করিন্থীয়দের প্রতি দ্বিতীয় চিঠি
২ আমি ঠিক করেছি, আমি যখন আবার তোমাদের কাছে যাব, তখন তোমাদের দুঃখ দেব না। ২ কারণ তোমাদের সকলকে যদি আমি দুঃখ দিই, তা হলে কে আমাকে আনন্দিত করবে? যাদের আমি দুঃখ দিয়েছি, সেই তোমরা ছাড়া আমাকে আনন্দিত করার তো আর কেউ নেই। ৩ আমি এইজন্য তোমাদের এই সমস্ত বিষয় লিখেছি, যেন আমি এলে যাদের দ্বারা আমার আনন্দিত হওয়ার কথা, তাদের দ্বারা আমি দুঃখিত না হই, কারণ আমার এই আস্থা আছে, যে-বিষয়গুলো আমার জন্য আনন্দ নিয়ে আসে, সেগুলো তোমাদের সকলের জন্য একই আনন্দ নিয়ে আসবে। ৪ কারণ অনেক ক্লেশ এবং হৃদয়ের যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে চোখের জল ফেলতে ফেলতে আমি তোমাদের চিঠি লিখেছি, তবে তোমাদের দুঃখ দেওয়ার জন্য নয়, বরং আমি যে তোমাদের কতটা গভীরভাবে ভালোবাসি, তা জানানোর জন্য।
৫ কেউ যদি দুঃখ দিয়ে থাকে, তা হলে সে আমাকে নয়, বরং কিছুটা হলেও তোমাদের সবাইকে দুঃখ দিয়েছে। কিন্তু, এই বিষয়ে আমি বেশি কিছু বলতে চাই না। ৬ তোমাদের মধ্যে অধিকাংশ ভাইয়ের কাছ থেকে সে যে-তিরস্কার লাভ করেছে, সেটাই তার জন্য যথেষ্ট; ৭ তোমরা বরং এখন তাকে সদয়ভাবে ক্ষমা করো এবং সান্ত্বনা দাও, যাতে সে অতিরিক্ত দুঃখিত হয়ে হাল ছেড়ে না দেয়। ৮ তাই, আমি তোমাদের উৎসাহিত করছি, তোমরা সেই ব্যক্তির প্রতি তোমাদের ভালোবাসার প্রমাণ দাও। ৯ তোমরা সমস্ত বিষয়ে বাধ্য কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্যও আমি তোমাদের চিঠি লিখেছি। ১০ তোমরা যদি কারো কোনো অপরাধ ক্ষমা করে থাক, তা হলে আমিও তাকে ক্ষমা করি। প্রকৃতপক্ষে, আমি যা-কিছু ক্ষমা করেছি (যদি আমি কোনো অপরাধ ক্ষমা করে থাকি), তা আমি খ্রিস্টের সামনে তোমাদের জন্যই করেছি, ১১ যাতে আমরা শয়তানের দ্বারা পরাজিত* না হই, কারণ তার কলাকৌশল* আমাদের অজানা নয়।
১২ আমি যখন খ্রিস্ট সম্বন্ধে সুসমাচার ঘোষণা করার জন্য ত্রোয়াতে যাই আর প্রভুর কাজের জন্য আমার সামনে এক দরজা খুলে যায়, ১৩ তখন আমাদের ভাই তীতকে না পেয়ে আমি খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। তাই, আমি ভাইদের বিদায় জানিয়ে ম্যাসিডোনিয়ার উদ্দেশে রওনা হই।
১৪ কিন্তু, আমরা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিই, যিনি খ্রিস্টের সঙ্গে বিজয়যাত্রায় সবসময় আমাদের পরিচালনা দেন এবং আমাদের মাধ্যমে তাঁর জ্ঞানের সুগন্ধ সমস্ত জায়গায় ছড়িয়ে দেন!* ১৫ আমরা যারা খ্রিস্ট সম্বন্ধে প্রচার করি, আমরা ঈশ্বরের কাছে সুগন্ধের মতো। এই সুগন্ধ, যারা পরিত্রাণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং যারা ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তাদের উভয়ের কাছেই পৌঁছায়। ১৬ যারা ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তাদের কাছে মৃত্যুর গন্ধ পৌঁছায়, যা মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। আর যারা পরিত্রাণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তাদের কাছে জীবনের সুগন্ধ পৌঁছায়, যা জীবনের দিকে নিয়ে যায়। আর এই ধরনের কাজের জন্য কে যথাযোগ্য? ১৭ আমরা যথাযোগ্য, কারণ আমরা অনেকের মতো ঈশ্বরের বাক্য কেনা-বেচা* করি না, বরং আমরা ঈশ্বরের সামনে খ্রিস্টের অনুসারী হিসেবে এবং ঈশ্বরের পাঠানো লোক হিসেবে আন্তরিকতার সঙ্গে কথা বলি।