ইব্রীয়দের প্রতি চিঠি
৩ অতএব, হে পবিত্র ভাইয়েরা, তোমরা যারা স্বর্গে যাওয়ার আহ্বান* লাভ করেছ, তোমরা সেই যিশুর উদাহরণ বিবেচনা করো, যাঁকে আমরা প্রেরিত ও মহাযাজক হিসেবে গ্রহণ* করেছি। ২ তাঁকে যিনি নিযুক্ত করেছেন, সেই ঈশ্বরের প্রতি তিনি বিশ্বস্ত ছিলেন, ঠিক যেমন মোশিও ঈশ্বরের সমস্ত গৃহের মধ্যে বিশ্বস্ত ছিলেন। ৩ তবে, একটা বাড়ির নির্মাণকর্তা যেমন সেই বাড়ির চেয়ে আরও বেশি সমাদর লাভ করেন, তেমনই তিনি* মোশির চেয়ে আরও বেশি গৌরব লাভ করার যোগ্য বলে গণ্য হয়েছেন। ৪ অবশ্য, প্রতিটা বাড়ি কেউ-না-কেউ নির্মাণ করে, কিন্তু যিনি সমস্ত কিছু নির্মাণ করেছেন, তিনি হলেন ঈশ্বর। ৫ আর মোশি ঈশ্বরের সমস্ত গৃহে পরিচারক হিসেবে বিশ্বস্ত ছিলেন, যেন তার সেবা পরবর্তী সময়ে যা-কিছু বলা হবে, সেই সম্বন্ধে সাক্ষ্য দেয়। ৬ কিন্তু, খ্রিস্ট ঈশ্বরের গৃহের দেখাশোনা করার ক্ষেত্রে পুত্র হিসেবে বিশ্বস্ত ছিলেন। আমরাই ঈশ্বরের গৃহ, যদি আমরা শেষ পর্যন্ত নির্দ্বিধায় কথা বলে চলি এবং সেই প্রত্যাশা দৃঢ়ভাবে ধরে রাখি, যে-প্রত্যাশা নিয়ে আমরা গর্ব করি।
৭ তাই, পবিত্র শক্তির মাধ্যমে যেমন বলা হয়েছিল, “আজ তোমরা যদি আমার রবে মনোযোগ দাও, ৮ তা হলে তোমাদের হৃদয় কঠিন কোরো না। তোমরা সেই সময়ের মতো আচরণ কোরো না, যখন তোমাদের পূর্বপুরুষেরা আমার প্রচণ্ড ক্রোধ জাগিয়ে তুলেছিল। তারা তো সেই প্রান্তরে আমার পরীক্ষা নেওয়ার মাধ্যমে আমার ক্রোধ জাগিয়ে তুলেছিল, ৯ যেখানে ৪০ বছর ধরে আমার কাজ দেখা সত্ত্বেও তারা আমার পরীক্ষা করেছিল। ১০ এইজন্য আমি এই বংশের প্রতি প্রচণ্ড অসন্তুষ্ট হয়ে বলেছিলাম: ‘তারা সবসময় তাদের হৃদয়ে ভ্রান্ত হয় আর তারা আমার পথ বুঝল না।’ ১১ তাই, আমি ক্রুদ্ধ হয়ে এই দিব্য করেছিলাম: ‘তারা আমার বিশ্রামে প্রবেশ করবে না।’”
১২ হে ভাইয়েরা, সাবধান! তোমাদের মধ্যে কেউ যেন কখনো জীবন্ত ঈশ্বরের কাছ থেকে সরে পড়ার মাধ্যমে বিশ্বাসের অভাব রয়েছে এমন মন্দ হৃদয় গড়ে না তোলে; ১৩ বরং যতদিন পর্যন্ত “আজ” বলা যায়, সেই প্রত্যেক দিন তোমরা একে অন্যকে উৎসাহিত করো, যাতে তোমাদের মধ্যে কেউই পাপের মায়াশক্তি* দ্বারা নিজেদের হৃদয়কে কঠিন করে না তোলে। ১৪ কারণ প্রথমে আমাদের যে-আস্থা ছিল, তা যদি আমরা শেষ পর্যন্ত দৃঢ়ভাবে ধরে রাখি, একমাত্র তা হলেই আমরা খ্রিস্টের মতো একই বিষয় লাভ করতে* পারব। ১৫ যেমন বলা হয়েছিল, “আজ তোমরা যদি আমার রবে মনোযোগ দাও, তা হলে তোমাদের হৃদয় কঠিন কোরো না। তোমরা সেই সময়ের মতো আচরণ কোরো না, যখন তোমাদের পূর্বপুরুষেরা আমার প্রচণ্ড ক্রোধ জাগিয়ে তুলেছিল।”
১৬ কারণ কারাই-বা ঈশ্বরের রব শোনার পরও তাঁর প্রচণ্ড ক্রোধ জাগিয়ে তুলেছিল? তারাই কি নয়, যারা মোশির নেতৃত্বাধীনে মিশর থেকে বের হয়ে এসেছিল? ১৭ আর কাদের প্রতিই-বা ঈশ্বর ৪০ বছর ধরে প্রচণ্ড অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন? তাদের প্রতিই কি নয়, যারা পাপ করেছিল এবং যাদের মৃতদেহ প্রান্তরে পড়ে ছিল? ১৮ আর কাদের সম্বন্ধেই-বা তিনি এই দিব্য করেছিলেন যে, তারা তাঁর বিশ্রামে প্রবেশ করবে না? তাদের সম্বন্ধেই কি নয়, যারা অবাধ্য হয়েছিল? ১৯ অতএব, আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিশ্বাসের অভাব থাকায় তারা তাঁর বিশ্রামে প্রবেশ করতে পারেনি।