পিতরের প্রথম চিঠি
৫ অতএব, একজন সহপ্রাচীন, খ্রিস্টের কষ্টভোগের একজন সাক্ষি এবং ভবিষ্যতে যে-মহিমা প্রকাশিত হবে, সেটার একজন অংশীদার হিসেবে আমি তোমাদের মধ্যে থাকা প্রাচীনদের কাছে এই অনুরোধ করছি:* ২ তোমাদের যত্নের অধীনে ঈশ্বরের যে-পাল আছে, সেই পালের দেখাশোনা করো এবং অধ্যক্ষ হিসেবে সেবা করো,* তবে করতে হবে বলে নয়, বরং ঈশ্বরের সামনে ইচ্ছুক মনে তা করো; অসৎ উপায়ে লাভ করার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে নয়, বরং উৎসুকভাবে তা করো; ৩ কিংবা যাদের দেখাশোনা করার দায়িত্ব তোমাদের দেওয়া হয়েছে,* তাদের উপর প্রভু হিসেবে নয়, বরং পালের আদর্শ হয়ে তা করো। ৪ আর যখন প্রধান মেষপালক প্রকাশিত হবেন, তখন তোমরা অম্লান গৌরবমুকুট লাভ করবে।
৫ একইভাবে, হে যুবকেরা, তোমরা বয়স্ক ব্যক্তিদের* বশীভূত হও। আর তোমরা সকলে একে অন্যের সঙ্গে নম্রতা সহকারে আচরণ করো,* কারণ ঈশ্বর উদ্ধত লোকদের প্রতিরোধ করেন, কিন্তু তিনি নম্র লোকদের প্রতি মহাদয়া দেখান।
৬ অতএব, তোমরা ঈশ্বরের পরাক্রমী হস্তের নীচে নত হও, যাতে তিনি উপযুক্ত সময়ে তোমাদের উচ্চীকৃত করেন। ৭ আর তোমরা তোমাদের সমস্ত উদ্বিগ্নতার* বোঝা তাঁর উপর ফেলে দাও, কারণ তিনি তোমাদের জন্য চিন্তা করেন। ৮ তোমরা সচেতন থাকো, সতর্ক থাকো! তোমাদের শত্রু দিয়াবল গর্জনকারী সিংহের মতো, কাকে গ্রাস করবে, তা খুঁজে বেড়াচ্ছে। ৯ কিন্তু, তোমরা বিশ্বাসে দৃঢ় থেকে তার প্রতিরোধ করো, কারণ তোমরা তো জান, সারা জগতে তোমাদের সমস্ত ভাইয়েরাও একই ধরনের কষ্ট ভোগ করছে। ১০ তবে, তোমরা কিছু সময় কষ্ট ভোগ করার পর, যিনি খ্রিস্টের মাধ্যমে তাঁর নিজের অনন্তকালীন মহিমায় তোমাদের আহ্বান করেছেন, সমস্ত মহাদয়ার সেই ঈশ্বর নিজে তোমাদের পুরোপুরিভাবে প্রশিক্ষিত করবেন। তিনি তোমাদের দৃঢ় করবেন, সবল করবেন এবং শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করাবেন। ১১ চিরকাল তাঁরই ক্ষমতা থাকুক। আমেন।
১২ আমি যাকে বিশ্বস্ত ভাই হিসেবে দেখি, সেই সীলের* মাধ্যমে তোমাদের অল্প কথায় এই চিঠি লিখলাম, যেন আমি তোমাদের উৎসাহিত করতে পারি এবং ঈশ্বর যে তোমাদের প্রতি প্রকৃতই মহাদয়া দেখিয়েছেন, তা তোমাদের জানাতে পারি। তোমরা এই মহাদয়া দৃঢ়ভাবে ধরে রাখো। ১৩ তোমাদের মতোই ঈশ্বরের দ্বারা মনোনীত বাবিলের* সেই নারী* ও সেইসঙ্গে মার্ক, যিনি আমার ছেলের মতো, তোমাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। ১৪ তোমরা একে অন্যকে আন্তরিকভাবে* শুভেচ্ছা জানিয়ো।
তোমরা যারা খ্রিস্টের শিষ্য, তোমাদের সকলের উপর শান্তি থাকুক।