আসুন আমাদের মহামূল্যবান বিশ্বাসকে ধরে রাখি!
“যাঁহারা . . . আমাদের সহিত সমরূপ বহুমূল্য বিশ্বাস প্রাপ্ত হইয়াছেন, তাঁহাদের সমীপে।”—২ পিতর ১:১.
১. তাঁর প্রেরিতদের জন্য সতর্কবার্তাস্বরূপ যীশু কী বলেছিলেন কিন্তু তৎসত্ত্বেও পিতরের কী দম্ভ ছিল?
যীশুর মৃত্যুর আগের দিন সন্ধ্যাবেলায়, তিনি বলেছিলেন যে তাঁর সমস্ত প্রেরিতেরা তাঁকে পরিত্যাগ করবে। তাদের মধ্যে একজন, পিতর সদম্ভে বলেছিলেন: “যদি সকলে আপনাতে বিঘ্ন পায়, আমি কখনও বিঘ্ন পাইব না।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) (মথি ২৬:৩৩) কিন্তু যীশু বিষয়টি জানতেন। সেই কারণে তিনি সেই একই উপলক্ষে পিতরকে বলেছিলেন: “আমি তোমার নিমিত্ত বিনতি করিয়াছি, যেন তোমার বিশ্বাসের লোপ না হয়; আর তুমিও একবার ফিরিলে পর তোমার ভ্রাতৃগণকে সুস্থির করিও।”—লূক ২২:৩২.
২. পিতরের অত্যধিক প্রত্যয় থাকা সত্ত্বেও, তার কোন্ কাজ প্রকাশ করে যে তার বিশ্বাস দুর্বল ছিল?
২ পিতর, যিনি তাঁর বিশ্বাস সম্বন্ধে অত্যধিক প্রত্যয়ী ছিলেন, সেই রাত্রেই যীশুকে অস্বীকার করেছিলেন। তিনবার তিনি এটি অস্বীকার করেছিলেন যে এমনকি তিনি খ্রীষ্টকে চিনতেন! (মথি ২৬:৬৯-৭৫) যখন তিনি ‘ফিরে এসেছিলেন,’ তখন তাঁর প্রভুর বাক্যগুলি “তোমার ভ্রাতৃগণকে সুস্থির করিও” হয়ত নিশ্চয়ই তার কর্ণে উচ্চরবে এবং স্পষ্টভাবে ধ্বনিত হয়েছিল। পিতরের জীবনের অবশিষ্ট দিনগুলি এই উপদেশ দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিল, বাইবেলে সংরক্ষিত তার লিখিত দুটি পত্র যার প্রমাণ দেয়।
কেন পিতর তার পত্রগুলি লিখেছিলেন
৩. কেন পিতর তার প্রথম পত্রটি লিখেছিলেন?
৩ যীশুর মৃত্যুর প্রায় ৩০ বছর পরে, পন্ত, গালাতিয়া, কাপ্পাদকিয়া, এশিয়া এবং বিথুনিয়া প্রভৃতি এলাকাগুলি যা বর্তমানে উত্তর এবং পশ্চিম তুরস্ক গঠন করেছে, সেখানে বসবাসরত তার ভাইয়েদের উদ্দেশ্যে পিতর তার প্রথম পত্রটি লিখেছিলেন। (১ পিতর ১:১) নিঃসন্দেহে, পিতর যাদের উদ্দেশ্যে লিখেছিলেন তাদের মধ্যে সেই সমস্ত যিহূদীরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন যারা হয়ত সা.কা. ৩৩ সালে পঞ্চাশত্তমীর দিনে খ্রীষ্টান হয়েছেন। (প্রেরিত ২:১, ৭-৯) অনেকেই পরজাতীয় ছিলেন যারা বিরোধীদের কাছ থেকে অগ্নিময় পরীক্ষাগুলি সহ্য করছিলেন। (১ পিতর ১:৬, ৭; ২:১২, ১৯, ২০; ৩:১৩-১৭; ৪:১২-১৪) তাই পিতর এই সমস্ত ভাইয়েদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য লিখেছিলেন। তার লক্ষ্য ছিল “[তাদের] বিশ্বাসের পরিণাম অর্থাৎ [তাদের] আত্মার পরিত্রাণ” পেতে তাদের সাহায্য করা। তাই তার দেওয়া বিদায়ী সতর্কবাণীতে তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন: “তোমরা বিশ্বাসে অটল থাকিয়া [দিয়াবলের] প্রতিরোধ কর।”—১ পিতর ১:৯; ৫:৮-১০.
৪. কেন পিতর তার দ্বিতীয় পত্রটি লিখেছিলেন?
৪ পরবর্তী সময়ে, পিতর এই খ্রীষ্টানদের উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় পত্রটি লিখেছিলেন। (২ পিতর ৩:১) কেন? কারণ আরও অধিক ভীতিকর অবস্থা বিদ্যমান ছিল। নীতিহীন ব্যক্তিরা বিশ্বাসীদের মধ্যে তাদের কলুষিত আচরণকে উন্নীত করার চেষ্টা করবে এবং কয়েকজনকে বিপথে পরিচালিত করবে! (২ পিতর ২:১-৩) এছাড়াও, পিতর উপহাসকারীদের সম্বন্ধেও সাবধান করেছিলেন। তিনি তার প্রথম পত্রে লিখেছিলেন যে “সকল বিষয়ের পরিণাম সন্নিকট” এবং এখন কেউ কেউ এইধরনের ধারণায় আপাতদৃষ্টিতে ব্যঙ্গ করেছিল। (১ পিতর ৪:৭; ২ পিতর ৩:৩, ৪) আসুন আমরা পিতরের দ্বিতীয় পত্রটি পরীক্ষা করি এবং দেখি যে কিভাবে এটি বিশ্বাসে দৃঢ় থাকার জন্য ভাইয়েদের শক্তিশালী করেছিল। এই প্রথম প্রবন্ধটিতে আমরা ২ পিতরের ১ম অধ্যায়টি বিবেচনা করব।
১ম অধ্যায়ের উদ্দেশ্য
৫. কিভাবে পিতর তার পাঠকদের সমস্যাগুলি আলোচনার জন্য প্রস্তুত করেন?
৫ পিতর তৎক্ষণাৎই গুরতর সমস্যাগুলি তুলে ধরেননি। বরং, তিনি খ্রীষ্টান হওয়ার সময়ে তারা যা পেয়েছিলেন তার প্রতি তার পাঠকদের উপলব্ধি গড়ে তোলার মাধ্যমে এই সমস্যাগুলি আলোচনার জন্য পথ প্রস্তুত করেন। ঈশ্বরের বিস্ময়কর প্রতিজ্ঞা এবং বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীগুলির নির্ভরযোগ্যতা সম্বন্ধে তিনি তাদের স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি তা করেন রূপান্তর সম্বন্ধে বলার দ্বারা, সেই দর্শন যেখানে তিনি ব্যক্তিগতভাবে খ্রীষ্টকে রাজ্যের ক্ষমতায় দেখেছিলেন।—মথি ১৭:১-৮; ২ পিতর ১:৩, ৪, ১১, ১৬-২১.
৬, ৭. (ক) পিতরের পত্রের ভূমিকা থেকে আমরা কোন্ শিক্ষা লাভ করতে পারি? (খ) যদি আমরা পরামর্শ দিই, কোন্ স্বীকারোক্তি করা হয়ত কখনও কখনও সাহায্যকারী হতে পারে?
৬ পিতরের ভূমিকা থেকে আমরা কি কিছু শিখতে পারি? উপদেশ কি আরও গ্রহণযোগ্য হবে না যদি আমরা মহান রাজ্যের আশার বৈশিষ্ট্যগুলি যা আমাদের সকলের কাছে মূল্যবান সেই সম্বন্ধে শ্রোতাদের সাথে প্রথমে পুনর্বিবেচনা করি? আর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী বলা যায়? সম্ভবত, যীশুর মৃত্যুর পর, পিতর রাজ্যের মহিমায় খ্রীষ্টের সেই দর্শন দেখার বিষয়ে প্রায়ই বলতেন।—মথি ১৭:৯.
৭ এটিও স্মরণে রাখুন যে খুব সম্ভবত পিতর যে সময়ে তার দ্বিতীয় পত্র লিখেছিলেন তখন মথির সুসমাচার এবং গালাতীয়দের উদ্দেশ্যে প্রেরিত পৌলের পত্র ব্যাপকভাবে বিতরণ করা হয়েছিল। সুতরাং পিতরের মানবীয় ব্যর্থতা ও একইসাথে তার বিশ্বাসের প্রকৃতি হয়ত তার সমকালীন লোকেদের কাছে সুপরিচিত ছিল। (মথি ১৬:২১-২৩; গালাতীয় ২:১১-১৪) কিন্তু এটি তার কথা বলার স্বাধীনতাকে হরণ করেনি। অবশ্যই, এটি হয়ত তার পত্রটিকে সেই সমস্ত ব্যক্তিদের কাছে আরও আবেদনমূলক করে তুলেছিল যারা তাদের নিজেদের দুর্বলতা সম্বন্ধে সচেতন ছিলেন। অতএব, যাদের সমস্যা রয়েছে তাদের সাহায্য করার সময়ে, এটি স্বীকার করা কি ব্যবহারিক নয় যে আমাদেরও ভুল করার প্রবণতা রয়েছে?—রোমীয় ৩:২৩; গালাতীয় ৬:১.
শক্তিবর্ধনকারী এক সম্ভাষণ
৮. সম্ভবত কোন্ অর্থে পিতর “বিশ্বাস” শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন?
৮ এখন পিতরের সম্ভাষণ সম্পর্কে বিবেচনা করুন। “যাঁহারা . . . আমাদের সহিত সমরূপ বহুমূল্য বিশ্বাস প্রাপ্ত হইয়াছেন, তাঁহাদের সমীপে,” এইভাবে তার পাঠকদের সম্বোধন করে পিতর সরাসরি বিশ্বাসের বিষয়টিকে উল্লেখ করেন। (২ পিতর ১:১) এখানে “বিশ্বাস” এই অভিব্যক্তিটির যথোপযুক্ত অর্থ “দৃঢ় প্রত্যয়” এবং তা খ্রীষ্টীয় বিশ্বাস অথবা শিক্ষাগুলির সমষ্টিকে চিত্রিত করে, যেটিকে শাস্ত্রে কখনও কখনও ‘সত্য’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। (গালাতীয় ৫:৭; ২ পিতর ২:২; ২ যোহন ১) “বিশ্বাস” শব্দটি একজন ব্যক্তি অথবা বস্তুর মধ্যে বিদ্যমান সাধারণ আস্থা অথবা প্রত্যয়ের চেয়ে বরং এই অর্থেই বেশি ব্যবহৃত হয়েছে।—প্রেরিত ৬:৭; ২ করিন্থীয় ১৩:৫; গালাতীয় ৬:১০; ইফিষীয় ৪:৫; যিহূদা ৩.
৯. কেন অবশ্যই পিতরের সম্ভাষণ পরজাতীয়দের জন্য বিশেষভাবে আন্তরিক শুনিয়েছিল?
৯ পিতরের সম্ভাষণটি অবশ্যই পরজাতীয় পাঠকদের কাছে বিশেষভাবে আন্তরিক বলে মনে হয়েছিল। পরজাতীয়দের সাথে যিহূদীদের কোনরকম সম্পর্ক ছিল না, এমনকি তারা তাদের ঘৃণা করত এবং যারা খ্রীষ্টান হয়েছিল সেই যিহূদীদের মধ্যেও পরজাতীয়দের বিরুদ্ধে কুসংস্কার বিদ্যমান ছিল। (লূক ১০:২৯-৩৭; যোহন ৪:৯; প্রেরিত ১০:২৮) তবুও, জন্মসূত্রে যিহূদী এবং যীশু খ্রীষ্টের একজন প্রেরিত হয়েও, পিতর বলেছিলেন যে তার পাঠকেরা—যিহূদী এবং পরজাতীয়েরা—একই বিশ্বাসের অংশী হয়েছে এবং তার সাথে সমান সুযোগ উপভোগ করেছে।
১০. পিতরের সম্ভাষণ থেকে আমরা কোন্ শিক্ষা লাভ করতে পারি?
১০ পিতরের সম্ভাষণ আজকে আমাদের যে উত্তম শিক্ষা দেয় সে বিষয়ে চিন্তা করুন। ঈশ্বর পক্ষপাত করেন না; তিনি একটি বর্ণ অথবা জাতিকে অন্যগুলির চেয়ে বেশি অনুগ্রহ দেখান না। (প্রেরিত ১০:৩৪, ৩৫; ১১:১, ১৭; ১৫:৩-৯) যেমন যীশু নিজে শিক্ষা দিয়েছিলেন, সকল খ্রীষ্টানেরা পরস্পর ভাই এবং আমাদের কারোরই নিজেকে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা উচিত নয়। এছাড়াও পিতরের সম্ভাষণ জোর দেয় যে আমরা বাস্তবিকই এক বিশ্বব্যাপী ভ্রাতৃসমাজ, যারা “সমরূপ বহুমূল্য” বস্তু, বিশ্বাসকে তুলে ধরে যা পিতর এবং তার সহ প্রেরিতদের ছিল।—মথি ২৩:৮; ১ পিতর ৫:৯.
জ্ঞান এবং ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাগুলি
১১. সম্ভাষণ জানানোর পর কোন্ অত্যাবশ্যকীয় বিষয়গুলি সম্বন্ধে পিতর জোর দেন?
১১ তার এই সম্ভাষণের পর পিতর লেখেন: “অনুগ্রহ ও শান্তি প্রচুররূপে তোমাদের প্রতি বর্ত্তুক।” কিভাবে অনুগ্রহ ও শান্তি আমাদের মধ্যে বৃদ্ধি পাবে? ‘ঈশ্বরের এবং আমাদের প্রভু যীশুর তত্ত্বজ্ঞানের [“যথার্থ জ্ঞানের,” NW]’ মাধ্যমে। পিতর উত্তর দেন। এরপর তিনি বলেন: “ঈশ্বরীয় শক্তি আমাদিগকে জীবন ও ভক্তি সম্বন্ধীয় সমস্ত বিষয় প্রদান করিয়াছে।” কিন্তু কিভাবে আমরা এই অত্যাবশ্যকীয় বিষয়গুলি পেতে পারি? “যিনি নিজ গৌরবে ও সদ্গুণে আমাদিগকে আহ্বান করিয়াছেন, তাঁহার তত্ত্বজ্ঞান [“যথার্থ জ্ঞান,” NW] দ্বারা।” এইভাবে পিতর দুইবার জোর দেন যে ঈশ্বর ও তাঁর পুত্র সম্বন্ধে যথার্থ জ্ঞান অত্যাবশ্যকীয়।—২ পিতর ১:২, ৩; যোহন ১৭:৩.
১২. (ক) পিতর কেন যথার্থ জ্ঞানের গুরুত্বের উপর জোর দেন? (খ) ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাগুলি উপভোগ করার জন্য আমরা অবশ্যই প্রথমে কী করেছি?
১২ “ভাক্ত গুরুরা” [“মিথ্যা শিক্ষকেরা,” NW] যাদের সম্বন্ধে পিতর ২ অধ্যায়ে সাবধান করেন, খ্রীষ্টানদের প্রতারণা করতে “কল্পিত বাক্য” ব্যবহার করে। এইভাবে তারা তাদের অনৈতিকতায় ফিরে যেতে প্রলুব্ধ করে যার থেকে তারা উদ্ধারপ্রাপ্ত হয়েছিল। ‘আমাদের প্রভু ও ত্রাণকর্ত্তা যীশু খ্রীষ্টের তত্ত্বজ্ঞানের [“যথার্থ জ্ঞানের,” NW] মাধ্যমে রক্ষা পাওয়ার পর যে কেউ এইধরনের প্রতারণা দ্বারা পরাভূত হয় তাদের পরিণতি ধ্বংসাত্মক হবে। (২ পিতর ২:১-৩, ২০) স্পষ্টতই এই সমস্যাটি সম্বন্ধে পরে আলোচনা করার পূর্বাভাসস্বরূপ পিতর তার পত্রের একেবারে প্রারম্ভেই ঈশ্বরের সম্মুখে এক শুদ্ধ মান বজায় রাখার জন্য যথার্থ জ্ঞানের ভূমিকার উপর জোর দেন। পিতর লক্ষ্য করেন যে ঈশ্বর “আমাদিগকে মহামূল্য অথচ অতি মহৎ প্রতিজ্ঞা সকল প্রদান করিয়াছেন, যেন তদ্দ্বারা তোমরা . . . ঈশ্বরীয় স্বভাবের সহভাগী হও।” তবুও, এই প্রতিজ্ঞাগুলিকে উপভোগ করতে যেটি আমাদের বিশ্বাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ, পিতর বলেন, আমাদের অবশ্যই সর্বপ্রথম “অভিলাষমূলক সংসারব্যাপী ক্ষয় হইতে পলায়ন” করতে হবে।—২ পিতর ১:৪.
১৩. কোন্ বিষয়টি অভিষিক্ত খ্রীষ্টান ও “অপর মেষ” ধরে থাকতে সংকল্পবদ্ধ?
১৩ ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাগুলিকে আপনি কোন্ দৃষ্টিতে দেখেন? অভিষিক্ত অবশিষ্টাংশ খ্রীষ্টানেরা যেভাবে দেখে থাকেন সেইভাবে? ১৯১৯ সালে ওয়াচ টাওয়ার বাইবেল অ্যান্ড ট্র্যাক্ট সোসাইটির তৎকালীন সভাপতি ফ্রেডারিক ফ্রান্জ যিনি ৭৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে পূর্ণ-সময়ের পরিচর্যা সম্পাদন করেছিলেন, তিনি যারা খ্রীষ্টের সাথে রাজত্ব করার আশা রাখেন তাদের অনুভূতিকে এইভাবে সারাংশ করেন: “আমরা এই মুহূর্ত পর্যন্ত আমাদের বিশ্বাস ধরে আছি আর আমরা ততদিন পর্যন্ত বিশ্বাস ধরে থাকব যতদিন পর্যন্ত না ঈশ্বর প্রকৃতপক্ষেই প্রমাণ করেন যে তিনি ‘মহামূল্য অথচ অতি মহৎ প্রতিজ্ঞা সকলের’ ক্ষেত্রে সত্যনিষ্ঠ।” ভাই ফ্রান্জ স্বর্গীয় পুনরুত্থান সম্পর্কীয় ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার বিষয়ে প্রত্যয়ী থেকেছিলেন আর তাই তিনি বিশ্বাসকে ৯৯ বছর বয়সে তার মৃত্যু পর্যন্ত ধরে রেখেছিলেন। (১ করিন্থীয় ১৫:৪২-৪৪; ফিলিপীয় ৩:১৩, ১৪; ২ তীমথিয় ২:১০-১২) অনুরূপভাবে, লক্ষ লক্ষ ব্যক্তিরা বিশ্বাসকে ধরে আছে, পার্থিব পরমদেশ সম্পর্কে ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার প্রতি তাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখে যেখানে লোকেরা সুখে অনন্তকাল বেঁচে থাকবে। আপনি কি এই ব্যক্তিদের মধ্যে একজন?—লূক ২৩:৪৩; ২ পিতর ৩:১৩; প্রকাশিত বাক্য ২১:৩, ৪.
ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাগুলির প্রতি সাড়া দিন
১৪. বিশ্বাসের সাথে যোগানোর ক্ষেত্রে পিতর কেন সদ্গুণকে প্রথমে তালিকাভুক্ত করেন?
১৪ তিনি যা প্রতিজ্ঞা করেছেন তার জন্য কি আমরা ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ? যদি তাই হয়, পিতর উৎসাহ দেন আমাদের তা দেখান উচিত। “আর ইহারই জন্য” (কারণ ঈশ্বর আমাদের জন্য মহামূল্যবান প্রতিজ্ঞাগুলি করেছেন) আমাদের কার্যকারী হওয়ার জন্য প্রকৃত প্রচেষ্টা করা উচিত। কেবলমাত্র বিশ্বাসে থেকে অথবা বাইবেল সত্যের সাথে পরিচিত হয়েই আমরা পরিতৃপ্ত হতে পারি না। তা যথেষ্ট নয়! সম্ভবত পিতরের দিনে কিছু ব্যক্তি মণ্ডলীগুলিতে বিশ্বাস সম্বন্ধে প্রচুর আলোচনা করেছিল কিন্তু অনৈতিক আচরণে যুক্ত হয়েছিল। তাদের ব্যবহার সদ্গুণসম্পন্ন হওয়ার প্রয়োজন ছিল, তাই পিতর উৎসাহিত করেন: “আপনাদের বিশ্বাসে সদ্গুণ, . . . যোগাও।”—২ পিতর ১:৫, ৭; যাকোব ২:১৪-১৭.
১৫. (ক) বিশ্বাসের সাথে যোগানোর জন্য কেন জ্ঞানকে সদ্গুণের পরেই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে? (খ) অন্য কোন্ গুণাবলি আমাদের বিশ্বাসকে ধরে রাখতে সজ্জিত করবে?
১৫ সদ্গুণ সম্বন্ধে উল্লেখ করার পর পিতর আরও ছয়টি গুণাবলিকে তালিকাভুক্ত করেন যেগুলি অবশ্যই আমাদের বিশ্বাসের সাথে যোগাতে বা যুক্ত করতে হবে। এর প্রত্যেকটি প্রয়োজনীয় যদি আমরা ‘বিশ্বাসে দাঁড়াইয়া থাকিতে’ চাই। (১ করিন্থীয় ১৬:১৩) যেহেতু ধর্মভ্রষ্টেরা ‘শাস্ত্রলিপির বিরূপ অর্থ করেছিল’ এবং “প্রতারণাপূর্ণ শিক্ষাগুলি” (NW) সম্বন্ধে প্রচার করেছিল, তাই পিতর এরপরে জ্ঞানকে অত্যাবশ্যকীয় বিষয় বলে তালিকাভুক্ত করেন এটি বলে: “আপনাদের . . . সদ্গুণে জ্ঞান [যোগাও]।” এরপর তিনি আরও বলেন: “জ্ঞানে জিতেন্দ্রিয়তা, ও জিতেন্দ্রিয়তায় ধৈর্য্য, ও ধৈর্য্যে ভক্তি, ও ভক্তিতে ভ্রাতৃস্নেহ, ও ভ্রাতৃস্নেহে প্রেম [যুক্ত কর]।”—২ পিতর ১:৫-৭; ২:১২, ১৩; ৩:১৬.
১৬. কী ঘটবে যদি পিতর যে গুণাবলি তালিকাবদ্ধ করেছিলেন তা বিশ্বাসের সাথে যোগানো হয় কিন্তু যদি তা না করা হয় তাহলে কী ঘটবে?
১৬ কী হবে যদি আমাদের বিশ্বাসে এই সাতটি বিষয় যোগানো হয়? “এই সমস্ত যদি তোমাদিগেতে থাকে ও উপচিয়া পড়ে” পিতর উত্তর দেন, “তবে আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের তত্ত্বজ্ঞান [“যথার্থ জ্ঞান,” NW] সম্বন্ধে তোমাদিগকে অলস কি ফলহীন থাকিতে দিবে না।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) (২ পিতর ১:৮) অন্যদিকে, পিতর বলেন: “এই সমস্ত যাহার নাই, সে অন্ধ, অদূরদর্শী, আপন পূর্ব্বপাপসমূহের মার্জ্জনা ভুলিয়া গিয়াছে।” (২ পিতর ১:৯) লক্ষ্য করুন যে পিতর এই অভিব্যক্তিগুলি যেমন “আপনি” এবং “আমাদের” ব্যবহার করার পরিবর্তে “যে কেহ,” “তিনি” এবং “তার” ব্যবহার করেছেন। দুঃখের বিষয় যে, যদিও কিছুজন অন্ধ, বিস্মরণশীল এবং অপরিচ্ছন্ন, পিতর করুণাপূর্ণভাবে পাঠককে এইগুলির একটিও বলে ইঙ্গিত করেননি।—২ পিতর ২:২.
তার ভাইয়েদের শক্তিশালী করা
১৭. “এ সকল” অভ্যাস করা সম্বন্ধে পিতরের কোমল আবেদনকে কোন্ বিষয়টি হয়ত সক্রিয় করেছে?
১৭ সম্ভবত এই বিষয়টি উপলব্ধি করে যে বিশেষভাবে নতুনেরা সহজেই প্রতারিত হতে পারে, পিতর কোমলভাবে তাদের উৎসাহিত করেন: “ভ্রাতৃগণ, তোমরা যে আহূত ও মনোনীত, তাহা নিশ্চয় করিতে অধিক যত্ন কর, কেননা এ সকল করিলে তোমরা কখনও উছোট খাইবে না।” (২ পিতর ১:১০; ২:১৮) অভিষিক্ত খ্রীষ্টানেরা যারা তাদের বিশ্বাসে এই সাতটি বিষয় যোগান তারা এক মহান পুরস্কার উপভোগ করবেন, যেমন পিতর বলেন: “আমাদের প্রভু ও ত্রাণকর্ত্তা যীশু খ্রীষ্টের অনন্ত রাজ্যে প্রবেশ করিবার অধিকার প্রচুররূপে তোমাদিগকে দেওয়া যাইবে।” (২ পিতর ১:১১) ‘অপর মেষেরা’ ঈশ্বরের রাজ্যের পার্থিব অঞ্চলে অনন্তকালীন উত্তরাধিকার লাভ করবে।—যোহন ১০:১৬, NW; মথি ২৫:৩৩, ৩৪.
১৮. কেন পিতর তার ভাইয়েদের “সর্ব্বদা স্মরণ করাইয়া দিতে” প্রস্তুত ছিলেন?
১৮ পিতর আন্তরিকভাবে তার ভাইয়েদের জন্য এই প্রকার এক মহান পুরস্কার চান। তিনি লেখেন, “এই কারণ, আমি তোমাদিগকে এই সকল সর্ব্বদা স্মরণ করাইয়া দিতে প্রস্তুত থাকিব; যদিও তোমরা এ সকল জান, এবং বর্ত্তমান সত্যে সুস্থিরও আছ।” (২ পিতর ১:১২) পিতর গ্রীক শব্দ স্টেরিজো ব্যবহার করেন যেটি এখানে “সুস্থিরও” হিসাবে অনুবাদ করা হয়েছে কিন্তু সেটি পিতরের প্রতি যীশুর পূর্ববর্তী উপদেশে “সুস্থির” [“শক্তিশালী,” NW] হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছিল: “তোমার ভ্রাতৃগণকে সুস্থির [“শক্তিশালী,” NW] করিও।” (লূক ২২:৩২) এই শব্দটির ব্যবহার হয়ত নির্দেশ করে যে পিতর তার প্রভুর কাছ থেকে প্রাপ্ত শক্তিশালী উপদেশ স্মরণ রেখেছেন। এখন পিতর বলেন: “আমি যত দিন এই তাম্বুতে থাকি [মনুষ্য দেহ], তত দিন তোমাদিগকে স্মরণ করাইয়া দিয়া জাগ্রৎ রাখা বিহিত জ্ঞান করি। কারণ আমি জানি, আমার এই তাম্বু পরিত্যাগ শীঘ্রই ঘটিবে, তাহা আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টই আমাকে জানাইয়াছেন।”—২ পিতর ১:১৩, ১৪.
১৯. আজকে আমাদের কোন্ সাহায্যগুলির প্রয়োজন?
১৯ যদিও পিতর করুণাপূর্ণভাবে বলেন যে তার পাঠকেরা ‘সত্যে সুস্থির,’ তিনি উপলব্ধি করেন যে তাদের বিশ্বাস নৌকা ভগ্ন অভিজ্ঞতা করতে পারে। (১ তীমথিয় ১:১৯) যেহেতু তিনি জানেন যে তিনি শীঘ্রই মৃত্যু বরণ করবেন, তিনি তার ভাইয়েদের প্রতি সেই বিষয়গুলি উল্লেখ করার দ্বারা তাদের শক্তিশালী করেন যেগুলি তারা আধ্যাত্মিকভাবে নিজেদের শক্তিশালী রাখার জন্য পরবর্তী সময়ে স্মরণ করতে পারে। (২ পিতর ১:১৫; ৩:১২, ১৩) অনুরূপভাবে, আজকে আমাদেরও বিশ্বাসে দৃঢ় থাকার জন্য ক্রমাগত অনুস্মারকের প্রয়োজন। আমরা কারা এবং কত দীর্ঘদিন ধরে আমরা সত্যে আছি, সেটি যাই হোক না কেন আমরা নিয়মিত বাইবেল পাঠ, ব্যক্তিগত অধ্যয়ন এবং মণ্ডলীর সভাগুলিতে উপস্থিত হওয়াকে অবহেলা করতে পারি না। কিছুজন উপস্থিত না হওয়ার জন্য এই বলে অজুহাত দেখায় যে তারা অতিরিক্ত ক্লান্ত বা সভাগুলি পুনরাবৃত্তিমূলক অথবা সেগুলি উত্তমভাবে উপস্থাপিত হয় না, কিন্তু পিতর জানতেন যে আমাদের মধ্যে যে কেউ কত দ্রুত বিশ্বাস হারিয়ে ফেলতে পারি যদি আমরা অত্যধিক প্রত্যয়ী হই।—মার্ক ১৪:৬৬-৭২; ১ করিন্থীয় ১০:১২; ইব্রীয় ১০:২৫.
আমাদের বিশ্বাসের পক্ষে দৃঢ় ভিত্তি
২০, ২১. কিভাবে রূপান্তর পিতর ও তার পত্রের পাঠকদের, আজকের দিনে আমরাও যার অন্তর্ভুক্ত, বিশ্বাসকে শক্তিশালী করে?
২০ আমাদের বিশ্বাস কি কেবলমাত্র চাতুরীপূর্ণভাবে আবিষ্কৃত পৌরাণিক কাহিনী ভিত্তিক? “না” পিতর জোরের সাথে সাড়া দেন, “আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের পরাক্রম ও আগমনের বিষয় যখন তোমাদিগকে জ্ঞাত করিয়াছিলাম, তখন আমরা কৌশল-কল্পিত গল্পের অনুগামী হই নাই, কিন্তু তাঁহার মহিমার চাক্ষুষ সাক্ষী হইয়াছিলাম।” পিতর, যাকোব এবং যোহন যীশুর সাথে সেখানে উপস্থিত ছিলেন যখন তারা তাঁর রাজ্যের ক্ষমতায় আসা সম্বন্ধে এক দর্শন দেখেছিলেন। পিতর ব্যাখ্যা করেন: “তিনি পিতা ঈশ্বর হইতে সমাদর ও গৌরব পাইয়াছিলেন, সেই মহিমাযুক্ত প্রতাপ কর্ত্তৃক তাঁহার কাছে এই বাণী উপনীত হইয়াছিল, ‘ইনিই আমার পুত্ত্র, আমার প্রিয়তম, ইহাঁতেই আমি প্রীত।’ আর স্বর্গ হইতে উপনীত সেই বাণী আমরাই শুনিয়াছি, যখন তাঁহার সঙ্গে পবিত্র পর্ব্বতে ছিলাম।”—২ পিতর ১:১৬-১৮.
২১ যখন পিতর, যাকোব ও যোহন ওই দর্শনটি দেখেছিলেন, নিশ্চিতভাবেই রাজ্য তাদের কাছে বাস্তবে পরিণত হয়েছিল! “আর” পিতর উল্লেখ করেন, “ভাববাণীর বাক্য দৃঢ়তর হইয়া আমাদের নিকটে রহিয়াছে; তোমরা যে সেই বাণীর প্রতি মনোযোগ করিতেছ, তাহা ভালই করিতেছ।” হ্যাঁ পিতরের পত্রের পাঠকদের, আজকের দিনে আমরাও যার অন্তর্ভুক্ত, ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধীয় ভবিষ্যদ্বাণীগুলির প্রতি মনোযোগ নিবিষ্ট করার শক্তিশালী কারণ আছে। কোন্ উপায়ে আমরা মনোযোগ নিবিষ্ট করতে পারি? পিতর উত্তর দেন: “তাহা এমন প্রদীপের তুল্য, যাহা যে পর্য্যন্ত দিনের আরম্ভ না হয় এবং প্রভাতীয় তারা তোমাদের হৃদয়ে উদিত না হয়, সেই পর্য্যন্ত অন্ধকারময় স্থানে দীপ্তি দেয়।”—২ পিতর ১:১৯; দানিয়েল ৭:১৩, ১৪; যিশাইয় ৯:৬, ৭.
২২. (ক) আমাদের হৃদয়কে কিসের প্রতি সতর্ক রাখা প্রয়োজন? (খ) কিভাবে আমরা ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বাক্যের প্রতি মনোযোগ নিবিষ্ট করি?
২২ ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বাক্যের আলোক ব্যতীত আমাদের হৃদয় অন্ধকার থাকবে। কিন্তু এর প্রতি মনোযোগ নিবিষ্ট করার দ্বারা খ্রীষ্টানদের হৃদয় দিনের আরম্ভ থেকে সতর্ক থেকেছে যখন “প্রভাতীয় তারা,” যীশু খ্রীষ্ট রাজ্যের প্রতাপে উদিত হন। (প্রকাশিত বাক্য ২২:১৬) ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বাক্যের প্রতি আজকে কিভাবে আমরা মনোযোগ নিবিষ্ট করতে পারি? বাইবেল অধ্যয়ন, সভাগুলির জন্য প্রস্তুতি ও অংশগ্রহণ এবং ‘এ সকল বিষয়ে চিন্তা করা, এ সকলে স্থিতি করার’ মাধ্যমে। (১ তীমথিয় ৪:১৫) যদি ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বাক্য এক “অন্ধকারময় স্থানে” (আমাদের হৃদয়ে) আলো বিকীর্ণকারী এক প্রদীপের তুল্য হয়, আমরা অবশ্যই এটিকে আমাদের মধ্যে গভীরভাবে কার্যকারী হতে অনুমতি দেব—আমাদের অকাঙ্ক্ষা, আবেগ, প্রেরণা এবং লক্ষ্যগুলির ক্ষেত্রে। আমাদের বাইবেলের ছাত্র হওয়া প্রয়োজন, কারণ পিতর তার ১ম অধ্যায়টির উপসংহার এইভাবে করেন: “শাস্ত্রীয় কোন ভাববাণী বক্তার নিজ ব্যাখ্যার বিষয় নয়; কারণ ভাববাণী কখনও মনুষ্যের ইচ্ছাক্রমে উপনীত হয় নাই, কিন্তু মনুষ্যেরা পবিত্র আত্মা দ্বারা চালিত হইয়া ঈশ্বর হইতে যাহা পাইয়াছেন, তাহাই বলিয়াছেন।”—২ পিতর ১:২০, ২১.
২৩. ২ পিতরের প্রথম অধ্যায়টি কিসের জন্য পাঠকদের প্রস্তুত করে থাকে?
২৩ তার দ্বিতীয় পত্রের প্রারম্ভিক অধ্যায়ে পিতর আমাদের মহামূল্যবান বিশ্বাসকে ধরে রাখার জন্য এক শক্তিশালী প্রেরণা সরবরাহ করেছিলেন। এখন আমরা পরবর্তী পদক্ষেপস্বরূপ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করার জন্য প্রস্তুত। পরবর্তী প্রবন্ধ ২ পিতরের ২য় অধ্যায়টি আলোচনা করবে যেখানে প্রেরিত অনৈতিক প্রভাব সংক্রান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে আলোচনা করেছেন যা মণ্ডলীর মধ্যে অনুপ্রবেশ করেছিল।
আপনি কি স্মরণ করতে পারেন?
◻ পিতর কেন যথার্থ জ্ঞানের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছিলেন?
◻ বিশ্বাসের সাথে যোগানোর জন্য সদ্গুণকে প্রথমে তালিকাবদ্ধ করার কারণটি কী হতে পারে?
◻ কেন পিতর সর্বদা তার ভাইয়েদের স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন?
◻ আমাদের বিশ্বাসের ক্ষেত্রে কোন্ দৃঢ় ভিত্তি পিতর সরবরাহ করেন?
[৯ পৃষ্ঠার চিত্র]
পিতরের ভুলত্রুটি তার বিশ্বাসকে পরিত্যাগ করার কারণস্বরূপ হয়নি