পরীক্ষা সত্ত্বেও আপনার বিশ্বাসের প্রতি একনিষ্ঠ থাকুন!
“হে আমার ভ্রাতৃগণ, তোমরা যখন নানাবিধ পরীক্ষায় পড়, তখন তাহা সর্ব্বতোভাবে আনন্দের বিষয় জ্ঞান করিও।”—যাকোব ১:২.
১. কোন্ বিষয়টি সত্ত্বেও যিহোবার লোকেরা বিশ্বাসে ও “প্রফুল্লচিত্তে” তাঁর সেবা করে থাকে?
যিহোবার লোকেরা তাঁর সাক্ষী হিসাবে তাঁর প্রতি বিশ্বাসে এবং “প্রফুল্লচিত্তে” সেবা করে থাকে। (দ্বিতীয় বিবরণ ২৮:৪৭; যিশাইয় ৪৩:১০) তারা এটি করে থাকে, যদিও তারা বিভিন্ন পরীক্ষার দ্বারা জর্জরিত। তাদের কষ্টকর পরিস্থিতি সত্ত্বেও তারা এই বাক্যগুলি থেকে সান্ত্বনা খুঁজে নেয়: “হে আমার ভ্রাতৃগণ, তোমরা যখন নানাবিধ পরীক্ষায় পড়, তখন তাহা সর্ব্বতোভাবে আনন্দের বিষয় জ্ঞান করিও; জানিও, তোমাদের বিশ্বাসের পরীক্ষাসিদ্ধতা ধৈর্য্য সাধন করে।”—যাকোব ১:২, ৩.
২. যাকোবের পত্রের লেখক সম্বন্ধে কী জানা যায়?
২ প্রায় সা.কা. ৬২ সালে যীশু খ্রীষ্টের অর্ধভ্রাতা শিষ্য যাকোবের দ্বারা এই উক্তিটি লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল। (মার্ক ৬:৩) যাকোব যিরূশালেম মণ্ডলীর একজন প্রাচীন ছিলেন। বস্তুতপক্ষে তিনি, কৈফা (পিতর) এবং যোহন “যাঁহারা স্তম্ভরূপে মান্য”—মণ্ডলীর শক্তিশালী, বলিষ্ঠভাবে স্থাপিত আলম্বস্বরূপ ছিলেন। (গালাতীয় ২:৯) যখন প্রায় সা.কা. ৪৯ সালে ত্বকচ্ছেদের বিষয়টি ‘প্রেরিতগণ ও প্রাচীনবর্গের’ সামনে উপস্থিত হয়েছিল, যাকোব শাস্ত্রীয়ভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত এক প্রস্তাব দিয়েছিলেন যেটি প্রথম শতাব্দীর পরিচালক গোষ্ঠীর দ্বারা গৃহীত হয়েছিল।—প্রেরিত ১৫:৬-২৯.
৩. কিছু সমস্যাগুলি কী ছিল, প্রথম শতাব্দীর খ্রীষ্টানেরা যার সম্মুখীন হচ্ছিল এবং যাকোবের পত্র থেকে কিভাবে আমরা সর্বোত্তম উপকার লাভ করতে পারি?
৩ একজন যত্নশীল আধ্যাত্মিক পালক হিসাবে যাকোব ‘মেষপালের অবস্থা জানতেন।’ (হিতোপদেশ ২৭:২৩) তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে খ্রীষ্টানেরা সেই সময় নিদারুণ পরাক্ষীগুলির সম্মুখীন হচ্ছিল। তাদের চিন্তাধারায় কিছু সমন্বয়সাধনের প্রয়োজন ছিল, কারণ তারা ধনীদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখাচ্ছিল। এক বৃহৎ সংখ্যকদের উপাসনা কেবলমাত্র বাহ্যিক নিয়মসর্বস্ব ছিল। কিছুজন তাদের অশাসিত জিহ্বার দ্বারা ক্ষতি সাধন করছিল। জগতের আত্মার এক ক্ষতিকর প্রভাব ছিল আর অনেকেই ধৈর্যশীল অথবা প্রার্থনাপূর্বক ছিল না। বস্তুতপক্ষে, নির্দিষ্ট কিছু খ্রীষ্টানদের আধ্যাত্মিক অসুস্থতাও ঘটেছিল। যাকোবের পত্র এই সমস্ত বিষয়গুলিকে এক গঠনমূলক উপায়ে উপস্থিত করেছিল আর তার পরামর্শ আজকেও ততখানিই ব্যবহারিক যতখানি এটি সা.কা. প্রথম শতাব্দীতে ছিল। আমরা প্রচুরভাবে উপকৃত হব যদি আমরা এই পত্রটি যেন ব্যক্তিগতভাবে আমাদের লেখা হয়েছে বলে বিবেচনা করি।a
যখন আমরা পরীক্ষাগুলি ভোগ করি
৪. পরীক্ষাগুলিকে আমাদের কিভাবে দেখা উচিত?
৪ পরীক্ষাগুলিকে কোন্ দৃষ্টিতে দেখা উচিত তা যাকোব আমাদের দেখিয়েছেন। (যাকোব ১:১-৪) ঈশ্বরের পুত্রের সাথে তার পারিবারিক যোগসূত্রের বিষয়ে উল্লেখ না করে তিনি নম্রভাবে “ঈশ্বরের ও প্রভু যীশু খ্রীষ্টের দাস” বলে নিজের পরিচিতি দেন। যাকোব আধ্যাত্মিক ইস্রায়েলের “দ্বাদশ বংশের” সমীপে লেখেন যারা নির্যাতনের কারণে প্রাথমিকভাবে “নানা দেশে ছিন্নভিন্ন” ছিল। (প্রেরিত ৮:১; ১১:১৯; গালাতীয় ৬:১৬; ১ পিতর ১:১) খ্রীষ্টান হিসাবে আমরাও নির্যাতিত হয়েছি আর আমরা ‘নানাবিধ পরীক্ষায় পড়ি।’ কিন্তু যদি আমরা স্মরণে রাখি যে পরীক্ষাগুলিতে ধৈর্য ধরা আমাদের বিশ্বাসকে শক্তিশালী করে, তাহলে যখন এগুলি আমাদের প্রতি ঘটে তখন তা আমরা ‘সর্ব্বতোভাবে আনন্দের বিষয় জ্ঞান করিতে’ পারব। যদি পরীক্ষাগুলি চলাকালে আমরা ঈশ্বরের প্রতি আমাদের বিশ্বস্ততা বজায় রাখি, তাহলে এটি আমাদের জন্য চিরস্থায়ী সুখ নিয়ে আসবে।
৫. আমাদের পরীক্ষাগুলি কোন্ বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে আর যখন আমরা সফলতার সাথে সেগুলির প্রতি ধৈর্য ধরি তখন কী ঘটে?
৫ আমাদের পরীক্ষাগুলি সেই সমস্ত দুর্দশাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে যা মনুষ্যজাতির জন্য স্বাভাবিক। উদাহরণস্বরূপ, ভগ্ন স্বাস্থ্য আমাদের আঘাত করতে পারে। ঈশ্বর এখন অলৌকিকভাবে সুস্থ করেন না কিন্তু তিনি অসুস্থতার সাথে মোকাবিলা করতে প্রয়োজনীয় প্রজ্ঞা ও সহিষ্ণুতার জন্য আমাদের প্রার্থনার উত্তর দেন। (গীতসংহিতা ৪১:১-৩) এছাড়াও নির্যাতিত যিহোবার সাক্ষী হিসাবে আমরা ধার্মিকতার কারণেও কষ্টভোগ করি। (২ তীমথিয় ৩:১২; ১ পিতর ৩:১৪) যখন আমরা সফলতার সাথে এইধরনের পরীক্ষাগুলিতে ধৈর্য ধরি, আমাদের বিশ্বাস প্রমাণিত, ‘পরীক্ষাসিদ্ধ’ হয়। আর যখন আমাদের বিশ্বাস এটিকে জয় করে, তখন তা “ধৈর্য্যসাধন করে।” পরীক্ষাগুলির মাধ্যমে সৃষ্ট শক্তিশালী বিশ্বাস ভবিষ্যৎ পরীক্ষাগুলিতে ধৈর্য ধরতে আমাদের সাহায্য করবে।
৬. কিভাবে “সেই ধৈর্য্য সিদ্ধ কার্য্যবিশিষ্ট” হয় এবং যখন আমরা পরীক্ষা ভোগ করি তখন কোন্ ব্যবহারিক পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে?
৬ যাকোব বলেন, “আর সেই ধৈর্য্য সিদ্ধ কার্য্যবিশিষ্ট হউক।” যদি আমরা কোন অশাস্ত্রীয় উপায়ে পরীক্ষাকে শীঘ্র শেষ করার চেষ্টা না করে এটিকে তার সম্পূর্ণ পর্যায় পর্যন্ত চলতে দিই, তাহলে ধৈর্য আমাদের পরিপূর্ণ খ্রীষ্টানে পরিণত করার ক্ষেত্রে “কার্য্যবিশিষ্ট” হবে যাতে করে আমাদের বিশ্বাসের অভাব না থাকে। অবশ্যই যদি পরীক্ষা কিছু দুর্বলতাকে প্রকাশ করে, তাহলে এটিকে অতিক্রম করার জন্য আমাদের যিহোবার সাহায্যের অন্বেষণ করা উচিত। যদি পরীক্ষাটি যৌন অনৈতিকায় লিপ্ত হওয়ার প্রলোভন হয় তাহলে কী? আসুন তাহলে আমরা সমস্যাটির বিষয়ে প্রার্থনা করি ও তারপর আমাদের প্রার্থনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করি। আমাদের হয়ত আমাদের কর্মস্থলের জায়গা পরিবর্তিত করতে অথবা ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ততা বজায় রাখার জন্য অন্য পদক্ষেপগুলি নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।—আদিপুস্তক ৩৯:৭-৯; ১ করিন্থীয় ১০:১৩.
প্রজ্ঞার জন্য অনুসন্ধান
৭. পরীক্ষাগুলির সাথে মোকাবিলা করার জন্য কিভাবে আমরা সাহায্য পেতে পারি?
৭ যাকোব আমাদের দেখান যে কী করা যেতে পারে যদি আমরা পরীক্ষার সাথে কিভাবে মোকাবিলা করা যায় সে সম্বন্ধে না জানি। (যাকোব ১:৫-৮) যিহোবা আমাদের তিরস্কৃত করবেন না যদি আমাদের প্রজ্ঞার অভাব থাকে আর বিশ্বাসে আমরা এটির জন্য প্রার্থনা করি। তিনি আমাদের পরীক্ষাকে সঠিক দৃষ্টিতে দেখতে ও ধৈর্য ধরতে সাহায্য করবেন। আমাদের সহবিশ্বাসীদের দ্বারা অথবা বাইবেল অধ্যয়নের সময় শাস্ত্রপদগুলি হয়ত আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে। ঈশ্বরের বিচক্ষণ পরিচালনার দ্বারা প্রভাবিত ঘটনাগুলি আমাদের এটি দেখতে সাহায্য করতে পারে যে আমাদের কী করা উচিত। আমরা হয়ত ঈশ্বরের আত্মার দ্বারা নির্দেশিত হতে পারি। (লূক ১১:১৩) এইধরনের উপকার উপভোগ করার জন্য স্বাভাবিকভাবেই আমাদের অবশ্যই ঈশ্বর ও তাঁর লোকেদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত থাকা দরকার।—হিতোপদেশ ১৮:১.
৮. কেন একজন সন্দিহান ব্যক্তি যিহোবার কাছ থেকে কিছুই পাবে না?
৮ যিহোবা পরীক্ষাগুলির সাথে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের প্রজ্ঞা অনুমোদন করে থাকেন, যদি আমরা ‘বিশ্বাসপূর্ব্বক যাচ্ঞা করি কিছু সন্দেহ না করি।’ এক সন্দিহান ব্যক্তি “বায়ুতাড়িত বিলোড়িত সমুদ্র-তরঙ্গের তুল্য।” যদি আমরা আধ্যাত্মিকভাবে অস্থির অবস্থায় থাকি তাহলে যেন ‘আমরা যে প্রভুর [“যিহোবার,” NW] নিকটে কিছু পাইব, এমন বোধ না করি।’ তাই আসুন আমরা আমাদের প্রার্থনায় ও অন্যান্যভাবে যেন “দ্বিমনা” এবং “অস্থির” না হই। পরিবর্তে, আমরা প্রজ্ঞার উৎস যিহোবার প্রতি বিশ্বাস রাখি।—হিতোপদেশ ৩:৫, ৬.
ধনী ও দরিদ্র উভয়েই আনন্দ করতে পারে
৯. আমাদের কেন যিহোবার উপাসনায় শ্লাঘা করার কারণ রয়েছে?
৯ এমনকি যদিও দরিদ্রতা আমাদের জন্য একটি পরীক্ষা, আসুন আমরা স্মরণে রাখি যে ধনী ও দরিদ্র খ্রীষ্টান উভয়েই আনন্দ করতে পারে। (যাকোব ১:৯-১১) যীশুর অনুগামী হওয়ার আগে অধিকাংশ অভিষিক্ত ব্যক্তিরা বস্তুগত দিক থেকে খুবই অপ্রতুল ছিলেন আর তাই জগতের কাছে অবজ্ঞার পাত্র ছিলেন। (১ করিন্থীয় ১:২৬) কিন্তু তারা রাজ্যের উত্তরাধিকারী হওয়ার অবস্থানে তাদের “উন্নতির” জন্য আনন্দ করতে পেরেছিলেন। (রোমীয় ৮:১৬, ১৭) বিপরীতে, ধনী ব্যক্তিরা যারা একসময় সম্মানিত হতেন, খ্রীষ্টের অনুগামী হিসাবে “অবনতি” অভিজ্ঞতা করেন যেহেতু তারা জগতের কাছে অবজ্ঞার পাত্র হয়েছিলেন। (যোহন ৭:৪৭-৫২; ১২:৪২, ৪৩) কিন্তু, যিহোবার দাস হিসাবে আমরা সকলে আনন্দ করতে পারি কারণ যে আধ্যাত্মিক ধন আমরা উপভোগ করে থাকি, জাগতিক সম্পদ ও উচ্চ অবস্থান তার তুলনায় কিছুই নয়। আর আমরা কতই না কৃতজ্ঞ যে আমাদের মধ্যে সামাজিক অবস্থান নিয়ে গর্ব করার কোন স্থান নেই!—হিতোপদেশ ১০:২২; প্রেরিত ১০:৩৪, ৩৫.
১০. বস্তুগত সম্পদকে একজন খ্রীষ্টানের কোন্ দৃষ্টিতে দেখা উচিত?
১০ যাকোব আমাদের দেখতে সাহায্য করেছেন যে আমাদের জীবন সম্পদ ও জাগতিক সম্পন্নতার উপর নির্ভর করে না। যেমন একটি ফুলের সৌন্দর্য সূর্যের “সতাপে” তার শুষ্ক হয়ে যাওয়াকে রোধ করতে পারে না, সেইরকমই এক ধনী ব্যক্তির সম্পদ তার জীবনকে দীর্ঘান্বিত করতে পারে না। (গীতসংহিতা ৪৯:৬-৯; মথি ৬:২৭) সম্ভবত ব্যবসার পিছনে তার জীবনের ‘সকল গতি’ অতিবাহিত করতে গিয়ে সে মারা যেতে পারে। সুতরাং, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল “ঈশ্বরের উদ্দেশে ধনবান্” হওয়া আর রাজ্যের আগ্রহ বৃদ্ধির জন্য যা কিছু আমরা করতে পারি তা করা।—লূক ১২:১৩-২১; মথি ৬:৩৩; ১ তীমথিয় ৬:১৭-১৯.
সুখী তারাই যারা পরীক্ষাতে ধৈর্য ধরছে
১১. পরীক্ষাগুলির সম্মুখেও যারা তাদের বিশ্বাসের প্রতি একনিষ্ঠ থাকে তাদের কোন্ প্রত্যাশাগুলি রয়েছে?
১১ ধনী অথবা দরিদ্র যাই হই না কেন, আমরা সুখী হতে পারি কেবলমাত্র যদি আমরা আমাদের পরীক্ষায় ধৈর্য ধরি। (যাকোব ১:১২-১৫) যদি আমরা আমাদের অক্ষত বিশ্বাস দ্বারা ধৈর্য ধরি, আমরা সুখী বলে ঘোষিত হতে পারি, কারণ ঈশ্বরের দৃষ্টিতে যা সঠিক তা করায় আনন্দ রয়েছে। মৃত্যু পর্যন্ত তাদের বিশ্বাসের প্রতি একনিষ্ঠ থাকার দ্বারা আত্মায়-জাত খ্রীষ্টানেরা “জীবন-মুকুট” স্বর্গীয় অমরতা লাভ করেন। (প্রকাশিত বাক্য ২:১০; ১ করিন্থীয় ১৫:৫০) যদি আমাদের পার্থিব আশা থাকে আর আমরা ঈশ্বরের প্রতি আমাদের বিশ্বাস বজায় রাখি, আমরা এক পরমদেশ পৃথিবীতে অনন্তকালীন জীবনের জন্য প্রত্যাশা করতে পারি। (লূক ২৩:৪৩; রোমীয় ৬:২৩) সেই সকল ব্যক্তির প্রতি যিহোবা কতই না মঙ্গলময় যারা তাঁর প্রতি বিশ্বাস অনুশীলন করে!
১২. যখন দুর্দশা ভোগ করছি সেই সময় কেন আমাদের বলা উচিত নয় যে: “ঈশ্বর হইতে আমার পরীক্ষা হইতেছে”?
১২ এটি কি সম্ভব যে যিহোবা নিজে দুর্দশা নিয়ে আসার দ্বারা আমাদের পরীক্ষা করেন? না, আমাদের বলা উচিত নয় যে: “ঈশ্বর হইতে আমার পরীক্ষা হইতেছে।” যিহোবা আমাদের পাপ করতে প্ররোচিত হওয়ার জন্য পরীক্ষা করেন না কিন্তু যদি আমরা বিশ্বাসে অবিচলিত থাকি, পরীক্ষায় ধৈর্য ধরার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি দিয়ে তিনি নিশ্চিতভাবে আমাদের সাহায্য করেন। (ফিলিপীয় ৪:১৩) ঈশ্বর পবিত্র, তাই তিনি আমাদের এমন কোন পরিস্থিতিতে ফেলেন না যা অন্যায় করার প্রতি আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করবে। যদি আমরা নিজেদের এক অপবিত্র পরিস্থিতিতে দেখতে পাই ও কোন পাপ করি, আমাদের তাঁকে দোষারোপ করা উচিত নয়, “কেননা মন্দ বিষয়ের দ্বারা ঈশ্বরের পরীক্ষা করা যাইতে পারে না, আর তিনি কাহারও পরীক্ষা করেন না।” যদিও যিহোবা হয়ত আমাদের মঙ্গলের জন্য আমাদের শাসন করতে পরীক্ষা অনুমোদন করতে পারেন, তিনি মন্দ অভিপ্রায় নিয়ে আমাদের পরীক্ষা করেন না। (ইব্রীয় ১২:৭-১১) শয়তান হয়ত আমাদের অন্যায় করার জন্য প্রলোভিত করতে পারে কিন্তু ঈশ্বর আমাদের মন্দ থেকে রক্ষা করতে পারেন।—মথি ৬:১৩.
১৩. কী হতে পারে যদি আমরা এক অন্যায় আকাঙ্ক্ষাকে প্রত্যাখ্যান না করি?
১৩ আমাদের প্রার্থনাপূর্ণ হওয়া উচিত কারণ কোন একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতি হয়ত এক অন্যায় আকাঙ্ক্ষায় পরিচালিত করতে পারে যা আমাদের পাপের প্রতি প্ররোচিত করে। যাকোব বলেন: “প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কামনা দ্বারা আকর্ষিত ও প্ররোচিত হইয়া পরীক্ষিত হয়।” যদি আমরা আমাদের হৃদয়ে পাপপূর্ণ আকাঙ্ক্ষাকে বাস করতে দিই তাহলে আমাদের পাপের জন্য আমরা ঈশ্বরকে দোষারোপ করতে পারি না। যদি আমরা এক অন্যায় আকাঙ্ক্ষাকে অপসারিত না করি ‘এটি সগর্ভা হয়,’ হৃদয়ে প্রতিপালিতা হয় এবং “পাপ প্রসব করে।” যখন পাপ সম্পাদিত হয় এটি “মৃত্যুকে জন্ম দেয়।” স্পষ্টতই, আমাদের হৃদয়কে সুরক্ষিত করা ও পাপপূর্ণ প্রবণতাগুলিকে প্রতিরোধ করার প্রয়োজন আছে। (হিতোপদেশ ৪:২৩) কয়িনকে সাবধান করা হয়েছিল যে পাপ তাকে প্রায় জয় করার অবস্থায় রয়েছে কিন্তু সে এটিকে প্রতিরোধ করেনি। (আদিপুস্তক ৪:৪-৮) তাহলে, কী বলা যেতে পারে যদি আমরা এক অশাস্ত্রীয় বিষয়ের অনুধাবন করা শুরু করি? নিশ্চিতভাবেই আমরা কৃতজ্ঞ হব যদি খ্রীষ্টান প্রাচীনেরা আমাদের সংশোধন করার চেষ্টা করেন যাতে করে আমরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ না করি।—গালাতীয় ৬:১.
ঈশ্বর—উত্তম বিষয়গুলির উৎস
১৪. কোন্ অর্থে বলা যেতে পারে যে ঈশ্বরের উপহার “সিদ্ধ”?
১৪ আমাদের স্মরণে রাখা উচিত যে যিহোবা পরীক্ষাগুলি নয় কিন্তু উত্তম বিষয়গুলির উৎস। (যাকোব ১:১৬-১৮) যাকোব সহ বিশ্বাসীদের “প্রিয় ভ্রাতৃগণ” বলে সম্বোধন করেন আর দেখান যে ঈশ্বর “সমস্ত উত্তম দান এবং সমস্ত সিদ্ধ বর” দিয়ে থাকেন। যিহোবার দেওয়া আধ্যাত্মিক ও বস্তুগত উপহারগুলি “সিদ্ধ” অথবা সম্পূর্ণ যার মধ্যে কিছুরই অভাব নেই। সেগুলি “উপর হইতে,” স্বর্গ থেকে আসে, যেটি ঈশ্বরের আবাসস্থান। (১ রাজাবলি ৮:৩৯) যিহোবা “জ্যোতির্গণের সেই পিতা”—সূর্য, চন্দ্র এবং তারকারাজি। এছাড়াও তিনি আমাদের আধ্যাত্মিক আলো ও সত্য প্রদান করে থাকেন। (গীতসংহিতা ৪৩:৩; যিরমিয় ৩১:৩৫; ২ করিন্থীয় ৪:৬) সূর্যের বিপরীতে, যেটি আবর্তনকালে তার ছায়া পরিবর্তিত করে আর কেবলমাত্র মধ্যাহ্নেই যেটি সর্বোচ্চ বিকিরণ দেয়, ঈশ্বর সর্বদা উত্তম জিনিসগুলি প্রদানের ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানে থাকেন। নিশ্চিতভাবেই তিনি পরীক্ষাগুলি মোকাবিলা করার জন্য আমাদের সুসজ্জিত করবেন যদি আমরা তাঁর বাক্য এবং “বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান্ দাস” এর মাধ্যমে সরবরাহকৃত তাঁর আধ্যাত্মিক ব্যবস্থার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করি।—মথি ২৪:৪৫.
১৫. যিহোবার একটি সর্বোৎকৃষ্ট উপহার কী?
১৫ ঈশ্বরের কাছ থেকে আসা অন্যতম একটি সর্বোৎকৃষ্ট উপহার কী? সেটি হল সুসমাচার অথবা ‘সত্যের বাক্যের’ সাথে সংযুক্তভাবে কাজ করার জন্য পবিত্র আত্মার দ্বারা আধ্যাত্মিক পুত্রদের সম্মুখে আনয়ন করা। যারা এই আধ্যাত্মিক জন্ম অভিজ্ঞতা করে তারা “এক প্রকার অগ্রিমাংশ,” স্বর্গীয় “রাজ্য ও যাজক” হওয়ার জন্য মনুষ্যজাতির মধ্য থেকে নির্বাচিত। (প্রকাশিত বাক্য ৫:১০; ইফিষীয় ১:১৩, ১৪) যাকোব হয়ত ১৬ই নিশান যে দিন যীশু পুনরুত্থিত হয়েছিলেন সেইদিনে উৎসর্গীকৃত বার্লি শস্যের অগ্রিমাংশের কথা এবং পঞ্চাশত্তমীর দিনে যখন পবিত্র আত্মা বর্ষণ করা হয়েছিল সেই সময় দুইটি গমের রুটি উৎসর্গের বিষয়ে ভেবেছিলেন। (লেবীয় পুস্তক ১৩:৪-১১, ১৫-১৭) এই ক্ষেত্রে, যীশু হবেন অগ্রিমাংশ এবং তাঁর উত্তরাধিকারীরা “এক প্রকার অগ্রিমাংশ।” আমাদের যদি পার্থিব আশা থাকে তাহলে সে সম্বন্ধে কী? এটি স্মরণে রাখা আমাদের ‘সমস্ত উত্তম দানের’ উৎস যিনি রাজ্য শাসনের অধীনে অনন্তকালীন জীবন সম্ভব করেছেন তাঁর প্রতি বিশ্বাসে একনিষ্ঠ হতে আমাদের সাহায্য করবে।
“বাক্যের কার্য্যকারী” হোন
১৬. কেন আমাদের “শ্রবণে সত্বর, কথনে ধীর, ক্রোধে ধীর” হওয়া উচিত?
১৬ এখনই আমরা আমাদের বিশ্বাসের পরীক্ষা ভোগ করছি বা করছি না, আমরা অবশ্যই “বাক্যের কার্য্যকারী” হব। (যাকোব ১:১৯-২৫) আমাদের এর বাধ্য কার্যকারী হয়ে ঈশ্বরের বাক্য “শ্রবণে সত্বর” হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। (যোহন ৮:৪৭) অপরপক্ষে, আসুন আমরা “কথনে ধীর” হই, সতর্কতার সাথে আমাদের বাক্যেকে ব্যবহার করি। (হিতোপদেশ ১৫:২৮, ১৬:২৩) যাকোব হয়ত আমাদের উপদেশ দিচ্ছিলেন যে আমাদের পরীক্ষা ঈশ্বর থেকে এসেছে এটি বলার ক্ষেত্রে আমরা যেন ত্বরান্বিত না হই। আমাদের এই সম্বন্ধেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে আমরা যেন ‘ক্রোধে ধীর হই, কারণ মনুষ্যের ক্রোধ ঈশ্বরের ধার্ম্মিকতার অনুষ্ঠান করে না।’ যদি অন্যের কোন কথায় আমরা ক্রোধান্বিত হই, আসুন আমরা ‘ধীরগতি হই’ যাতে করে প্রতিহিংসা পরায়ণ উত্তর এড়ানো যায়। (ইফিষীয় ৪:২৬, ২৭) ক্রোধপূর্ণ মনোভাব আমাদের সমস্যার কারণ হতে পারে আর অন্যদের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ হতে পারে যেটি আমাদের ধার্মিক ঈশ্বর আমাদের কাছ থেকে যে বিশ্বাস দাবি করেন তা উৎপন্ন করতে পারে না। এছাড়া যদি আমরা “বড় বুদ্ধিমান” হই, আমরা “ক্রোধে ধীর” হব আর আমাদের ভাই ও বোনেরা আমাদের নিকটবর্তী হতে পারবেন।—হিতোপদেশ ১৪:২৯.
১৭. হৃদয় ও মন থেকে দুষ্টতা অপসারিত করার ফলে কী সম্পন্ন হয়?
১৭ আমাদের নিশ্চিতভাবেই “সকল অশুচিতা” থেকে মুক্ত হওয়া প্রয়োজন—সমস্তকিছু যা ঈশ্বরের ঘৃণা ও ক্রোধ উৎপাদন করে। এছাড়াও, আমরা অবশ্যই ‘দুষ্টতার উচ্ছাস ফেলিয়া দিব।’ আমাদের প্রত্যেকের জীবন থেকে যে কোন প্রকার মাংসিক ও আধ্যাত্মিক অপরিচ্ছন্নতাকে দূর করা উচিত। (২ করিন্থীয় ৭:১; ১ পিতর ১:১৪-১৬; ১ যোহন ১:৯) হৃদয় ও মন থেকে দুষ্টতা সরিয়ে দেওয়া আমাদের সত্যের ‘মৃদুভাবে সেই রোপিত বাক্য গ্রহণ করতে’ সাহায্য করে। (প্রেরিত ১৭:১১, ১২) এটি কোন বিষয় নয় যে কত দিন ধরে আমরা খ্রীষ্টান আছি, আমরা অবশ্যই আরও শাস্ত্রীয় সত্যকে আমাদের মধ্যে রোপিত হতে অনুমতি দিয়ে চলব। কেন? কারণ ঈশ্বরের আত্মার মাধ্যমে রোপিত বাক্য “নতুন মনুষ্যত্ব” (NW) উৎপন্ন করে যা পরিত্রাণ লাভ করার জন্য যোগ্য প্রতিপন্ন হয়।—ইফিষীয় ৪:২০-২৪.
১৮. কিভাবে একজন যে বাক্যের শ্রোতামাত্র তার থেকে, যে এর একজন কার্যকারীও সে পৃথক?
১৮ কিভাবে আমরা দেখাতে পারি যে বাক্য আমাদের নির্দেশক? বাধ্য ‘বাক্যের কার্য্যকারী হয়ে, শ্রোতামাত্র না’ হয়ে। (লূক ১১:২৮) “কার্য্যকারী” ব্যক্তিদের সেই বিশ্বাস আছে যা খ্রীষ্টীয় পরিচর্যায় উদ্যোগী কাজ ও ঈশ্বরের লোকেদের সভাগুলিতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করার মত কাজগুলি উৎপন্ন করে। (রোমীয় ১০:১৪, ১৫; ইব্রীয় ১০:২৪, ২৫) বাক্যের শুধুমাত্র শ্রোতা “এমন ব্যক্তির তুল্য, যে দর্পণে আপনার স্বাভাবিক মুখ দেখে।” সে এক ঝলক দেখে আর চলে যায় ও তার চেহারায় সংশোধন করার প্রয়োজন আছে সে সম্বন্ধে ভুলে যায়। “বাক্যের কার্য্যকারী” হিসাবে আমরা মনোযোগপূর্বক ঈশ্বরের ‘সিদ্ধ ব্যবস্থা’ অধ্যয়ন ও পালন করি, যা তিনি আমাদের কাছ থেকে যা চান তার সমস্ত কিছুকে অন্তর্ভুক্ত করে। তাই যে স্বাধীনতা আমরা উপভোগ করি তা পাপ ও মৃত্যুর দাসত্ব থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত যেহেতু এটি জীবনে পরিচালিত করে। সুতরাং আসুন আমরা অবিরতভাবে পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা করা ও এটির বাধ্য হওয়ার দ্বারা ‘সিদ্ধ ব্যবস্থায় নিবিষ্ট থাকি।’ আর চিন্তা করুন! ‘বাক্যের কার্য্যকারী হওয়া, শ্রোতামাত্র না হওয়ায়’ ঈশ্বরের অনুগ্রহ লাভ করার ফলস্বরূপ অর্জিত আনন্দ আমাদের রয়েছে।—গীতসংহিতা ১৯:৭-১১.
রীতিগত উপাসকদের চেয়ে আরও বেশি কিছু
১৯, ২০. (ক) যাকোব ১:২৬, ২৭ পদ অনুসারে শুদ্ধ উপাসনা আমাদের কাছ থেকে কী দাবি করে? (খ) কলুষিত উপাসনার কিছু উদাহরণ কী?
১৯ যদি আমাদের ঐশিক অনুগ্রহ উপভোগ করতে হয়, আমাদের স্মরণে রাখা প্রয়োজন যে সত্য উপাসনা কেবলমাত্র রীতিগত নয়। (যাকোব ১:২৬, ২৭) আমরা হয়ত চিন্তা করতে পারি যে আমরা যিহোবার দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য “ধর্ম্মশীল” ব্যক্তি কিন্তু আমাদের প্রত্যেকের সম্বন্ধে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি কী সেটিই প্রকৃত বিবেচ্য বিষয়। (১ করিন্থীয় ৪:৪) একটি গুরুতর ত্রুটি হয়ত হতে পারে ‘জিহ্বাকে বল্গা দ্বারা বশে না রাখা।’ যদি আমরা অন্যদের বিরুদ্ধে অপবাদ রটাই, মিথ্যা বলি অথবা অন্যভাবে আমাদের জিহ্বার অপব্যবহার করি আর ভাবি যে ঈশ্বর আমাদের উপাসনায় সন্তুষ্ট, তাহলে আমরা নিজেদের প্রতারিত করব। (লেবীয় পুস্তক ১৯:১৬; ইফিষীয় ৪:২৫) নিশ্চিতভাবেই আমরা চাইব না যে আমাদের “ধর্ম্ম,” “অলীক” হোক আর যে কোন কারণে ঈশ্বরের কাছে গ্রহণযোগ্য না হোক।
২০ যদিও যাকোব শুদ্ধ উপাসনার প্রত্যেকটি দিক সম্বন্ধে উল্লেখ করেননি, তিনি বলেন যে এটি ‘পিতৃমাতৃহীনদের ও বিধবাদের তত্ত্বাবধান করাকে’ অন্তর্ভুক্ত করে। (গালাতীয় ২:১০; ৬:১০ ১ যোহন ৩:১৮) খ্রীষ্টীয় মণ্ডলী বিধবাদের জন্য ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে বিশেষ আগ্রহ দেখিয়ে থাকে। (প্রেরিত ৬:১-৬; ১ তীমথিয় ৫:৮-১০) যেহেতু ঈশ্বর বিধবা ও পিতৃমাতৃহীনদের রক্ষাকারী, আধ্যাত্মিক ও বস্তুগতভাবে তাদের সাহায্য করার জন্য আমরা যা করতে পারি সেটি করে আসুন আমরা তাঁর সাথে সহযোগিতা করি। (দ্বিতীয় বিবরণ ১০:১৭, ১৮) শুদ্ধ উপাসনা, পাপাত্মার মধ্যে শুয়ে থাকা অধার্মিক মনুষ্য সমাজের ‘সংসার হইতে আপনাকে নিষ্কলঙ্করূপে রক্ষা করাকেও’ বোঝায়। (যোহন ১৭:১৬; ১ যোহন ৫:১৯) তাই আসুন আমরা জগতের ঈশ্বরহীন আচরণ থেকে মুক্ত থাকি যেন আমরা যিহোবার গৌরব করতে পারি এবং তাঁর সেবায় ব্যবহারিক হতে পারি।—২ তীমথিয় ২:২০-২২.
২১. যাকোবের পত্রের সাথে সংগতি রেখে পরবর্তী কোন্ প্রশ্নগুলি আমাদের বিবেচনার যোগ্য?
২১ তাই, যাকোবের পরামর্শ যেটি আমরা এখন পর্যন্ত বিবেচনা করেছি সেটির, পরীক্ষায় ধৈর্য ধরতে ও আমাদের বিশ্বাসে একনিষ্ঠ থাকতে আমাদের অনেক বেশি সাহায্য করা উচিত। এটি অবশ্যই উত্তম উপহারের প্রেমময় দাতার প্রতি আমাদের উপলব্ধিবোধকে বৃদ্ধি করে। আর যাকোবের বাক্যগুলি আমাদের শুদ্ধ উপাসনা অভ্যাস করতে সাহায্য করে। তবুও, আর কোন্ বিষয়ের প্রতি তিনি আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করান? যিহোবার প্রতি আমাদের প্রকৃত বিশ্বাস আছে এটি দেখাতে পরবর্তী কোন্ পদক্ষেপগুলি আমরা নিতে পারি?
[পাদটীকাগুলো]
a এই প্রবন্ধটি এবং এর পরবর্তী প্রবন্ধ দুটি থেকে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক অধ্যয়ন করার সময় আপনি যাকোবের এই বিশ্বাস-দৃঢ়কারী পত্রের উল্লেখিত অংশগুলি পড়াও বিশেষভাবে উপকারী হিসাবে দেখতে পাবেন।
আপনি কিভাবে উত্তর দেবেন?
◻ কী আমাদের পরীক্ষায় ধৈর্য ধরতে সাহায্য করবে?
◻ পরীক্ষা সত্ত্বেও কেন খ্রীষ্টানেরা আনন্দ করতে পারে?
◻ কিভাবে আমরা বাক্যের কার্যকারী হতে পারি?
◻ শুদ্ধ উপাসনা কোন্ বিষয়কে জড়িত করে?
[৯ পৃষ্ঠার চিত্র]
পরীক্ষা ভোগ করার সময় প্রার্থনার উত্তর পেতে যিহোবার ক্ষমতার উপর বিশ্বাস অনুশীলন করুন
[Pictures on page 10]
‘বাক্যের কার্য্যকারীগণ’ জগদ্ব্যাপী ঈশ্বরের রাজ্য ঘোষণা করছেন