কে ভবিষ্যদ্বাণীর অর্থ ব্যাখ্যা করতে পারে?
মহান আলেকজান্ডারের সময়ে গর্ডিয়ান নটকে (গিঁটকে) সবচেয়ে রহস্যময় বলে মনে করা হতো। যিনি সেই জটিল গিঁটটা খুলতে পারতেন, তিনি ছিলেন বিজ্ঞ—তার বিজয় মহান।a পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, আলেকজান্ডার তার তলোয়ারের এক আঘাতেই সেই রহস্য উদ্ঘাটন করতে পেরেছিলেন।
যুগ যুগ ধরে, বিজ্ঞ ব্যক্তিরা কেবল কঠিন গিঁটগুলো খোলারই নয় কিন্তু সেইসঙ্গে ধাঁধার সমাধান করার, ভবিষ্যদ্বাণীগুলোর অর্থ ব্যাখ্যা করার আর এমনকী ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে আগে থেকে বলার চেষ্টা করে এসেছে।
কিন্তু, বেশিরভাগ সময়ই এই ধরনের কাজগুলো তাদের সাধ্যের বাইরে ছিল। উদাহরণস্বরূপ, বাবিলের বিজ্ঞ ব্যক্তিরা সেই হস্তলেখার অর্থ ব্যাখ্যা করতে অসমর্থ হয়েছিল, যা এক জাঁকজমকপূর্ণ ভোজের সময়ে রাজা বেল্শৎসরের রাজপ্রাসাদের দেওয়ালে অলৌকিকভাবে দেখা গিয়েছিল। একমাত্র দানিয়েলই—যিহোবা ঈশ্বরের বয়স্ক ভাববাদী, যার “সন্দেহ ভঞ্জন করিবার [“গিঁট খোলার,” NW]” সুনাম ছিল, তিনিই—সেই ব্যক্তি হিসেবে প্রমাণিত হয়েছিলেন, যিনি ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বার্তার অর্থ ব্যাখ্যা করতে পারতেন। (দানিয়েল ৫:১২) সেই ভবিষ্যদ্বাণী, যা বাবিল সাম্রাজ্যের ধ্বংস সম্বন্ধে জানিয়েছিল, তা সেই রাতেই পরিপূর্ণ হয়েছিল!—দানিয়েল ৫:১, ৪-৮, ২৫-৩০.
ভবিষ্যদ্বাণী বলতে কী বোঝায়?
ভবিষ্যদ্বাণীকে ভবিষ্যৎ সম্বন্ধীয় প্রকাশ, ঘটনাগুলো ঘটার আগেই সেগুলোর বিষয়ে আগে থেকে লিপিবদ্ধ করা হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। প্রকৃত ভবিষ্যদ্বাণী হল, তা সেটা লিখিত বা কথিত যা-ই হোক না কেন, এক অনুপ্রাণিত বার্তা, ঐশিক ইচ্ছা ও উদ্দেশ্যের এক প্রকাশ। বাইবেলে মশীহের আবির্ভাব ও পরিচয় এবং “যুগান্ত” ও সেইসঙ্গে ঈশ্বরের কাছ থেকে বিচারের বার্তা সম্বন্ধীয় ভবিষ্যদ্বাণী পাওয়া যায়।—মথি ২৪:৩; দানিয়েল ৯:২৫.
বর্তমান দিনের “বিজ্ঞ ব্যক্তিরা”—বিজ্ঞান, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, রাজনীতি, পরিবেশ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রের অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা—ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে আগে থেকে বলার প্রচেষ্টা করে থাকে। যদিও এই ধরনের অনেক ভবিষ্যদ্বাণী প্রচার মাধ্যমের দ্বারা ব্যাপকভাবে তুলে ধরা হয়—এবং জনগণও সেগুলো উৎসুকভাবে গ্রহণ করে নেয়—কিন্তু বড়ো জোর সেগুলো হল অভিজ্ঞতাভিত্তিক অনুমান এবং ব্যক্তিগত মতামত। অধিকন্তু, প্রকাশিত প্রতিটা ধারণার মধ্যে সবসময় অসংখ্য বিরোধী ধারণা এবং বিপরীত যুক্তিতর্ক থাকে। ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে আগে থেকে বলা সত্যিই ঝুঁকিপূর্ণ।
প্রকৃত ভবিষ্যদ্বাণীর উৎস
তাহলে, প্রকৃত ভবিষ্যদ্বাণীগুলোর উৎস কী এবং কে সেগুলোর অর্থ ব্যাখ্যা করতে পারে? প্রেরিত পিতর লিখেছিলেন: “শাস্ত্রীয় কোন ভাববাণী বক্তার নিজ ব্যাখ্যার বিষয় নয়।” (২ পিতর ১:২০) “ব্যাখ্যার” জন্য ব্যবহৃত গ্রিক শব্দটির অর্থ হল, “সমাধান করা, উন্মোচন করা” আর সেটা এই ধারণা দেয় যে, “যেটাকে খুলে দেওয়া অথবা আলগা করা হয়েছে, সেটা আগে বদ্ধ ছিল।” তাই, আক্ষরিকভাবে প্রকাশ করতে গিয়ে দি অ্যামপ্লিফাইড নিউ টেস্টামেন্ট পিতরের কথাগুলোকে এভাবে অনুবাদ করে: “শাস্ত্রের কোনো ভবিষ্যদ্বাণীই ব্যক্তিগতভাবে . . . আলগা করার [এক বিষয়] নয়।”
কল্পনা করুন যে, একজন নাবিক দক্ষতার সঙ্গে একটা দড়ি দিয়ে এক জটিল গিঁট বাঁধছেন। এটা শেষ হওয়ার পর, একজন অদক্ষ ব্যক্তি গিঁটের মধ্যে পেঁচানো দড়িটাকে দেখতে পান কিন্তু তিনি নিশ্চিত নন যে, কীভাবে সেটাকে আলগা করতে হয়। একইভাবে, লোকেরা প্রচলিত প্রবণতাগুলোকে লক্ষ্য করতে পারে, যেগুলো এক জটিল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যায়, কিন্তু তারা নিশ্চিত নয় যে, কীভাবে সেই ভবিষ্যৎ প্রকাশিত হবে বা সফল হবে।
প্রাচীনকালের অনুপ্রাণিত ভাববাদীরা, যেমন দানিয়েল, তার সময়ের প্রচলিত প্রবণতাগুলোকে ব্যক্তিগতভাবে বিশ্লেষণ করেননি এবং তারপর ভবিষ্যদ্বাণী বলার দ্বারা এক জটিল ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে প্রকাশ করার প্রচেষ্টা করেননি। তারা যদি ভবিষ্যৎকে এইভাবেই ঘটানোর জন্য চেষ্টা করত, তাহলে এই ধরনের ভবিষ্যদ্বাণীর উৎস হতো তাদের নিজস্ব কল্পনাশক্তি। এর ফলে এটা হতো এক মনুষ্য ভাববাণী, এক অসিদ্ধ ভিত্তির ওপর গড়ে ওঠা এক পূর্বানুমান। এর পরিবর্তে, পিতর ব্যাখ্যা করে চলেন: “ভাববাণী কখনও মনুষ্যের ইচ্ছাক্রমে উপনীত হয় নাই, কিন্তু মনুষ্যেরা পবিত্র আত্মা দ্বারা চালিত হইয়া ঈশ্বর হইতে যাহা পাইয়াছেন, তাহাই বলিয়াছেন।”—২ পিতর ১:২১.
‘অর্থ করিবার শক্তি ঈশ্বর হইতে’
প্রায় ৩,৭০০ বছর আগে, দুজন ব্যক্তি মিশরের একটা কারাগারে বন্দি ছিল। প্রত্যেকেই একটা করে আগ্রহজনক স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই দেশের কোনো বিজ্ঞ ব্যক্তির কাছে যেতে না পারায়, তারা তাদের উদ্বেগের কথা যোষেফ নামে এক সহবন্দির কাছে বিস্ময়ের সঙ্গে প্রকাশ করে: “আমরা স্বপ্ন দেখিয়াছি, কিন্তু অর্থকারক কেহ নাই।” ঈশ্বরের সেই দাস এই বলে তাদেরকে তাদের স্বপ্নের কথা তাকে বলতে উৎসাহিত করেন: “অর্থ করিবার শক্তি কি ঈশ্বর হইতে হয় না?” (আদিপুস্তক ৪০:৮) একমাত্র যিহোবা ঈশ্বরেরই ভবিষ্যদ্বাণী প্রকাশ করার ক্ষমতা রয়েছে, ঠিক যেমন একজন অভিজ্ঞ নাবিক জটিল গিঁটগুলো খুলতে পারেন। সর্বোপরি, স্বয়ং ঈশ্বরই সেই ভবিষ্যদ্বাণীগুলো করেছেন বা সেগুলো বদ্ধ করেছেন। তাই, যুক্তিসংগতভাবেই সেগুলোর অর্থ আলগা করার ব্যাপারে আমরা তাঁর ওপর নির্ভর করতে পারি। হ্যাঁ, যোষেফ সঠিকভাবেই ঈশ্বরকে কৃতিত্ব দিয়েছিলেন।
তাহলে, কোন অর্থে ‘অর্থ করিবার শক্তি ঈশ্বর হইতে’? এটা যে সত্য, তা বেশ কয়েকটা উপায়ে প্রমাণিত হয়েছে। বাইবেলের কিছু ভবিষ্যদ্বাণী এবং সেগুলোর পরিপূর্ণতা একইসঙ্গে লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল। তাই, এগুলো খোলা তুলনামূলকভাবে সহজ, ঠিক সেইরকম কিছু গিঁটের মতো, যেগুলো কীভাবে খুলতে হয়, সেটা একজন নাবিক স্বচ্ছন্দে ব্যাখ্যা করে থাকেন।—আদিপুস্তক ১৮:১৪; ২১:২.
অন্যান্য ভবিষ্যদ্বাণী, প্রসঙ্গ পরীক্ষা করার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা এবং প্রকাশ করা যেতে পারে। ভাববাদী দানিয়েল ‘দুই শৃঙ্গবিশিষ্ট এক মেষ’ সম্বন্ধীয় ভবিষ্যদ্বাণীমূলক একটা দর্শন দেখেছিলেন, যে-মেষটাকে এমন একটা ‘ছাগ’ প্রচণ্ড আঘাত করে, যেটার “দুই চক্ষুর মধ্যস্থানে বিলক্ষণ একটা শৃঙ্গ” ছিল। প্রসঙ্গ দেখায় যে, দুই শৃঙ্গবিশিষ্ট সেই মেষ ‘মাদীয় ও পারসীক রাজাকে’ এবং ছাগ “যবন” (গ্রিস) ‘দেশের রাজাকে’ চিত্রিত করে। (দানিয়েল ৮:৩-৮, ২০-২২) ২০০ বছরেরও বেশি সময় পরে “বৃহৎ শৃঙ্গ”—মহান আলেকজান্ডার—পারস্য জয় করতে শুরু করেন। যিহুদি ইতিহাসবেত্তা জোসিফাস দাবি করেছিলেন যে, আলেকজান্ডার যখন যিরূশালেমের কাছাকাছি সামরিক অভিযান চালাচ্ছিলেন, তখন তাকে ঠিক এই ভবিষ্যদ্বাণীটাই দেখানো হয়েছিল ও সেইসঙ্গে তিনি এও মনে করেছিলেন যে, এই ভবিষ্যদ্বাণীটা তাকেই নির্দেশ করেছিল।
আরেক অর্থেও ‘অর্থ করিবার শক্তি ঈশ্বর হইতে।’ যিহোবা ঈশ্বরের বিশ্বস্ত দাস যোষেফ, পবিত্র আত্মা দ্বারা পরিচালিত হয়ে সেই দুর্বোধ্য স্বপ্নগুলোর অর্থ বুঝতে সমর্থ হয়েছিলেন, যেগুলো তার সহবন্দিরা তার কাছে বলেছিল। (আদিপুস্তক ৪১:৩৮) বর্তমান দিনে ঈশ্বরের দাসেরা যখন কোনো একটা ভবিষ্যদ্বাণীর অর্থ সম্বন্ধে অনিশ্চিত থাকে, তখন তারা ঈশ্বরের আত্মার জন্য প্রার্থনা করে এবং এরপর অধ্যবসায়ের সঙ্গে আত্মার দ্বারা অনুপ্রাণিত ঈশ্বরের বাক্য অধ্যয়ন এবং অনুসন্ধান করে। ঈশ্বরের নির্দেশনায় তারা সেই শাস্ত্রপদগুলো খুঁজে বের করতে পারে, যেগুলো কিছু ভবিষ্যদ্বাণীর অর্থ প্রকাশ করে। অর্থ ব্যাখ্যা করার বিষয়টা অলৌকিকভাবে কোনো মানুষদের দ্বারা হয় না। এটা ঈশ্বরের কাছ থেকে হয় কারণ তাঁর পবিত্র আত্মা এবং তাঁর বাক্যের মাধ্যমেই অর্থ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অর্থের ব্যাখ্যা কোনো মানব ভবিষ্যদ্বক্তার দ্বারা বাইবেল বহির্ভূত কোনো উৎস থেকে করা হয় না।—প্রেরিত ১৫:১২-২১.
এই অর্থেও ‘অর্থ করিবার শক্তি ঈশ্বর হইতে’ যে, পৃথিবীতে তাঁর বিশ্বস্ত দাসেরা কোনো একটা ভবিষ্যদ্বাণী কখন বুঝতে পারবে, তা তিনিই নির্ধারণ করেন এবং সেই বিষয়ে পরিচালনা দেন। কোনো একটা ভবিষ্যদ্বাণীর অর্থ, সেই ভবিষ্যদ্বাণী পরিপূর্ণ হওয়ার আগে, পরিপূর্ণ হওয়ার সময় এবং পরিপূর্ণ হওয়ার পর বোঝা যেতে পারে। যেহেতু ঈশ্বর ভবিষ্যদ্বাণীগুলোকে বদ্ধ করে রেখেছেন, তাই তিনিই সেগুলো সঠিক সময়ে—তাঁর সময় অনুযায়ী—প্রকাশ করবেন।
যোষেফ এবং দুই বন্দির বিবরণে, যোষেফ স্বপ্নগুলো পরিপূর্ণ হওয়ার তিন দিন আগেই সেগুলোর অর্থ ব্যাখ্যা করেছিলেন। (আদিপুস্তক ৪০:১৩, ১৯) পরবর্তী সময়ে, যোষেফকে যখন পরাক্রমী ফরৌণের স্বপ্নগুলো ব্যাখ্যা করার জন্য ফরৌণের সামনে নিয়ে আসা হয়েছিল, সেই সময়ে শস্যবাহুল্যের সাত বছর তখনও শুরু হয়নি। ঈশ্বরের আত্মার সাহায্যে যোষেফ ফরৌণের স্বপ্নগুলোর অর্থ প্রকাশ করেছিলেন, যাতে ভবিষ্যদ্বাণীকৃত প্রচুর ফসল সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।—আদিপুস্তক ৪১:২৯, ৩৯, ৪০.
অন্যান্য ভবিষ্যদ্বাণী কেবল পরিপূর্ণ হওয়ার পরই ঈশ্বরের দাসেরা সেগুলো পুরোপুরি বুঝতে পেরেছিল। যিশুর জীবনের অনেক ঘটনার বিষয়ে, তাঁর জন্মের শত শত বছর আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল, কিন্তু তাঁর পুনরুত্থানের আগে পর্যন্ত তাঁর শিষ্যরা সেগুলো পুরোপুরি বুঝতে পারেনি। (গীতসংহিতা ২২:১৮; ৩৪:২০; যোহন ১৯:২৪, ৩৬) পরিশেষে বলা যেতে পারে, দানিয়েল ১২:৪ পদ অনুযায়ী কিছু ভবিষ্যদ্বাণী “শেষকাল পর্য্যন্ত,” দানিয়েলের কথা অনুযায়ী যখন “জ্ঞানের বৃদ্ধি হইবে,” তখন পর্যন্ত “মুদ্রাঙ্কিত” করে রাখার কথা ছিল। আমরা এখন ঠিক সেই সময়ই বাস করছি, যখন সেই ভবিষ্যদ্বাণীগুলো পরিপূর্ণ হচ্ছে।
বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণী এবং আপনি
যোষেফ এবং দানিয়েল তাদের সময়কার রাজাদের সামনে দাঁড়িয়ে সেই ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বার্তাগুলো জানিয়েছিল, যেগুলো জাতি এবং রাজ্যগুলোকে প্রভাবিত করেছিল। প্রথম শতাব্দীর খ্রিস্টানরা ভবিষ্যদ্বাণীর ঈশ্বর যিহোবার মুখপাত্র হিসেবে তাদের সময়কার লোকেদের সামনে উপস্থিত হয়েছিল এবং যারা তাদের বার্তার প্রতি সাড়া দিয়েছিল, তাদের জন্য প্রচুর উপকার নিয়ে এসেছিল।
বর্তমানে, বিশ্বব্যাপী যিহোবার সাক্ষিরা ভবিষ্যদ্বাণীমূলক এক বার্তা—ঈশ্বরের রাজ্যের সুসমাচার—ঘোষণা করছে এবং লোকেদেরকে বলছে যে, “যুগান্তের” বিষয়ে যিশুর ভবিষ্যদ্বাণী এখন পরিপূর্ণ হচ্ছে। (মথি ২৪:৩, ১৪) আপনি কি জানেন যে, সেই ভবিষ্যদ্বাণী কী এবং কীভাবে তা আপনাকে প্রভাবিত করবে? যিহোবার সাক্ষিরা আপনাকে বাইবেলের সমস্ত ভবিষ্যদ্বাণীর মধ্যে নিশ্চিতভাবেই সবচেয়ে মহান ভবিষ্যদ্বাণীটা বোঝার ও তা থেকে উপকার লাভ করার ব্যাপারে সাহায্য করতে পেরে আনন্দিত হবে। (w১১-E ১২/০১)
[পাদটীকা]
a গ্রিক পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, ফ্রিজিয়ার রাজধানী গর্ডিউমে, সেই নগরের পত্তনকারি গর্ডিয়াসের রথ এক জটিল গিঁট দিয়ে একটা খুঁটির সঙ্গে বাঁধা ছিল, যেটা কেবল এশিয়ার ভাবী বিজেতা খুলতে পারতেন।
[১২, ১৩ পৃষ্ঠার চিত্র]
যোষেফ এবং দানিয়েল দুজনেই ভবিষ্যদ্বাণীর অর্থ ব্যাখ্যা করার সময় ঈশ্বরকে কৃতিত্ব দিয়েছিল