের শক্তি ব্যবহার করার এক আকাঙ্ক্ষা। কিছু কার্যভারের জন্য তাদেরকে বাড়ি ত্যাগ করে এমন ধরনের কাজ—বেথেলের কাজ, নির্মাণ প্রকল্পের কাজ এবং অন্যান্য কাজ—করতে হয়, যেগুলোকে অনেকে হয়তো নীচু চোখে দেখে থাকে। কোনো খ্রিস্টানেরই এইরকম এক সেবাকে তুচ্ছ বা নগণ্য হিসেবে দেখা উচিত নয় কারণ যিহোবা এই সেবাকে উচ্চমূল্য দিয়ে থাকেন।—ইব্রীয় ৬:১০.
ইলীশায় তার কার্যভারে লেগে থাকেন
ঈশ্বর ‘এলিয়কে ঘূর্ণবায়ুতে স্বর্গে তুলিয়া লওয়ার’ আগে তিনি ভাববাদীকে গিল্গল থেকে বৈথেলে পাঠান। এলিয় তার সঙ্গীকে বলেন যেন তিনি তার সঙ্গে সঙ্গে না আসেন কিন্তু ইলীশায় উত্তর দেন: “আমি আপনাকে ছাড়িব না।” যাত্রার সময় এলিয় আরও দু-বার ইলীশায়কে থেকে যেতে বলেন কিন্তু এতে কোনো লাভ হয় না। (২ রাজা. ২:১-৬) ঠিক যেমন রূৎ নয়মীকে ছেড়ে যাননি, তেমনই ইলীশায়ও এলিয়কে ছেড়ে যাননি। (রূৎ. ১:৮, ১৬, ১৭) কেন? স্পষ্টতই এর কারণ ছিল ইলীশায় এলিয়কে পরিচর্যা করার বিষয়ে তার ঈশ্বরদত্ত বিশেষ সুযোগকে মূল্যবান বলে গণ্য করেছিলেন।
ইলীশায় আমাদের জন্য এক উত্তম উদাহরণ স্থাপন করেন। ঈশ্বরের সংগঠনে আমরা যদি বিশেষ সুযোগ পাই, তাহলে আমরা সেই সময় এটাকে উচ্চমূল্য দেব, যদি আমরা মনে রাখি যে, আমরা যিহোবার সেবা করছি। এর চেয়ে বড়ো সম্মান আর কিছু নেই।—গীত. ৬৫:৪; ৮৪:১০.
‘তোমার নিমিত্ত আমি কি করিব? তাহা যাচ্ঞা কর’
তারা দু-জন যখন যাত্রা করছিল, তখন এলিয় ইলীশায়কে বলেছিলেন: “তোমার নিমিত্ত আমি কি করিব? তাহা তোমার নিকট হইতে আমার নীত হইবার পূর্ব্বে যাচ্ঞা কর।” ঠিক যেমন কয়েক বছর আগে শলোমনের অনুরোধ আধ্যাত্মিক বিষয়ক ছিল, তেমনই ইলীশায়ের অনুরোধও আধ্যাত্মিক বিষয়ক ছিল। তিনি চেয়েছিলেন, যেন ‘এলিয়ের আত্মার দুই অংশ তাহাতে বর্ত্তে।’ (১ রাজা. ৩:৫, ৯; ২ রাজা. ২:৯) ইস্রায়েলে, একজন ব্যক্তির প্রথমজাত পুত্র উত্তরাধিকারের দুই অংশ লাভ করত। (দ্বিতীয়. ২১:১৫-১৭) তাহলে বলা যায় যে, ইলীশায় চেয়েছিলেন যেন তাকে এলিয়ের আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারী হিসেবে গণ্য করা হয়। এ ছাড়া, স্পষ্টতই ইলীশায় সেই এলিয়ের মতো একই সাহসী মনোভাব চেয়েছিলেন, যিনি “সদাপ্রভুর পক্ষে অতিশয় উদ্যোগী” ছিলেন।—১ রাজা. ১৯:১৩, ১৪.
এলিয় তাঁর পরিচারকের অনুরোধে কী উত্তর দিয়েছিলেন? তুমি “কঠিন বর যাচ্ঞা করিলে,” ভাববাদী বলেছিলেন। “যদি তোমার নিকট হইতে নীত হইবার সময়ে আমাকে দেখিতে পাও, তবে তোমার প্রতি তাহা বর্ত্তিবে; কিন্তু না দেখিলে বর্ত্তিবে না।” (২ রাজা. ২:১০) স্পষ্টতই এলিয়ের উত্তরের দুটো তাৎপর্য ছিল। প্রথমত, ইলীশায় যা অনুরোধ করেছিলেন, তা লাভ করবেন কি না, সেটা একমাত্র ঈশ্বরই নির্ধারণ করতে পারেন। দ্বিতীয়ত, ইলীশায় যদি তা লাভ করতে চান, তাহলে যা-ই ঘটুক না কেন, এলিয়ের সঙ্গে থাকার বিষয়ে তার সংকল্পে স্থির থাকতে হবে।
ইলীশায় যা দেখেন
এলিয়ের আত্মার দুই অংশের বিষয়ে ইলীশায়ের অনুরোধকে ঈশ্বর কীভাবে দেখেছিলেন? বিবরণ বলে: “এইরূপ ঘটিল; তাঁহারা যাইতে যাইতে কথা কহিতেছেন, ইতিমধ্যে দেখ, অগ্নিময় এক রথ ও অগ্নিময় অশ্বগণ আসিয়া তাঁহাদিগকে পৃথক্ করিল, এবং এলিয় ঘূর্ণবায়ুতে স্বর্গে উঠিয়া গেলেন। আর ইলীশায় তাহা দেখিলেন।”a ইলীশায়ের অনুরোধের প্রতি এটাই ছিল যিহোবার উত্তর। ইলীশায় এলিয়কে তার কাছ থেকে নীত হতে দেখেন, এলিয়ের আত্মার দুই অংশ লাভ করেন এবং ভাববাদীর আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারী হয়ে ওঠেন।—২ রাজা. ২:১১-১৪.
ইলীশায় এলিয়ের পতিত শাল তুলে নেন এবং সেটা গায়ে দেন। সেই বস্ত্র তখন ইলীশায়কে ঈশ্বরের ভাববাদী হিসেবে শনাক্ত করেছিল। তার নিয়োগের আরও প্রমাণ সেই সময় স্পষ্ট হয়, যখন পরে তিনি জর্দন নদীর জলকে দু-ভাগ করার মাধ্যমে এক অলৌকিক কাজ সম্পাদন করেন।
এলিয়কে ঘূর্ণবায়ুর মধ্যে দিয়ে তুলে নেওয়ার সময় ইলীশায় যা দেখেছিলেন, তা নিঃসন্দেহে তার ওপর এক গভীর ছাপ ফেলেছিল। কারণ একজন ব্যক্তি প্রতিদিন অগ্নিময় যুদ্ধরথ এবং অগ্নিময় অশ্ব দেখতে পান না! এগুলো ইলীশায়ের অনুরোধের প্রতি যিহোবার ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার প্রমাণ জুগিয়েছিল। ঈশ্বর যখন আমাদের প্রার্থনার উত্তর দেন, তখন আমরা অগ্নিময় কোনো যুদ্ধরথ এবং অশ্ব দেখি না। কিন্তু আমরা উপলব্ধি করতে পারি যে, ঈশ্বর তাঁর ইচ্ছা সাধন করার বিষয়টা নিশ্চিত করার জন্য তাঁর মহাশক্তি ব্যবহার করেন। আর আমরা যখন দেখি যে, যিহোবা তাঁর সংগঠনের পার্থিব অংশকে আশীর্বাদ করছেন, তখন আমরা আসলে ‘দেখিতে পাই’ যে, তাঁর স্বর্গীয় রথ কার্যরত।—যিহি. ১০:৯-১৩.
ইলীশায়ের এমন অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছিল, যেগুলো তাকে যিহোবার অসাধারণ শক্তি সম্বন্ধে দৃঢ়প্রত্যয়ী করেছিল। বস্তুতপক্ষে, ঈশ্বরের পবিত্র আত্মা ভাববাদীকে ১৬-টা অলৌকিক কাজ করতে সাহায্য করেছিল—এলিয়ের চেয়ে দুই গুণ বেশি।b দ্বিতীয় বার ইলীশায় দোথনের সংকটের সময় অগ্নিময় অশ্ব এবং যুদ্ধরথ দেখেছিলেন, যা এই প্রবন্ধের শুরুতে বর্ণনা করা হয়েছে।
ইলীশায় যিহোবার ওপর নির্ভর করেন
দোথনে শত্রুদের দ্বারা পরিবেষ্টিত হওয়া সত্ত্বেও ইলীশায় শান্ত ছিলেন। কেন? কারণ তিনি যিহোবার ওপর দৃঢ়বিশ্বাস গড়ে তুলেছিলেন। আমাদেরও এই রকম বিশ্বাসের প্রয়োজন। তাই, আসুন আমরা ঈশ্বরের পবিত্র আত্মার জন্য প্রার্থনা করি, যাতে আমরা বিশ্বাস এবং আত্মার ফলের অন্যান্য দিক প্রদর্শন করতে পারি।—লূক ১১:১৩; গালা. ৫:২২, ২৩.
এ ছাড়া, দোথনের ঘটনা ইলীশায়কে যিহোবার এবং তাঁর সুরক্ষামূলক অদৃশ্য বাহিনীর ওপর নির্ভর করার উপযুক্ত কারণ জুগিয়েছিল। ভাববাদী উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে, ঈশ্বরই নগর এবং এর বেষ্টনকারীদের ঘেরাও করার জন্য দূতবাহিনীকে স্থাপন করেছিলেন। শত্রুদের অন্ধতায় আহত করার মাধ্যমে ঈশ্বর ইলীশায় এবং তার দাসকে অলৌকিকভাবে রক্ষা করেছিলেন। (২ রাজা. ৬:১৭-২৩) অন্যান্য সময়ের মতো সেই কঠিন সময়েও, ইলীশায় যিহোবার ওপর বিশ্বাস প্রদর্শন করেছিলেন এবং তাঁর ওপর পূর্ণ নির্ভরতা দেখিয়েছিলেন।
ইলীশায়ের মতো আসুন আমরা যিহোবা ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করি। (হিতো. ৩:৫, ৬) আমরা যদি তা করি, তাহলে ‘ঈশ্বর আমাদিগকে কৃপা করিবেন, ও আশীর্ব্বাদ করিবেন।’ (গীত. ৬৭:১) এটা ঠিক যে, আমরা আক্ষরিকভাবে অগ্নিময় রথ এবং অশ্বের দ্বারা পরিবেষ্টিত নই। কিন্তু, আসন্ন ‘মহাক্লেশের’ সময় যিহোবা আমাদেরকে বিশ্বব্যাপী ভ্রাতৃসমাজ হিসেবে সুরক্ষা করবেন। (মথি ২৪:২১; প্রকা. ৭:৯, ১৪) সেই সময়ের আগে পর্যন্ত আসুন আমরা সর্বদা মনে রাখি যে, “ঈশ্বরই আমাদের আশ্রয়।”—গীত. ৬২:৮.
[পাদটীকাগুলো]
a এলিয় স্বর্গে যাননি, যা যিহোবা এবং তাঁর দূতপুত্রদের আধ্যাত্মিক বাসস্থান। ১৯৯৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর প্রহরীদুর্গ পত্রিকার ১৫ পৃষ্ঠা দেখুন।
b ২০০৫ সালের ১ আগস্ট প্রহরীদুর্গ পত্রিকার ১০ পৃষ্ঠা দেখুন।
[২৮ পৃষ্ঠার চিত্র]
[৩০ পৃষ্ঠার বাক্স]
সাম্প্রতিক কিছু আইনি বিজয়
২৪৩ — উচ্চ আদালতে মামলায় বিজয়ের সাম্প্রতিক সংখ্যা, যেগুলো যিহোবার সাক্ষিরা সারা পৃথিবীতে লাভ করেছে
ফ্রান্স — ৮২ লক্ষ মার্কিন ডলার পরিশোধ করে
১৫ বছর ধরে আইনি লড়াইয়ের পর ২০১২ সালের ১১ ডিসেম্বর ফ্রান্সের সরকার কর্তৃক যিহোবার সাক্ষিদেরকে প্রদানকৃত মোট অর্থ (ডলারে)
গ্রিস — রাষ্ট্র পরিষদ
২০১২ সালের ২ নভেম্বর রাষ্ট্র পরিষদ, ব্যাপকভাবে পরিচিত খ্রিস্টীয় ধর্মের লোক যিহোবার সাক্ষিদের নিজস্ব উপাসনাস্থল রাখার অধিকার প্রদান করেছে
২০ — ২০০০ সালের এপ্রিল মাস থেকে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত-এ যে-সমস্ত মামলায় বিজয়লাভ করা হয়েছে
দক্ষিণ কোরিয়া — রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিটি-র নির্দেশ
২০১২ সালের ২৫ অক্টোবর - দক্ষিণ কোরিয়াকে, যিহোবার সাক্ষিদের ৩৮৮ জন ব্যক্তিকে তাদের অধিকার লঙ্ঘন করার কারণে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করার নির্দেশ দেওয়া হয়, যারা নৈতিক কারণে সেনাবাহিনীতে কাজ করা প্রত্যাখ্যান করেছিল