হিতোপদেশ
২৪ মন্দ লোকদের ঈর্ষা কোরো না
আর তাদের সঙ্গে মেলামেশা করার আকাঙ্ক্ষা কোরো না
২ কারণ তাদের মন দৌরাত্ম্য নিয়ে চিন্তা করে
আর তাদের ঠোঁট অন্যদের সমস্যায় ফেলার কথা বলে।
৪ জ্ঞানের দ্বারা সেটার ঘরগুলো
বিভিন্ন ধরনের মূল্যবান ও মনোহর জিনিসে পরিপূর্ণ থাকে।
৫ বিজ্ঞ ব্যক্তির কাছে ক্ষমতা থাকে
আর জ্ঞানের দ্বারা একজন ব্যক্তি নিজের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
৭ প্রকৃত প্রজ্ঞা মূর্খের নাগালের বাইরে,
নগরের দরজায় তার বলার মতো কিছুই থাকে না।
৮ যে-কেউ মন্দ কাজ করার ফন্দি আঁটে,
তাকে দক্ষ ষড়যন্ত্রকারী বলা হবে।
৯ মূর্খের* ষড়যন্ত্র পাপের দিকে পরিচালিত করে
আর উপহাসকারীকে লোকে ঘৃণা করে।
১১ যাদের মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তাদের উদ্ধার করো
আর যারা টলতে টলতে হত হওয়ার জন্য যাচ্ছে, তাদের ধরো।
১২ তুমি যদি বল, “কিন্তু আমরা এ বিষয়ে কিছুই জানতাম না,”
তা হলে যিনি হৃদয়* পরীক্ষা করেন, তিনি কি তা বোঝেন না?
হ্যাঁ, যিনি তোমার উপর নজর রাখেন, তিনি সব জানেন,
তিনি প্রত্যেক মানুষের কাজ অনুযায়ী তাকে ফল দেবেন।
১৩ হে আমার ছেলে, মধু খাও কারণ সেটা খুবই ভালো,
মৌচাকের মধু খুব মিষ্টি।
১৪ একইভাবে জেনে রাখ যে, প্রজ্ঞা তোমার জন্য ভালো।*
তুমি যদি তা খুঁজে পাও, তা হলে তোমার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে
আর তোমার আশা বিনষ্ট হবে না।
১৫ মন্দ ব্যক্তিদের মতো সেই ব্যক্তির বাড়ির কাছে ওত পেতে বসে থেকো না, যে সঠিক কাজ করে।
তার বিশ্রামের জায়গাকে ধ্বংস কোরো না।
১৬ কারণ যে সঠিক কাজ করে, সে সাত বার পড়ে যেতে পারে, তবে সে আবারও উঠে দাঁড়াবে,
কিন্তু মন্দ ব্যক্তি বিপর্যয়ের কারণে পড়ে যাবে।
১৭ তোমার শত্রু যখন পড়ে যায়, তখন আনন্দ কোরো না,
সে যখন হোঁচট খায়, তখন মনে মনে উল্লসিত হোয়ো না।
১৮ নাহলে, যিহোবা তা দেখবেন এবং অসন্তুষ্ট হবেন
আর তিনি তার* উপর থেকে তাঁর রাগ সরিয়ে নেবেন।
১৯ দুষ্ট ব্যক্তিদের কারণে হতাশ হোয়ো না,*
মন্দ ব্যক্তিদের ঈর্ষা কোরো না
২০ কারণ যে-কেউ মন্দ কাজ করে, তার কোনো ভবিষ্যৎ নেই,
মন্দ ব্যক্তিদের প্রদীপ নিভে যাবে।
২১ হে আমার ছেলে, যিহোবাকে ও রাজাকে ভয় করো।
বিদ্রোহীদের* সঙ্গে বন্ধুত্ব কোরো না
২২ কারণ তাদের উপর হঠাৎই বিপর্যয় নেমে আসবে।
আর কে জানে, তাঁরা দু-জন* তাদের উপর কোন ধরনের বিপদ আনবেন?
২৩ বিজ্ঞ লোকেরাও বলেছেন:
বিচার করার সময় পক্ষপাতিত্ব করা ভালো নয়।
২৪ যে-কেউ মন্দ ব্যক্তিকে বলে, “তুমি নির্দোষ,”
লোকেরা তাকে অভিশাপ দেবে, বিভিন্ন জাতির লোক তার নিন্দা করবে।
২৫ কিন্তু, যে মন্দ ব্যক্তিদের ধমক দেয়, তার ভালো হবে,
সে আশীর্বাদ পাবে।
২৬ যে উত্তরে সত্য কথা বলে, লোকেরা তাকে সম্মান করবে।*
২৭ প্রথমে তোমার বাইরের কাজের আয়োজন করো এবং খেতে সব কিছু প্রস্তুত করো,
তারপর তোমার বাড়ি নির্মাণ* করো।
২৮ প্রমাণ ছাড়া তোমার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়ো না।
অন্যকে ঠকানোর জন্য মিথ্যা কথা বোলো না।
২৯ এমনটা বোলো না: “ও আমার প্রতি যা করেছে, আমিও ওর প্রতি তা-ই করব।
আমি ওকে ওর কাজের প্রতিফল দেব।”
৩০ আমি অলস ব্যক্তির খেতের পাশ দিয়ে,
যার ভালো বিচারবুদ্ধির অভাব রয়েছে, তার আঙুর খেতের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম।
৩১ তখন আমি দেখলাম, সেখানে আগাছা জন্মেছে,
মাটি বিছুটি গাছে ভরে গিয়েছে
আর পাথরের প্রাচীর ভেঙে পড়েছে।
৩২ আমি সেটাকে দেখলাম, সেটার প্রতি মনোযোগ দিলাম,
আমি সেটাকে দেখে এই শিক্ষা পেলাম:
৩৩ আরেকটু ঘুম, আরেকটু বিশ্রাম,
আরেকটু হাত গুটিয়ে শুয়ে থাকা,
৩৪ এতে দরিদ্রতা ডাকাতের মতো তোমার উপর এসে পড়বে,
অভাব সশস্ত্র লোকের মতো তোমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে।