এটি কি প্রশংসা অথবা তোষামোদ?
কোন ব্যক্তি আপনাকে বললেন, “নতুন ধাঁচের কেশবিন্যাসে আপনাকে দারুণ দেখাচ্ছে!” এটি কি প্রশংসা অথবা তোষামোদ? “ওই স্যুটটি আপনাকে বেশ মানিয়েছে!” প্রশংসা অথবা তোষামোদ? “এমন সুস্বাদু খাবার আমি জীবনে কখনও খাইনি!” এটি কি প্রশংসা অথবা তোষামোদ? আমরা যখন এইধরনের সৌজন্যসূচক অভিব্যক্তিগুলি শুনি, আমরা হয়ত ভাবি যে সেগুলি কি আসলেই আন্তরিক ও সততাপূর্ণ নাকি নিছক আমাদের খুশি করার জন্য বলা হয়েছে যদিও যিনি বলেছেন তিনি নিজে প্রকৃতই তা বিশ্বাস করেন না।
আমরা কিভাবে বুঝতে পারি যে একজন ব্যক্তি আমাদের যা বলছেন তা প্রশংসা অথবা তোষামোদ? এটি কি কোন বিষয়? যা বলা হয়েছে আমরা কি ঠিক সেটিই মেনে নিতে ও তা আমাদের যে আনন্দ দেয়, তাতে পুলকিত হতে পারি না? আমরা যখন অন্যদের প্রশংসা করি সেই সম্বন্ধেই বা কী? আমরা কি কখনও আমাদের মনোভাব পরীক্ষা করেছি? এই প্রশ্নগুলি সম্বন্ধে চিন্তা করা আমাদের উপলব্ধি করতে ও আমাদের জিহ্বাকে সেইভাবে ব্যবহার করার জন্য সাহায্য করতে পারে যা যিহোবা ঈশ্বরের প্রশংসা নিয়ে আসে।
প্রশংসা ও তোষামোদের সংজ্ঞা
ওয়েবস্টারস ডিকশনারী দ্বারা সংজ্ঞায়িত প্রশংসা হল, অনুমোদন অথবা শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের এক অভিব্যক্তি আর এছাড়াও এই শব্দটি উপাসনা বা গৌরব প্রদান করাকে বোঝায়। স্পষ্টতই শেষ দুটি অর্থ শুধুই যিহোবা ঈশ্বরের প্রতি প্রশংসা করাকে নির্দেশ করে। এটি সত্য উপাসনার এক অপরিহার্য অংশ, যেভাবে অনুপ্রাণিত গীতরচক পরামর্শ দেন: “কেননা . . . উত্তম; তাহা মনোহর; প্রশংসার উপযুক্ত।” “শ্বাসবিশিষ্ট সকলেই সদাপ্রভুর প্রশংসা করুক।”—গীতসংহিতা ১৪৭:১; ১৫০:৬.
কিন্তু, এর অর্থ এই নয় যে মানুষের প্রশংসা করা যায় না। এটি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, অনুমোদন কিংবা এক অনুকূল বিচার করার অর্থে দেওয়া যেতে পারে। যীশুর প্রদত্ত এক দৃষ্টান্তে, একজন প্রভু তার দাসকে বলেন: “বেশ, উত্তম ও বিশ্বস্ত দাস।”—মথি ২৫:২১.
অপরপক্ষে, তোষামোদকে মিথ্যা, কৃত্রিম কিংবা অতিরঞ্জিত প্রশংসা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, যেখানে তোষামোদকারীর সাধারণত স্বীয়স্বার্থের মনোভাব থাকে। অন্যদের কাছ থেকে আনুকূল্য কিংবা বস্তুগত সুবিধা লাভ অথবা তোষামোদকারীর প্রতি অনুগ্রহের এক অনুভূতি সৃষ্টি করার জন্য, এই ছলনাপূর্ণ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন বা হীন তোষামোদ করা হয়। সুতরাং তোষামোদকারীরা স্বার্থপরতার দ্বারা পরিচালিত হন। যিহূদা ১৬ পদ অনুসারে, “তাহারা লাভার্থে মনুষ্যদের তোষামোদ করে।”
শাস্ত্রীয় দৃষ্টিভঙ্গি
সহমানবদের প্রশংসা করার ক্ষেত্রে শাস্ত্রীয় দৃষ্টিভঙ্গি কী? এই বিষয়ে অনুসরণ করতে যিহোবা আমাদের জন্য এক উদাহরণ স্থাপন করেছেন। বাইবেলে আমাদের বলা হয়েছে যে যদি আমরা যিহোবার ইচ্ছা পালন করি আমরা প্রশংসিত হব। প্রেরিত পৌল বলেন যে “প্রত্যেক জন ঈশ্বর হইতে আপন আপন প্রশংসা পাইবে।” পিতর আমাদের বলেন যে আমাদের বিশ্বাসের পরীক্ষিত গুণগত মান “প্রশংসা . . . হইয়া প্রত্যক্ষ হয়।” অতএব যিহোবা মানুষের প্রশংসা করবেন এই বিষয়টি আমাদের দেখায় যে প্রকৃত প্রশংসা করা হল দয়া, প্রেমপূর্ণ ও উপকারজনক কাজ, যা উপেক্ষা করা উচিত নয়।—১ করিন্থীয় ৪:৫; ১ পিতর ১:৭.
আরেকটি উৎস যেখান থেকে আমাদের জন্য প্রশংসা আসতে পারে, বাইবেল অনুসারে তা হল সরকারি কর্তৃপক্ষেরা যারা আমাদের উত্তম আচার আচরণ লক্ষ্য করেন ও সততার সাথে আমাদের প্রশংসা করেন। “সদাচরণ কর,” আমাদের বলা হয়েছে, “করিলে তাঁহার নিকট হইতে প্রশংসা পাইবে।” (রোমীয় ১৩:৩) এছাড়াও আমরা হয়ত সেই সব লোকের কাছ থেকে প্রশংসা পেতে পারি, যারা আন্তরিকতার সাথে বিশ্বাস করেন তারা কী বলছেন ও আমাদের প্রশংসা করার মধ্যে যাদের কোন দুরভিসন্ধি নেই। অনুপ্রাণিত শাস্ত্রাবলী হিতোপদেশ ২৭:২ পদে বলে “অপরে তোমার প্রশংসা করুক, তোমার নিজ মুখ না করুক।” এটি ইঙ্গিত করে যে মানুষের কাছ থেকে প্রশংসা পাওয়া সঠিক।
তোষামোদ করা কিংবা পাওয়ার ক্ষেত্রে তা ঠিক নয়। কেন যিহোবার কাছে তোষামোদপূর্ণ কথাবার্তা অত্যন্ত অসন্তোষজনক? একটি কারণ হল তা কৃত্রিম আর যিহোবা কৃত্রিমতার নিন্দা করেন। (হিতোপদেশ ২৩:৬, ৭ পদের সাথে তুলনা করুন।) অধিকন্তু, এটি সত্যনিষ্ঠ নয়। যারা নিশ্চিতরূপে ঈশ্বরের অনুমোদন লাভের যোগ্য নয় সেই ব্যক্তিদের সম্বন্ধে বর্ণনা করে, গীতরচক বলেন: “প্রতিজন প্রতিবেশীর সাথে অলীক কথা বলে; তোষামোদকারী ওষ্ঠাধরে ও দ্বিত্ব চিত্তে কথা বলে। ইয়াওয়ে যেন সমস্ত তোষামোদকারীর ওষ্ঠাধর কেটে ফেলেন।”—গীতসংহিতা ১২:২, ৩, দ্যা যিরূশালেম বাইবেল।
সর্বোপরি, তোষামোদ প্রেমপূর্ণ নয়। এটি স্বার্থপরতার দ্বারা পরিচালিত। তোষামোদকারীদের সম্বন্ধে বলার পর, গীতরচক দায়ূদ তাদেরকে উল্লেখ করে এইভাবে বলেছেন: “আমরা জিহ্বা দ্বারা প্রবল হইব, আমাদের ওষ্ঠ আমাদেরই; আমাদের কর্ত্তা কে?” যিহোবা এইধরনের স্বার্থপর ব্যক্তিদের ‘দুঃখীদের সর্ব্বনাশকারী’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তাদের তোষামোদকারী জিহ্বা, অন্যদের গড়ে তোলার জন্য নয় বরং তাদের সর্বনাশ ও দুঃখ দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে।—গীতসংহিতা ১২:৪, ৫.
তোষামোদ—একটি ফাঁদ
“যে ব্যক্তি আপন প্রতিবাসীর তোষামোদ করে, সে তাহার পায়ের নীচে জাল পাতে।” জ্ঞানী রাজা শলোমন এইরকমই বলেছিলেন আর তা কতই না সত্য! (হিতোপদেশ ২৯:৫) ফরীশীরা তোষামোদ করার মাধ্যমে যীশুর জন্য এক ফাঁদ পাতার চেষ্টা করেছিল। তারা বলেছিল: “গুরো, আমরা জানি আপনি সত্য, এবং সত্যরূপে ঈশ্বরের পথের বিষয় শিক্ষা দিতেছেন, এবং আপনি কাহারও বিষয়ে ভীত নহেন, কেননা আপনি মনুষ্যের মুখাপেক্ষা করেন না।” এটি কতই না মুগ্ধকর মনে হয়েছিল! কিন্তু যীশু তাদের মিষ্ট কথায় প্রতারিত হননি। তিনি জানতেন যে তারা তাঁর সত্যনিষ্ঠ শিক্ষায় বিশ্বাস করেনি বরং তারা শুধু কৈসরকে কর দেওয়ার বিষয়ে তাঁর কথাতেই তাঁকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করেছিল।—মথি ২২:১৫-২২.
যীশুর সম্পূর্ণ বিপরীতে ছিলেন প্রথম শতাব্দীর রাজা হেরোদ। তিনি যখন সোরীয় নগরে একটি বক্তৃতা দিয়েছিলেন তখন লোকেরা বলেছিল: “এ দেবতার রব, মানুষের নয়।” এইধরনের হট্টগোল ও মিথ্যা প্রশংসার জন্য লোকেদের তিরস্কার করার পরিবর্তে হেরোদ তোষামোদকে গ্রহণ করেছিলেন। যিহোবার দূত তখনই প্রতিদানস্বরূপ হেরোদকে কীটের উপদ্রব দ্বারা আঘাত করেছিলেন যার ফলে তার মৃত্যু হয়েছিল।—প্রেরিত ১২:২১-২৩.
একজন পরিপক্ব খ্রীষ্টান তোষামোদকে শনাক্ত করার ক্ষেত্রে সতর্ক হবেন। মণ্ডলীর প্রাচীনদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকা উচিত যখন বিচারসংক্রান্ত বিষয়ে জড়িত কোন ব্যক্তি অত্যধিক উৎসাহ নিয়ে প্রশংসাসূচক কথা বলেন, সম্ভবত এমনকি সেই ক্ষেত্রে যখন একজন প্রাচীনের সাথে অন্য আরেকজনের তুলনা করা হয় ও একজনকে অন্যজনের চেয়ে কত বেশি দয়ালু ও সহানুভূতিশীল বলা হয়।
তোষামোদ উৎপন্ন করতে পারে এমন আরেকটি ফাঁদ সম্বন্ধে বাইবেল স্পষ্টভাবে দেখায় যখন এটি বর্ণনা করে একজন যুবক ব্যক্তি কিভাবে ভ্রষ্টাচারিণীর দ্বারা নীতিহীনতায় প্রলোভিত হয়ে থাকে। (হিতোপদেশ ৭:৫, ২১) এই সতর্কবাণীটি বর্তমান পরিস্থিতির জন্য উপযুক্ত। প্রতি বছর খ্রীষ্টীয় মণ্ডলী থেকে যাদের সমাজচ্যুত করা হয় তাদের মধ্যে অধিকাংশই অনৈতিক আচরণের জন্য বহিষ্কৃত হন। এইধরনের গুরুতর পাপে পতিত হওয়া কি তোষামোদ থেকে শুরু হতে পারে? যেহেতু লোকেরা অত্যন্ত প্রশংসা প্রিয় ও চান তাদের সম্বন্ধে সুন্দরভাবে কথা বলা হোক তাই তোষামোদের ওষ্ঠ থেকে মিষ্ট কথা অনুপযুক্ত আচরণের ক্ষেত্রে একজন খ্রীষ্টানের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে হ্রাস করে দিতে পারে। এর প্রতি সতর্ক না হলে, তা ভয়ানক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
তোষামোদের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা
তোষামোদ একজন তোষামোদকারীর আত্মপ্রিয়তা অথবা আত্মশ্লাঘাকে চরিতার্থ করে। এটি একজন ব্যক্তিকে তার নিজ যোগ্যতার সম্বন্ধে এক অতিরঞ্জিত দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান ও নিজেকে কোনও না কোনভাবে অপরের চেয়ে শ্রেষ্ঠ মনে করতে প্ররোচিত করে। দার্শনিক ফ্রাঙ্কওয়া ডে লা রসফূকোরস, তোষামোদকে নকল টাকার সাথে তুলনা করেছেন, “যা অহংকারের কারণে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।” অতএব, একজনের জন্য এর থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়টি হল প্রেরিত পৌলের বাস্তবধর্মী পরামর্শের প্রতি মনোযোগ দেওয়া: “আমি তোমাদের মধ্যবর্ত্তী প্রত্যেক জনকে বলিতেছি, আপনার বিষয়ে যেমন বোধ করা উপযুক্ত, কেহ তদপেক্ষা বড় বোধ না করুক; কিন্তু ঈশ্বর যাহাকে যে পরিমাণে বিশ্বাস বিতরণ করিয়াছেন, তদনুসারে সে সুবোধ হইবারই চেষ্টায় আপনার বিষয়ে বোধ করুক।”—রোমীয় ১২:৩.
যদিও আমাদের স্বাভাবিক প্রবণতা হল, আমাদের কানে যা কিছু ভাল লাগে তাই শুনতে চাওয়া কিন্তু অধিকাংশ সময়ে আমাদের যা প্রকৃতই প্রয়োজন তা হল বাইবেল-ভিত্তিক পরামর্শ ও অনুশাসন। (হিতোপদেশ ১৬:২৫) রাজা আহাব, কেবল যা কিছু তাকে সন্তুষ্ট করত তাই শুনতে চাইতেন; এমনকি তার দাসেরা ভাববাদী মীখায়কে বলেছিলেন যেন তার বাক্য “উহাদের কোন এক জনের [আহাবের তোষামোদকারী ভাববাদীদের], বাক্যের সমানার্থক হউক; আপনি মঙ্গলসূচক কথা বলুন।” (১ রাজাবলি ২২:১৩) আহাব যদি অকপট কথা শুনতে ইচ্ছুক হতেন ও তার বিদ্রোহাত্মক পথগুলি পরিবর্তন করতেন তাহলে তিনি ইস্রায়েলীয়দের প্রতি ধ্বংসাত্মক সেই ভয়াবহ যুদ্ধকে এবং তার নিজের মৃত্যুকেও প্রতিরোধ করতে পারতেন। তোষামোদসূচক কথায় আমাদের কানকে পুলকিত করে যারা অবিরত আমাদের বলে থাকেন যে আমরা কতই না সুন্দর, তাদের সন্ধান করার চেয়ে বরঞ্চ আমাদের আধ্যাত্মিক কল্যাণের জন্য যারা সত্যের সোজা পথে স্থির থাকতে আমাদের সাহায্য করতে চান, সেই নিযুক্ত খ্রীষ্টীয় প্রাচীনদের দৃঢ় অথচ প্রেমপূর্ণ পরামর্শের প্রতি সাড়া দিতে আমাদের সত্বর হওয়া উচিত!—২ তীমথিয় ৪:৩ পদের সাথে তুলনা করুন।
খ্রীষ্টানেরা কোন কারণেই কখনও তোষামোদ করাকে অবলম্বন করতে চাইবেন না। বিশ্বস্ত ইলীহূর মত, তারা দৃঢ়তার সাথে প্রার্থনা করেন: “আমি কোন লোকের মুখাপেক্ষাও করব না, কোন মানুষের তোষামোদ করব না; কারণ আমি তোষামোদ করতে জানি না, করলে আমার নির্মাতা শীঘ্রই আমাকে সংহার করবেন।” আবার, পৌলের মত তারা বলতে পারবেন: “আমরা কখনও তোষামোদে . . . কিম্বা লোভজন্য ছলে লিপ্ত হইনি।”—ইয়োব ৩২:২১, ২২, অ্যান অ্যামেরিকান ট্রান্সলেশন; ১ থিষলনীকীয় ২:৫, ৬.
যথাস্থানে প্রশংসা করুন
অনুপ্রাণিত হিতোপদেশ দেখায় যে প্রশংসা একটি কষ্টিপাথরের মত কাজ করতে পারে, প্রবাদবাক্যটি বলে: “রৌপ্যের জন্য মূষী ও সুবর্ণের জন্য হাফর, আর মনুষ্য তাহার প্রশংসা দ্বারা পরীক্ষিত।” (হিতোপদেশ ২৭:২১) হ্যাঁ, প্রশংসা হয়ত অহংকার অথবা শ্রেষ্ঠত্বের অনুভূতি পোষণ করতে পারে আর তা একজন ব্যক্তিকে সর্বনাশের দিকে নিয়ে যায়। অপরপক্ষে, এটি তার বিনয় ও নম্রতাকে প্রকাশ করতে পারে, যদি তিনি প্রশংসা পাওয়ার মত কিছু করে থাকেন তবে তার জন্য যিহোবার প্রতি তার ঋণকে স্বীকার করেন।
উপযুক্ত আচরণের কিংবা সাফল্যের জন্য অকৃত্রিম প্রশংসা, দাতা ও গ্রহীতা উভয়কেই গড়ে তোলে। এটি একে অপরের জন্য উষ্ণ ও উপকারজনক উপলব্ধিবোধ প্রদান করে। এটি প্রশংসাযোগ্য লক্ষ্যের জন্য সাগ্রহে চেষ্টা করতে উৎসাহিত করে। যুবক-যুবতীদের উপযুক্ত প্রশংসা করা হয়ত তাদের কঠোর পরিশ্রম করার আকাঙ্ক্ষা গড়ে তোলে। তাদের কাছ থেকে প্রত্যাশিত মানসমূহ অনুসারে কাজ করার জন্য যেভাবে তারা লক্ষ্য স্থাপন করে এটি হয়ত সেইভাবে তাদের চরিত্রকে গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে।
অতএব, আসুন আমরা তোষামোদ এড়িয়ে চলি—করা অথবা পাওয়া যে কোন ক্ষেত্রেই হোক না কেন। প্রশংসা পাওয়ার সময় আমরা যেন নম্র হই। আর প্রশংসা প্রদানের ক্ষেত্রে আমরা যেন উদার ও সম্পূর্ণ-হৃদয়বান হই—নিয়মিতভাবে যিহোবার প্রতি আমাদের উপাসনার ক্ষেত্রে এবং অপরের প্রতি অকৃত্রিমভাবে উপকারজনক উপায়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও উপলব্ধি দেখানোর ক্ষেত্রে, এটি স্মরণে রেখে যে “যথাকালে কথিত বাক্য কেমন উত্তম।”—হিতোপদেশ ১৫:২৩.