“পরস্পর ক্ষমা কর”
“পরস্পর সহনশীল হও, . . . পরস্পর ক্ষমা কর।”—কলসীয় ৩:১৩.
১. (ক) যখন পিতর প্রস্তাব করেছিলেন যে আমরা অন্যদের “সাত বার পর্য্যন্ত” ক্ষমা করি, তখন কেন তিনি হয়ত ভেবেছিলেন যে তিনি খুবই উদার? (খ) যখন যীশু বলেছিলেন যে আমাদের “সত্তর গুণ সাত বার পর্য্যন্ত” ক্ষমা করা উচিত তখন তিনি কী বুঝিয়েছিলেন?
“প্রভু, আমার ভ্রাতা আমার নিকটে কত বার অপরাধ করিলে আমি তাহাকে ক্ষমা করিব? কি সাত বার পর্য্যন্ত?” (মথি ১৮:২১) পিতর হয়ত ভেবেছিলেন যে তার প্রস্তাবে তিনি খুব উদার ছিলেন। সেই সময়ে, রব্বিদের পরম্পরাগত বিধি বলেছিল যে একই অসন্তোষের জন্য একজনের তিনবারের বেশি ক্ষমা প্রদান করা উচিত নয়।a তাহলে, কল্পনা করুন পিতর কতই না অবাক হন যখন যীশু উত্তর দিয়েছিলেন: “তোমাকে বলিতেছি না, সাত বার পর্য্যন্ত, কিন্তু সত্তর গুণ সাত বার পর্য্যন্ত”! (মথি ১৮:২২) সাত বার কথাটির পুনরাবৃত্তি “অনির্দিষ্টভাবে” বলে চলার সমতুল্য ছিল। যীশুর দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে, ন্যায্যত একজন খ্রীষ্টানের কতবার অন্যদের ক্ষমা করা উচিত তার কোন সীমা নেই।
২, ৩. (ক) কিছু পরিস্থিতি কী যখন অন্যদের ক্ষমা করা হয়ত কঠিন বলে মনে হতে পারে? (খ) কেন আমরা দৃঢ় প্রত্যয়ী হতে পারি যে অন্যদের ক্ষমা করা আমাদের জন্য সর্বোত্তমভাবে উপকারজনক বিষয়?
২ কিন্তু, এই উপদেশটি প্রয়োগ করা সবসময়ে সহজ নয়। আমাদের মধ্যে কেই বা অপ্রীতিকর আঘাতের যন্ত্রণা অনুভব করেনি? সম্ভবত এমন কোন ব্যক্তি যার উপর আপনি ভরসা করেন, কোন গোপন বিষয় প্রকাশ করে দিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। (হিতোপদেশ ১১:১৩) এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু সম্পর্কে অবিবেচক মন্তব্যগুলি হয়ত ‘আপনার কাছে খড়্গাঘাতের মত’ হয়েছে। (হিতোপদেশ ১২:১৮) এমন কোন ব্যক্তি যাকে আপনি ভালবাসেন ও ভরসা করেন, তার কাছ থেকে খারাপ ব্যবহার হয়ত গভীর ক্ষতের কারণস্বরূপ হয়েছে। যখন এইধরনের ঘটনাগুলি ঘটে, তখন হয়ত আমাদের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হয় ক্রুদ্ধ হওয়া। আমরা হয়ত সেই অসন্তুষ্টকারীর সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিতে, সম্ভব হলে একেবারেই এড়িয়ে চলতে চাইতে পারি। হয়ত মনে হতে পারে যে তাকে ক্ষমা করার অর্থ হবে আমাদের আঘাত করা সত্ত্বেও তাকে শাস্তিহীনভাবে ছেড়ে দিতে অনুমতি দেওয়া। কিন্তু, ক্ষোভ পোষণের দ্বারা পরিণামস্বরূপ আমরা নিজেদেরই আঘাত করি।
৩ সেইজন্য যীশু আমাদের—“সত্তর গুণ সাত বার পর্য্যন্ত” ক্ষমা করতে শিক্ষা দিয়েছিলেন। নিশ্চিতরূপে তাঁর শিক্ষা আমাদের জন্য কখনও ক্ষতিসাধন করবে না। তিনি যা কিছু শিক্ষা দিয়েছিলেন তা যিহোবার কাছ থেকে উদ্ভূত ছিল ‘যিনি আমাদের উপকারজনক শিক্ষা দান করেন।’ (যিশাইয় ৪৮:১৭; যোহন ৭:১৬, ১৭) যুক্তিযুক্তভাবে, অন্যদের ক্ষমা করা আমাদের জন্য অবশ্যই উপকারজনক হবে। কেন আমাদের ক্ষমা করা উচিত এবং কিভাবে আমরা তা করতে পারি সেটি আলোচনা করার পূর্বে, ক্ষমাশীলতা কী এবং এটি কী নয় প্রথমে তা স্পষ্ট করা হয়ত সাহায্যকারী হতে পারে। ক্ষমাশীলতা সম্বন্ধে আমাদের ধারণা হয়ত অন্যদের ক্ষমা করার ক্ষেত্রে আমাদের ক্ষমতার উপর কিছুটা প্রভাব ফেলে যখন অন্যেরা আমাদের অসন্তুষ্ট করে।
৪. অন্যদের ক্ষমা করা কী অর্থ করে না কিন্তু ক্ষমাশীলতাকে কিভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে?
৪ ব্যক্তিগত অসন্তোষের জন্য অন্যদের ক্ষমা করার অর্থ এই নয় যে আমরা তারা যা করেছে তা মার্জনা করছি অথবা হ্রাস করছি; কিংবা এটি আমাদের প্রতি অপ্রীতিকর সুযোগ নিতে অন্যদের অনুমতি দেওয়াকেও বোঝায় না। সর্বোপরি, যিহোবা যখন আমাদের ক্ষমা করেন, তিনি অবশ্যই আমাদের পাপ সকল গতানুগতিকভাবে নগণ্য করেন না আর তিনি কখনও পাপী মনুষ্যকে তাঁর করুণাকে পদদলিত করতে অনুমতি দেবেন না। (ইব্রীয় ১০:২৯) শাস্ত্রের প্রতি অন্তর্দৃষ্টি (ইংরাজি) বই অনুসারে ক্ষমাশীলতাকে এইভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে “একজন অসন্তুষ্টকারীকে মার্জনা করার জন্য গৃহীত পদক্ষেপ; তার অসন্তোষজনক কাজের দরুণ তার প্রতি ক্ষোভ পোষণ করা থেকে বিরত হওয়া এবং ক্ষতিপূরণের জন্য সমস্ত দাবি ছেড়ে দেওয়া।” (খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৮৬১)b অন্যদের ক্ষমা করার জন্য বাইবেল আমাদের যথার্থ কারণগুলি সরবরাহ করে।
কেন অন্যদের ক্ষমা করা?
৫. ইফিষীয় ৫:১ পদে অন্যদের ক্ষমা করার জন্য কোন্ গুরুত্বপূর্ণ কারণ নির্দেশ করা হয়েছে?
৫ অন্যদের ক্ষমা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ইফিষীয় ৫:১ পদে নির্দেশ করা হয়েছে: “অতএব প্রিয় বৎসদের ন্যায় তোমরা ঈশ্বরের অনুকারী হও।” কোন্ বিষয়ে আমাদের ‘ঈশ্বরের অনুকারী হওয়া’ উচিত? “অতএব” শব্দটি পূর্ববর্তী পদের সাথে অভিব্যক্তিটিকে সংযুক্ত করে, যেটি বলে: “তোমরা পরস্পর মধুরস্বভাব ও করুণাচিত্ত হও, পরস্পর ক্ষমা কর, যেমন ঈশ্বরও খ্রীষ্টে তোমাদিগকে ক্ষমা করিয়াছেন।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) (ইফিষীয় ৪:৩২) হ্যাঁ, যখন ক্ষমাশীলতার বিষয়টি আসে, সেক্ষেত্রে আমাদের ঈশ্বরের অনুকারী হওয়া উচিত। যেমন একটি ছোট্ট বালক ঠিক তার পিতার মত হওয়ার চেষ্টা করে, তেমনই, সন্তান হিসাবে আমাদের যাদের যিহোবা অত্যন্ত ভালবাসেন আমাদের ক্ষমাশীল স্বর্গীয় পিতার মত হতে চাওয়া উচিত। স্বর্গ থেকে দৃষ্টিপাত করা এবং তাঁর পার্থিব সন্তানেরা একে অপরকে ক্ষমা করার দ্বারা তাঁর মত হতে চেষ্টা করছে তা দেখা যিহোবার হৃদয়কে কতই না আনন্দিত করে!—লূক ৬:৩৫, ৩৬; মথি ৫:৪৪-৪৮ পদের সাথে তুলনা করুন।
৬. কিভাবে যিহোবা এবং আমাদের ক্ষমাশীলতার মধ্যে এক বিরাট পার্থক্য রয়েছে?
৬ এটি স্বীকার্য যে, আমরা কখনই যিহোবার মত সিদ্ধভাবে ক্ষমা করতে পারি না। সেটাই হচ্ছে আরও বেশি কারণ যে কেন আমাদের একে অপরকে ক্ষমা করা উচিত। বিবেচনা করুন: যিহোবা এবং আমাদের ক্ষমাশীলতার মধ্যে এক বিরাট পার্থক্য রয়েছে। (যিশাইয় ৫৫:৭-৯) যখন আমরা আমাদের বিরুদ্ধে পাপ করেছে এইরূপ ব্যক্তিদের ক্ষমা করি, তখন প্রায়ই এটি অবগত হয়েই করি যে কোন না কোন সময় আমাদের ক্ষমা করার জন্য আমাদের হয়ত তাদের অনুগ্রহ প্রয়োজন। মানুষের ক্ষেত্রে, সর্বদা পাপীরাই পাপীদের ক্ষমা করে থাকে। কিন্তু, যিহোবার ক্ষেত্রে ক্ষমা সর্বদাই এক পক্ষের। তিনি আমাদের ক্ষমা করেন কিন্তু আমাদের কখনও তাঁকে ক্ষমা করার প্রয়োজন হবে না। যদি যিহোবা, যিনি পাপ করেন না, এত প্রেমের সাথে এবং সম্পূর্ণরূপে আমাদের ক্ষমা করতে পারেন, তাহলে আমাদের অর্থাৎ পাপী মনুষ্যদের কি একে অপরকে ক্ষমা করতে চেষ্টা করা উচিত নয়?—মথি ৬:১২.
৭. করুণা দেখানোর ভিত্তি থাকা সত্ত্বেও যদি আমরা অন্যদের ক্ষমা করতে অস্বীকার করি, তাহলে যিহোবার সাথে আমাদের নিজস্ব সম্পর্ককে কী করে তা প্রতিকূলভাবে প্রভাবিত করতে পারে?
৭ এমনকি আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, যখন করুণা দেখানোর ভিত্তি রয়েছে অথচ যদি আমরা অন্যদের ক্ষমা করতে অস্বীকার করি, তাহলে এটি ঈশ্বরের সাথে আমাদের নিজস্ব সম্পর্ককে প্রতিকূলভাবে প্রভাবিত করতে পারে। যিহোবা শুধুমাত্র আমাদের একে অপরকে ক্ষমা করতে বলেন না; তিনি প্রত্যাশা করেন যে আমরা তা করি। শাস্ত্র অনুসারে, আমাদের ক্ষমাশীল হতে পরিচালিত হওয়ার জন্য আংশিক কারণ হল যে যিহোবা হয়ত আমাদের ক্ষমা করবেন অথবা তিনি আমাদের ক্ষমা করেছেন। (মথি ৬:১৪; মার্ক ১১:২৫; ইফিষীয় ৪:৩২; ১ যোহন ৪:১১) তাহলে, যেখানে ক্ষমা করার যথার্থ কারণ রয়েছে অথচ যদি আমরা অন্যদের ক্ষমা করতে অনিচ্ছুক হই, প্রকৃতই কি আমরা যিহোবার কাছ থেকে এইধরনের ক্ষমা প্রত্যাশা করতে পারি?—মথি ১৮:২১-৩৫.
৮. কেন ক্ষমাশীল হওয়া আমাদের সর্বোত্তম মঙ্গলজনক বিষয়?
৮ যিহোবা তাঁর লোকেদের “সৎপথে যেটিতে তাদের চলা উচিত” সেই সম্বন্ধে শিক্ষা দেন। (১ রাজাবলি ৮:৩৬, NW) একে অপরকে ক্ষমা করার জন্য যখন তিনি আমাদের নির্দেশনা দেন, তখন আমরা দৃঢ় প্রত্যয়ী হতে পারি যে আমাদের সম্বন্ধে তিনি সর্বোত্তম মঙ্গল চিন্তা করেন। উত্তম কারণেই বাইবেল আমাদের “ক্রোধের জন্য স্থান ছাড়িয়া” দিতে বলে। (রোমীয় ১২:১৯) ক্ষোভ জীবনে বহন করার পক্ষে এক ভারি বোঝা। যখন আমরা এটি পোষণ করি, এটি আমাদের বিচারবুদ্ধিকে শেষ করে দেয়, আমাদের শান্তি হরণ করে এবং আমাদের আনন্দকে নষ্ট করে। দীর্ঘস্থায়ী ক্রোধ, যেমন ঈর্ষা, আমাদের দৈহিক স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। (হিতোপদেশ ১৪:৩০) আর এই সমস্ত কিছু ভোগ করার সময়, সেই অসন্তুষ্টকারী হয়ত আমাদের অশান্তি সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে অনবগত থাকতে পারে! আমাদের প্রেমময় সৃষ্টিকর্তা জানেন যে কেবলমাত্র তাদের উপকারের জন্য নয় কিন্তু আমাদের নিজেদের জন্যেও, আমাদের অন্যদের ক্ষমা করা প্রয়োজন। ক্ষমা করার জন্য বাইবেলের উপদেশ বাস্তবিকই, ‘চলার জন্য সৎপথ।’
“পরস্পর সহনশীল হও”
৯, ১০. (ক) কিধরনের পরিস্থিতি আবশ্যিকভাবে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রদর্শনের প্রয়োজন রাখে না? (খ) “পরস্পর সহনশীল হও” অভিব্যক্তিটির দ্বারা কী পরামর্শ দেওয়া হয়েছে?
৯ শারীরিক আঘাতের ব্যাপৃতি হয়ত লঘুতর থেকে গভীর ক্ষত পর্যন্ত হতে পারে আর সবগুলির জন্য সমমাত্রার মনোযোগের প্রয়োজন হয় না। আঘাতজনক অনুভূতিগুলির ক্ষেত্রেও এটি অনুরূপ—কিছু ক্ষত অন্যগুলির থেকে গভীরতর। অন্যদের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রতিটি ক্ষুদ্র অসন্তোষের জন্য আমরা যে কষ্টভোগ করি সেটিকে কি প্রকৃতই আমাদের একটি বিচার্য বিষয় করে তোলা প্রয়োজন? ক্ষুদ্রতর অস্বস্তি, অবজ্ঞা এবং বিরক্তিগুলি জীবনের অংশ আর এর জন্য আবশ্যিকভাবে আনুষ্ঠানিক ক্ষমাশীলতার প্রয়োজন নেই। যদি আমরা এমন ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত হই যারা প্রতিটি তুচ্ছ হতাশার কারণে অন্যদের পরিহার করে চলি এবং তারপর তাদের সাথে পুনরায় ভাল ব্যবহার করার আগে আমাদের কাছে তাদেরকে অপরাধ স্বীকার করার জন্য জোর করতে থাকি, তাহলে আমরা হয়ত তাদের, আমাদের সঙ্গের প্রতি সাবধান হতে—অথবা এক নিরাপদ দূরত্ব রাখতে বাধ্য করি!
১০ পরিবর্তে, “যুক্তিবাদী হওয়ার সুনাম থাকা” অনেক বেশি ভাল। (ফিলিপীয় ৪:৫; ফিলিপস্) অসিদ্ধ প্রাণী হিসাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সেবা করা সময়ে, আমরা যুক্তিযুক্তভাবে প্রত্যাশা করতে পারি যে কখনও কখনও আমাদের ভাইরা হয়ত আমাদের অন্যায়ভাবে উত্ত্যক্ত করতে পারে আর বলতে গেলে আমরাও হয়ত তাদের প্রতি একইরকম করে থাকি। কলসীয় ৩:১৩ পদ আমাদের উপদেশ দেয়: “পরস্পর সহনশীল হও।” এই অভিব্যক্তিটি অন্যদের প্রতি ধৈর্যশীল হওয়ার, তাদের সেই বিষয়গুলি যা আমরা অপছন্দ করি অথবা সেই বৈশিষ্ট্যগুলি যা আমরা বিরক্তিকর বলে মনে করি সেগুলিকে সহ্য করার প্রস্তাব দেয়। এইধরনের ধৈর্য ও সহনশীলতা আমাদের মণ্ডলীর শান্তি বিঘ্নিত না করে ক্ষুদ্রতর আঘাত ও ক্ষতিগুলির সাথে মোকাবিলা করতে সাহায্য করতে পারে যা আমরা অন্যদের সাথে আমাদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভোগ করে থাকি।—১ করিন্থীয় ১৬:১৪.
যখন ক্ষত গভীরতর হয়
১১. যখন অন্যেরা আমাদের বিরুদ্ধে পাপ করে, তখন কী আমাদের তাদের ক্ষমা করতে সাহায্য করতে পারে?
১১ কিন্তু, আমাদের বিরুদ্ধে অন্যদের পাপ যখন উল্লেখযোগ্য ক্ষতের কারণস্বরূপ হয়, সেক্ষেত্রে কী? যদি পাপ খুব গুরুতর না হয়, আমরা হয়ত “পরস্পর ক্ষমা কর,” বাইবেলের এই উপদেশটি প্রয়োগ করা অল্পই কঠিন বলে মনে করতে পারি। (ইফিষীয় ৪:৩২) ক্ষমা করার জন্য এইধরনের ইচ্ছুক মনোভাব পিতরের অনুপ্রাণিত বাক্যগুলির সাথে সামঞ্জস্য রাখে: “সর্ব্বাপেক্ষা পরস্পর একাগ্র ভাবে প্রেম কর; কেননা ‘প্রেম পাপরাশি আচ্ছাদন করে।’” (১ পিতর ৪:৮) আমরাও পাপী এটি মনে রাখা আমাদের অন্যদের অপরাধ ক্ষমা করতে সক্ষম করে। তাই যখন আমরা ক্ষমা করি, তখন আমরা ক্ষোভ পোষণ করার পরিবর্তে বরং তা ত্যাগ করি। ফলস্বরূপ, অসন্তুষ্টকারীর সাথে আমাদের সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী কোন ক্ষতি ভোগ করে না আর এর দ্বারা আমরা মণ্ডলীর অমূল্য শান্তি রক্ষা করতেও সাহায্য করতে পারি। (রোমীয় ১৪:১৯) কালক্রমে, সে যা করেছিল তার স্মৃতি হয়ত ম্লান হয়ে যায়।
১২. (ক) আমাদের গভীরভাবে আঘাত করেছে এমন কাউকে ক্ষমা করার জন্য আমাদের নিজে থেকে কোন্ পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে? (খ) কিভাবে ইফিষীয় ৪:২৬ পদের বাক্যগুলি নির্দেশ করে যে আমাদের বিষয়টি শীঘ্রই মীমাংসা করে নেওয়া উচিত?
১২ কিন্তু, যদি আমাদের বিরুদ্ধে কারোর পাপ অধিক গুরুতর হয় যা গভীরভাবে আমাদের আহত করে, তাহলে কী? উদাহরণস্বরূপ, আপনি যার উপর ভরসা করেন এমন এক বন্ধু হয়ত একান্ত ব্যক্তিগত কিছু বিষয় যা আপনি বিশ্বাস করে তাকে বলেছিলেন তা প্রকাশ করে দিয়েছে। আপনি গভীরভাবে দুঃখিত, লজ্জিত হন ও আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে বলে অনুভব করেন। আপনি সেটি উপেক্ষা করার চেষ্টা করেছেন কিন্তু বিষয়টি সরিয়ে ফেলা যাচ্ছে না। এই ক্ষেত্রে, আপনার হয়ত সমস্যাটির মীমাংসার জন্য নিজে থেকে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, সম্ভবত অসন্তুষ্টকারীর সাথে কথা বলে। বিষয়টি তিক্ত হওয়ার পূর্বেই তা করা বিজ্ঞের কাজ হবে। পৌল আমাদের উপদেশ দিয়েছিলেন: “ক্রুদ্ধ হইলে পাপ করিও না [অর্থাৎ, আমাদের রাগ পোষণ অথবা তা প্রকাশ করার দ্বারা]; সূর্য্য অস্ত না যাইতে যাইতে তোমাদের কোপাবেশ শান্ত হউক।” (ইফিষীয় ৪:২৬) যিহূদীদের কাছে সূর্যাস্ত একটি দিনের সমাপ্তি এবং একটি নতুন দিনের আরম্ভকে সূচিত করত এই বিষয়টি পৌলের বাক্যগুলিকে অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করে। তাই, উপদেশটি হল: দ্রুত বিষয়টির মীমাংসা করুন!—মথি ৫:২৩, ২৪.
১৩. আমাদের অসন্তুষ্ট করেছে এমন কারোর সম্মুখে যখন আমরা উপস্থিত হই, আমাদের লক্ষ্য কী হওয়া উচিত এবং সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে কোন্ পরামর্শাদি আমাদের সাহায্য করতে পারে?
১৩ কিভাবে আপনার অসন্তুষ্টকারীর নিকট উপস্থিত হওয়া উচিত? ১ পিতর ৩:১১ পদ বলে, ‘শান্তির চেষ্টা কর, ও তাহার অনুধাবন কর।’ তাহলে আপনার লক্ষ্য হবে, ক্রোধ প্রকাশ করা নয় কিন্তু আপনার ভাইয়ের সাথে শান্তি স্থাপন করা। সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে, রূঢ় বাক্য ও অঙ্গভঙ্গি এড়িয়ে চলা সবচেয়ে উত্তম; এগুলি হয়ত অপর ব্যক্তিটির কাছ থেকেও অনুরূপ প্রতিক্রিয়া নিয়ে আসবে। (হিতোপদেশ ১৫:১৮; ২৯:১১) অধিকন্তু, অতিরঞ্জিত মন্তব্যগুলি এড়িয়ে চলুন যেমন, “আপনি সর্বদাই . . . !” অথবা “আপনি কখনও . . . !” এইধরনের অতিরঞ্জিত মন্তব্যগুলি হয়ত তাকে কেবল প্রতিরোধমূলক করে তুলবে। পরিবর্তে, আপনার কণ্ঠস্বর এবং মুখের অভিব্যক্তিকে এমন রাখুন যাতে তা প্রকাশ করে যে আপনি বিষয়টির মীমাংসা করতে চান যা আপনাকে গভীরভাবে আঘাত করেছে। যা ঘটেছে সেই সম্বন্ধে আপনি কেমন বোধ করেন তা নির্দিষ্টভাবে ব্যাখ্যা করুন। অপর ব্যক্তিকেও তার আচরণকে ব্যাখ্যা করার সুযোগ দিন। তার কী বলার আছে সেটি শুনুন। (যাকোব ১:১৯) তা কোন্ উত্তম বিষয় সম্পাদন করবে? হিতোপদেশ ১৯:১১ পদ ব্যাখ্যা করে: “মানুষের বুদ্ধি তাহাকে ক্রোধে ধীর করে, আর দোষ ছাড়িয়া দেওয়া তাহার শোভা।” অপর ব্যক্তির অনুভূতিগুলি ও তার এই আচরণের পিছনে কারণগুলিকে বোঝা হয়ত তার প্রতি নেতিবাচক চিন্তা এবং অনুভূতিগুলিকে দূর করতে পারে। শান্তি স্থাপনের উদ্দেশ্য নিয়ে যখন আমরা পরিস্থিতিটির সম্মুখীন হই ও সেই মনোভাব বজায় রাখি, তখন যে কোন ভুল বোঝাবুঝি দূর হওয়া, যথাযথ অপরাধ স্বীকার করা ও ক্ষমা প্রদানকে প্রসারিত করার খুব বেশি সম্ভাবনা থাকে।
১৪. যখন আমরা অন্যদের ক্ষমা করি, তখন কোন্ অর্থে আমাদের তা ভুলে যাওয়া উচিত?
১৪ অন্যদের ক্ষমা করার অর্থ কি বোঝায় যে কী ঘটেছিল অবশ্যই তা আমরা প্রকৃতপক্ষে ভুলে যাব? এই বিষয়ে যিহোবার নিজের উদাহরণটি স্মরণ করুন, যা পূর্ববর্তী প্রবন্ধে আলোচিত হয়েছে। যখন বাইবেল বলে যে যিহোবা আমাদের পাপ সকল ভুলে যান এর অর্থ এই বোঝায় না যে তিনি সেগুলিকে স্মরণে আনতে অসমর্থ। (যিশাইয় ৪৩:২৫) বরঞ্চ, তিনি এই অর্থে ভুলে যান যে একবার যখন তিনি ক্ষমা করেন, তিনি ভবিষ্যতে কোন সময়ে আমাদের বিরুদ্ধে সেই পাপ সকল ধরে রাখেন না। (যিহিষ্কেল ৩৩:১৪-১৬) অনুরূপভাবে, সহমানবদের ক্ষমা করা আবশ্যিকভাবে এই অর্থ করে না যে তারা যা করেছিল আমরা তা স্মরণ করতে অসমর্থ। কিন্তু, আমরা এই অর্থে তা ভুলে যেতে পারি যে আমরা সেটি অসন্তুষ্টকারীর বিরুদ্ধে ধরে রাখব না অথবা ভবিষ্যতে পুনরায় সেটি দৃষ্টিগোচরে নিয়ে আসব না। তাই বিষয়টির মীমাংসা হয়ে গেলে, এটি সম্বন্ধে সমালোচনা করা যথার্থ হবে না; কিংবা অসন্তুষ্টকারীর সাথে যেন সে একজন সমাজচ্যুত ব্যক্তি এমন ব্যবহার করে তাকে সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলাও প্রেমপূর্ণ কাজ হবে না। (হিতোপদেশ ১৭:৯) এটি সত্য যে, তার সাথে আমাদের সম্পর্ককে পুনর্স্থাপিত করতে হয়ত কিছুটা সময় লাগতে পারে; আমরা হয়ত পূর্বের মত একই ঘনিষ্ঠতা উপভোগ করতে পারব না। কিন্তু তবুও আমরা তাকে আমাদের খ্রীষ্টীয় ভাই হিসাবে ভালবাসি এবং শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য আমাদের সর্বোত্তম করি।—লূক ১৭:৩ পদের সাথে তুলনা করুন।
যখন ক্ষমা করা অসম্ভব বলে মনে হয়
১৫, ১৬. (ক) অনুতাপহীন এক অন্যায়কারীকে ক্ষমা করতে কি খ্রীষ্টানেরা বাধ্য? (খ) গীতসংহিতা ৩৭:৮ পদে প্রাপ্ত বাইবেলের উপদেশটি কিভাবে আমরা প্রয়োগ করতে পারি?
১৫ কিন্তু সেই ক্ষেত্রে কী, যদি আমাদের বিরুদ্ধে অন্যদের পাপ আমাদের জন্য গভীরতর ক্ষতের সৃষ্টি করে আর অথচ অসন্তুষ্টকারীর পক্ষ থেকে সেই পাপের জন্য কোনরকম স্বীকারোক্তি, অনুতাপ এবং অপরাধ স্বীকার করার অভিপ্রায় না থাকে? (হিতোপদেশ ২৮:১৩) শাস্ত্র স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে যিহোবা অনুতাপহীন, নির্মম পাপীদের ক্ষমা করেন না। (ইব্রীয় ৬:৪-৬; ১০:২৬, ২৭) আমাদের সম্বন্ধে কী? শাস্ত্রের প্রতি অন্তর্দৃষ্টি (ইংরাজি) জানায়: “যারা অনুতাপহীনভাবে বিদ্বেষপরায়ণ, স্বেচ্ছাকৃত পাপ অনুশীলন করে তাদের ক্ষমা করার জন্য খ্রীষ্টানেরা বাধ্য নয়। এইরূপ ব্যক্তিরা ঈশ্বরের শত্রুতে পরিণত হয়।” (খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৮৬২) কোন খ্রীষ্টান যিনি চরমতম অবিচার, ঘৃণাপূর্ণ অথবা জঘন্য ব্যবহারের শিকার হয়েছেন, অনুতাপহীন একজন অন্যায়কারীকে ক্ষমা করা অথবা মার্জনা করার জন্য বাধ্যতা অনুভব করা নিষ্প্রয়োজন।—গীতসংহিতা ১৩৯:২১, ২২.
১৬ এটি বোধগম্য যে, যারা নিষ্ঠুর অন্যায় ব্যবহারের শিকার হয়েছে তারা বেদনা অনুভব করতে এবং রেগে যেতে পারে। কিন্তু, স্মরণ করুন যে ক্রোধ এবং ক্ষোভ পোষণ করে চলা আমাদের জন্য খুবই ক্ষতিকারক হতে পারে। স্বীকারোক্তি অথবা অপরাধ স্বীকারের অপেক্ষায় থাকা যা কখনও করা হবে না, আমাদের জন্য কেবলমাত্র আরও আরও বেশি মানসিক বিপর্যয়ই নিয়ে আসতে পারে। অবিচারের দ্বারা আচ্ছন্ন হয়ে পড়া হয়ত আমাদের মধ্যে ক্রোধকে উত্তেজিত করে তুলতে পারে, যা আমাদের আধ্যাত্মিক, মানসিক এবং দৈহিক স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে আসতে পারে। পরিণতিস্বরূপ আমরা, যে আমাদের আঘাত করেছে তাকে ক্রমাগতভাবে আমাদের আঘাত করে চলার জন্য সুযোগ দিই। বিজ্ঞতার সাথে, বাইবেল উপদেশ দেয়: “ক্রোধ হইতে নিবৃত্ত হও, কোপ ত্যাগ কর।” (গীতসংহিতা ৩৭:৮) সেইজন্য, কিছু খ্রীষ্টানেরা দেখেছেন যে কালক্রমে তারা ক্ষোভ পোষণ করা থেকে নিবৃত্ত হওয়ার অর্থে ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত নিতে সমর্থ হয়েছিলেন—তাদের প্রতি যা ঘটেছে তাকে তুচ্ছ করে নয় কিন্তু ক্রোধ দ্বারা নিঃশেষিত হয়ে যাওয়াকে প্রত্যাখ্যান করে। ন্যায়ের ঈশ্বরের হাতে সম্পূর্ণরূপে বিষয়টি ছেড়ে দিয়ে তারা অনেক বেশি স্বস্তি পেয়েছেন এবং অসন্তোষহীন জীবন যাপন করতে সক্ষম হয়েছেন।—গীতসংহিতা ৩৭:২৮.
১৭. প্রকাশিত বাক্য ২১:৪ পদে লিপিবদ্ধকৃত যিহোবার প্রতিজ্ঞা কোন্ সান্ত্বনাদায়ক আশ্বাস প্রদান করে?
১৭ যখন কোন ক্ষত খুবই গভীর হয়, আমরা হয়ত এটিকে আমাদের মন থেকে সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলার ক্ষেত্রে সফল হই না, অন্ততপক্ষে এই বিধিব্যবস্থায়। কিন্তু যিহোবা এক নতুন জগৎ সম্বন্ধে প্রতিজ্ঞা করেন যেখানে “তিনি তাহাদের সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন; এবং মৃত্যু আর হইবে না; শোক বা আর্ত্তনাদ বা ব্যথাও আর হইবে না; কারণ প্রথম বিষয় সকল লুপ্ত হইল।” (প্রকাশিত বাক্য ২১:৪) সেই সময়ে হয়ত যা কিছু আমাদের স্মরণে থেকে যাবে তা আমাদের গভীরভাবে আঘাত করবে না অথবা ব্যথা দেবে না, যা হয়ত এখন আমাদের হৃদয়কে ভারগ্রস্ত করে।—যিশাইয় ৬৫:১৭, ১৮.
১৮. (ক) আমাদের ভাই ও বোনেদের সাথে আমাদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে কেন ক্ষমাশীল হওয়ার প্রয়োজন? (খ) যখন অন্যেরা আমাদের বিরুদ্ধে পাপ করে, তখন কোন্ অর্থে আমরা ক্ষমা করতে ও ভুলে যেতে পারি? (গ) কিভাবে এটি আমাদের উপকৃত করে?
১৮ ইত্যবসরে, আমাদের অবশ্যই ভাই ও বোন হিসাবে একত্রে বসবাস এবং কাজ করতে হবে যারা অসিদ্ধ, পাপী মনুষ্য। আমরা সকলে ভুল করে থাকি। সময়ে সময়ে, আমরা একে অপরকে নিরাশ করি এবং এমনকি পরস্পরকে আঘাত করি। হ্যাঁ, যীশু জানতেন যে আমাদের ‘সাত বার পর্য্যন্ত নয়, কিন্তু সত্তর গুণ সাত বার পর্য্যন্ত’ অন্যদের ক্ষমা করার প্রয়োজন হবে! (মথি ১৮:২২) এটি সত্য যে, আমরা যিহোবার মত সম্পূর্ণভাবে ক্ষমা করতে পারি না। তবুও, অধিকাংশ ক্ষেত্রগুলিতে, যখন আমাদের ভাইরা আমাদের বিরুদ্ধে পাপ করে, আমরা অসন্তোষকে অতিক্রম করার অর্থে ক্ষমা করতে পারি এবং ভবিষ্যতে অনির্দিষ্টকাল ধরে তাদের বিরুদ্ধে বিষয়টি ধরে না রাখার অর্থে ভুলে যেতে পারি। এইভাবে যখন আমরা ক্ষমা করি এবং ভুলে যাই, তখন আমরা কেবলমাত্র মণ্ডলীর শান্তি নয় কিন্তু আমাদের নিজেদেরও মন ও হৃদয়ের শান্তি সংরক্ষণ করতে সাহায্য করি। সর্বোপরি, আমরা সেই শান্তি উপভোগ করব যা কেবলমাত্র আমাদের প্রেমময় ঈশ্বর, যিহোবা প্রদান করতে পারেন।—ফিলিপীয় ৪:৭.
[পাদটীকাগুলো]
a বাবিলীয়দের তালমুড অনুসারে, রব্বিদের একটি পরম্পরাগত বিধি জানায়: “যদি একজন ব্যক্তি অধার্মিক কাজ করে, তাহলে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বার পর্যন্ত তাকে ক্ষমা করা যাবে, চতুর্থ বার তাকে ক্ষমা করা যাবে না।” (Yoma ৮৬খ) এটি আংশিকভাবে আমোষ ১:৩; ২:৬; এবং ইয়োব ৩৩:২৯ এইধরনের শাস্ত্রপদগুলিকে ভুল বোঝার উপর ভিত্তিশীল ছিল।
b ওয়াচটাওয়ার বাইবেল অ্যান্ড ট্র্যাক্ট সোসাইটি দ্বারা প্রকাশিত।
পুনরালোচনার জন্য প্রশ্নগুলি
◻ কেন আমাদের অন্যদের ক্ষমা করার জন্য ইচ্ছুক হওয়া উচিত?
◻ কিধরনের পরিস্থিতিগুলি আমাদের কাছে ‘সহনশীল হওয়ার’ দাবি রাখে?
◻ যখন আমরা অন্যদের কৃত পাপের দ্বারা গভীরভাবে আঘাত পাই, শান্তিপূর্ণভাবে বিষয়টির মীমাংসা করার জন্য আমরা কী করতে পারি?
◻ যখন আমরা অন্যদের ক্ষমা করি, কোন্ অর্থে আমাদের তা ভুলে যাওয়া উচিত?
[১৬ পৃষ্ঠার চিত্র]
যখন আমরা ক্ষোভ পোষণ করি, তখন অসন্তুষ্টকারী হয়ত আমাদের অশান্তি সম্পর্কে অনবগত থাকতে পারে
[১৭ পৃষ্ঠার চিত্র]
শান্তি স্থাপনের উদ্দেশ্যে যখন আপনি অন্যদের কাছে উপস্থিত হন, ভুল বোঝাবুঝি হয়ত সহজেই সরে যেতে পারে