সান্ত্বনার জন্য যিহোবার দিকে তাকান
“ধৈর্য্যের ও সান্ত্বনার ঈশ্বর এমন বর দিউন, যাহাতে তোমরা খ্রীষ্ট যীশুর অনুরূপে পরস্পর একমনা হও।”—রোমীয় ১৫:৫.
১. প্রতিটি দিন কেন আরও বেশি পরিমাণ সান্ত্বনার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আসে?
প্রতিটি অতিক্রান্ত দিন সান্ত্বনার প্রয়োজনীয়তাকে বৃদ্ধি করে। যেমন ১,৯০০ বছরেরও পূর্বে একজন বাইবেল লেখক মন্তব্য করেছিলেন, “সমস্ত সৃষ্টি এখন পর্য্যন্ত একসঙ্গে আর্ত্তস্বর করিতেছে, ও একসঙ্গে ব্যথা খাইতেছে।” (রোমীয় ৮:২২) যে কোন সময়ের চেয়ে আমাদের সময়ে “আর্ত্তস্বর” ও “ব্যথা” আরও বেশি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে মানবজাতি যুদ্ধ, অপরাধ ও প্রায়ই পৃথিবীতে মানুষের অব্যবস্থার সাথে সম্পর্কযুক্ত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মত একটার পর একটা সংকট ভোগ করে চলেছে।—প্রকাশিত বাক্য ১১:১৮.
২. (ক) মানবজাতির বর্তমান দুর্দশার জন্য কাকে সর্বাপেক্ষা বেশি দোষ দেওয়া যায়? (খ) কোন্ তথ্য আমাদের সান্ত্বনার ভিত্তি যোগায়?
২ আমাদের সময়ে কেন এত বেশি দুঃখকষ্ট? ১৯১৪ সালে রাজ্যের জন্মের পরে স্বর্গ থেকে শয়তানকে নিক্ষিপ্ত করা সম্বন্ধে বর্ণনা দিয়ে, বাইবেল উত্তর দেয়: “পৃথিবী ও সমুদ্রের সন্তাপ হইবে; কেননা দিয়াবল তোমাদের নিকটে নামিয়া গিয়াছে; সে অতিশয় রাগাপন্ন, সে জানে, তাহার কাল সংক্ষিপ্ত।” (প্রকাশিত বাক্য ১২:১২) এই ভবিষ্যদ্বাণীর পরিপূর্ণতার স্পষ্ট প্রমাণ নির্দেশ করে যে আমরা শয়তানের দুষ্ট শাসনব্যবস্থার প্রায় শেষে এসে পৌঁছেছি। এটি জানা কতই না সান্ত্বনাদায়ক যে পৃথিবীতে জীবন, শীঘ্রই শান্তিপূর্ণ অবস্থায় ফিরে আসবে যা শয়তান আমাদের প্রথম পিতামাতাকে বিদ্রোহে পরিচালিত করার পূর্বে অস্তিত্বে ছিল!
৩. কখন মানুষদের সান্ত্বনার প্রয়োজন ছিল না?
৩ আদিতে, মানবজাতির সৃষ্টিকর্তা প্রথম মানব দম্পতিকে একটি সুন্দর উদ্যান, গৃহ হিসাবে দিয়েছিলেন। এটি এদন নামক একটি এলাকায় অবস্থিত ছিল, যার অর্থ “প্রফুল্লতা” অথবা “আনন্দ।” (আদিপুস্তক ২:৮, পাদটীকা, NW) এছাড়াও, আদম ও হবা কখনও মৃত্যু না হওয়ার প্রত্যাশাসহ, নিখুঁত স্বাস্থ্য উপভোগ করছিল। সেই অনেক ক্ষেত্রগুলির বিষয়ে কেবল চিন্তা করুন যেখানে তারা তাদের সক্ষমতাকে বিকশিত করতে পারত—যেমন বাগান করা, কলা, নির্মাণ ও সংগীত। তাছাড়াও, ভাবুন যে, সৃষ্টির সমস্ত কাজগুলিকে তারা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারত যখন তারা পৃথিবীকে বশীভূত এবং পরমদেশে পরিণত করা সম্বন্ধীয় তাদের দায়িত্ব সম্পন্ন করত। (আদিপুস্তক ১:২৮) প্রকৃতপক্ষে, আদম ও হবার জীবন, আর্ত্তস্বর এবং ব্যথা দ্বারা নয়, বরং আনন্দ এবং প্রফুল্লতা দ্বারা পূর্ণ হতে পারত। স্পষ্টতই, তাদের সান্ত্বনার কোন প্রয়োজন হত না।
৪, ৫. (ক) আদম ও হবা কেন বাধ্যতার পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছিল? (খ) কিভাবে মানবজাতির সান্ত্বনার প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি হয়েছিল?
৪ কিন্তু, আদম ও হবার যা প্রয়োজন ছিল তা হল, তাদের দয়ালু স্বর্গীয় পিতার প্রতি গভীর প্রেম এবং উপলব্ধিবোধ গড়ে তোলা। এইরূপ প্রেম তাদের সকল পরিস্থিতিতেই ঈশ্বরের বাধ্য থাকতে পরিচালিত করত। (তুলনা করুন যোহন ১৪:৩১.) দুঃখের বিষয়, আমাদের আদি পিতামাতা উভয়েই তাদের ন্যায়সম্মত সার্বভৌম, যিহোবার বাধ্য থাকতে অকৃতকার্য হয়েছিল। পরিবর্তে, তারা নিজেদের ভ্রষ্ট দূত, শয়তান দিয়াবলের দুষ্ট শাসন ব্যবস্থার অধীনে আসতে অনুমতি দিয়েছিল। শয়তান হবাকে পাপ করতে এবং নিষিদ্ধ ফল খেতে প্রলুব্ধ করেছিল। তারপর আদম পাপ করেছিল যখন সেও সেই গাছের ফল খেয়েছিল, যেটির সম্বন্ধে ঈশ্বর স্পষ্টভাবে সতর্ক করেছিলেন: “যে দিন তাহার ফল খাইবে, সেই দিন মরিবেই মরিবে।”—আদিপুস্তক ২:১৭.
৫ এইভাবে, পাপী দম্পতি মৃত্যুর দিকে এগিয়ে গিয়েছিল। মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়ার সময়, ঈশ্বর আদমকে এও বলেছিলেন: “এই জন্য তোমার নিমিত্ত ভূমি অভিশপ্ত হইল; তুমি যাবজ্জীবন ক্লেশে উহা ভোগ করিবে; আর উহাতে তোমার জন্য কন্টক ও শেয়ালকাঁটা জন্মিবে, এবং তুমি ক্ষেত্রের ওষধি ভোজন করিবে।” (আদিপুস্তক ৩:১৭, ১৮) এইভাবে, আদম ও হবা অকর্ষিত পৃথিবীকে পরমদেশে পরিণত করার প্রত্যাশাটি হারিয়েছিল। এদন থেকে বিতাড়িত হওয়ায়, তাদের অভিশপ্ত ভূমি হতে শ্রমসাধ্যভাবে খাদ্য অর্জনের জন্য তাদের শক্তিকে কেন্দ্রীভূত করতে হয়েছিল। তাদের বংশধরেরা, উত্তরাধিকারসূত্রে এই পাপপূর্ণ, মৃত্যুজনক অবস্থা পেয়েছে, যা তাদের প্রচুর সান্ত্বনার প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করেছে।—রোমীয় ৫:১২.
এক সান্ত্বনাদায়ক প্রতিজ্ঞা পরিপূর্ণ হয়েছে
৬. (ক) মানবজাতির পাপে পতনের পর ঈশ্বর কোন্ সান্ত্বনাদায়ক প্রতিজ্ঞা করেছিলেন? (খ) সান্ত্বনা সম্বন্ধীয় কোন্ ভবিষ্যদ্বাণী লেমক করেছিলেন?
৬ যখন মানব বিদ্রোহের প্ররোচককে দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়, তখন যিহোবা ‘সান্ত্বনার ঈশ্বর’ হিসাবে প্রমাণিত হন। (রোমীয় ১৫:৫) তিনি একটি ‘বংশ’ প্রেরণের প্রতিজ্ঞার দ্বারা তা করেছিলেন, যিনি পরিশেষে আদমের বংশধরদের আদমের বিদ্রোহের বিপর্যয়মূলক প্রভাব থেকে উদ্ধার করবেন। (আদিপুস্তক ৩:১৫) যথাসময়ে, ঈশ্বর এই উদ্ধারের পূর্বদর্শনগুলিও যুগিয়েছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, তিনি লেমককে যিনি তার পুত্র শেথের মাধ্যমে আদমের এক দূরবর্তী বংশধর, ভবিষ্যদ্বাণী করতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন যে লেমকের পুত্র কী করবে: “সদাপ্রভু কর্ত্তৃক অভিশপ্ত ভূমি হইতে আমাদের যে শ্রম ও হস্তের ক্লেশ হয়, তদ্বিষয়ে এ আমাদিগকে সান্ত্বনা করিবে।” (আদিপুস্তক ৫:২৯) এই প্রতিজ্ঞার সাথে মিল রেখে, বালকটির নাম নোহ রাখা হয়েছিল, যার অর্থ ইঙ্গিত করে “বিশ্রাম” অথবা “সান্ত্বনা।”
৭, ৮. (ক) কোন্ পরিস্থিতি যিহোবাকে মনুষ্যদের নির্মাণ প্রযুক্ত অনুশোচনা করতে পরিচালনা করেছিল এবং প্রতিক্রিয়াস্বরূপ তিনি কী করার সংকল্প করেছিলেন? (খ) নোহ কিভাবে তার নামের অর্থকে পরিপূর্ণ করেছিলেন?
৭ ইত্যবসরে, শয়তান কিছু স্বর্গীয় দূতেদের তার অনুসরণকারী হিসাবে লাভ করেছিল। তারা মানবদেহ ধারণ এবং আদমের বংশের আকর্ষণীয় নারীদের স্ত্রীরূপে গ্রহণ করেছিল। এইরূপ অস্বাভাবিক বিবাহ মানব সমাজকে আরও কলুষিত করেছিল এবং নেফিলিমদের এক ঈশ্বরবিহীন জাতি, “হত্যাকারীদের,” উৎপন্ন করেছিল যারা পৃথিবীকে দৌরাত্ম্যে পরিপূর্ণ করেছিল। (আদিপুস্তক ৬:১, ২, ৪, ১১; যিহূদা ৬) “আর সদাপ্রভু দেখিলেন, পৃথিবীতে মনুষ্যের দুষ্টতা বড় . . . তাই সদাপ্রভু পৃথিবীতে মনুষ্যের নির্ম্মাণ প্রযুক্ত অনুশোচনা করিলেন, ও মনঃপীড়া পাইলেন।”—আদিপুস্তক ৬:৫, ৬.
৮ যিহোবা সেই দুষ্ট জগৎকে পৃথিবীব্যাপী জলপ্লাবন দ্বারা ধ্বংস করতে সংকল্প করলেন, কিন্তু প্রথমে তিনি জীবন রক্ষা করতে নোহকে দিয়ে একটি জাহাজ নির্মাণ করান। এইভাবে, মানবজাতি এবং প্রাণীগোষ্ঠী রক্ষা পেয়েছিল। জলপ্লাবনের পরে জাহাজ থেকে এক পরিষ্কৃত পৃথিবীতে বের হয়ে নোহ এবং তার পরিবার কতই না স্বস্তি পেয়েছিলেন! এটি দেখতে পাওয়া কতই না সান্ত্বনাদায়ক যে ভূমির অভিশাপ তুলে নেওয়া হয়েছে আর যার ফলে কৃষিকাজ অনেক বেশি সহজ হয়েছে! বস্তুতপক্ষে, লেমকের ভবিষ্যদ্বাণী সত্য প্রমাণিত হয়েছিল এবং নোহ তার নামের অর্থ পরিপূর্ণ করেছিলেন। (আদিপুস্তক ৮:২১) ঈশ্বরের এক বিশ্বস্ত দাস হিসাবে, নোহ মানবজাতির কিছু পরিমাণ “সান্ত্বনা” আনয়নে এক মাধ্যম হিসাবে কাজ করেন। যাইহোক, শয়তান ও তার মন্দ দূতেদের দুষ্ট প্রভাব জলপ্লাবনের সাথে ধ্বংস হয়নি, ফলে মানবজাতি পাপ, অসুস্থতা ও মৃত্যুর দাসত্বের অধীনে ক্রমাগত যন্ত্রণা পেতে থাকে।
নোহ অপেক্ষা মহান একজন
৯. যীশু কিভাবে অনুতপ্ত মনুষ্যদের জন্য এক সহায় ও সান্ত্বনাকারী হিসাবে প্রমাণিত হয়েছেন?
৯ অবশেষে, মানব ইতিহাসের প্রায় ৪,০০০ বছরের শেষে প্রতিজ্ঞাত বংশ উপস্থিত হয়। মানবজাতির প্রতি মহান প্রেমের দ্বারা পরিচালিত হয়ে, যিহোবা ঈশ্বর তাঁর একজাত পুত্রকে, পাপী মানবজাতির জন্য মুক্তির মূল্যরূপে মৃত্যুবরণ করতে পৃথিবীতে পাঠান। (যোহন ৩:১৬) অনুতপ্ত পাপীরা যারা তাঁর আত্মবলিদানমূলক মৃত্যুতে বিশ্বাস অনুশীলন করে, তাদের জন্য যীশু খ্রীষ্ট প্রচুর স্বস্তি নিয়ে আসেন। যারা তাদের জীবন যিহোবার কাছে উৎসর্গ করে এবং তাঁর পুত্রের বাপ্তাইজিত শিষ্য হয়, তারা সকলে স্থায়ী সতেজতা এবং সান্ত্বনা উপভোগ করে। (মথি ১১:২৮-৩০; ১৬:২৪) তাদের অসিদ্ধতা সত্ত্বেও, তারা শুদ্ধ বিবেকসহ যিহোবার পরিচর্যায় গভীর আনন্দ খুঁজে পায়। তাদের জন্য এটি জানা কতই না সান্ত্বনাদায়ক যে যদি তারা যীশুতে ক্রমাগত বিশ্বাস অনুশীলন করে চলে, তবে তারা অনন্ত জীবন দ্বারা পুরস্কৃত হবে! (যোহন ৩:৩৬; ইব্রীয় ৫:৯) দুর্বলতার কারণে যদি তারা গুরুতর পাপ করে, তাহলে তাদের একজন সহায় অথবা সান্ত্বনাকারী আছেন, যিনি হলেন পুনরুত্থিত প্রভু যীশু খ্রীষ্ট। (১ যোহন ২:১, ২) পাপ স্বীকার করা ও পাপের অনুশীলনকারী হওয়া এড়াতে শাস্ত্রীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার দ্বারা, তারা ‘ঈশ্বর বিশ্বস্ত ও ধার্ম্মিক, সুতরাং তাদের পাপ সকল মোচন করবেন’ জেনে স্বস্তি লাভ করে।—১ যোহন ১:৯; ৩:৬; হিতোপদেশ ২৮:১৩.
১০. পৃথিবীতে থাকাকালীন সময়ে যীশুর সম্পাদিত অলৌকিক কাজগুলি থেকে আমরা কী শিখি?
১০ পৃথিবীতে থাকাকালীন সময়ে, যীশু ভূতগ্রস্তদের মুক্ত করা, সকল প্রকার অসুস্থতা আরোগ্য করা এবং মৃত প্রিয়জনদের উত্থিত করে জীবনে ফিরিয়ে আনার মাধ্যমেও সতেজতা দান করেছিলেন। এটি সত্য যে, সেই অলৌকিক কাজগুলির শুধুমাত্র অস্থায়ী উপকারিতা ছিল, কারণ যারা এইভাবে আশীর্বাদপ্রাপ্ত হয়েছিল, পরে তারাও বৃদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিল। তৎসত্ত্বেও, যীশু এইভাবে ভবিষ্যতের স্থায়ী আশীর্বাদগুলির প্রতি ইঙ্গিত করেছিলেন যা তিনি সমগ্র মানবজাতির উপর বর্ষণ করবেন। এখন একজন শক্তিমান স্বর্গীয় রাজা হিসাবে, তিনি শীঘ্রই শুধুমাত্র মন্দ দূতেদের বিতাড়িত করা ছাড়াও আরও বেশি কিছু করবেন। তাদের নেতা, শয়তানসহ তিনি তাদের নিষ্ক্রিয় অবস্থায় অগাধলোকে বন্দী করবেন। অতঃপর খ্রীষ্টের মহিমান্বিত হাজার বছরের রাজত্ব আরম্ভ হবে।—লূক ৮:৩০, ৩১; প্রকাশিত বাক্য ২০:১, ২, ৬.
১১. যীশু কেন নিজেকে “বিশ্রামবারের কর্ত্তা” বলেছিলেন?
১১ যীশু বলেছিলেন যে তিনি “বিশ্রামবারের কর্ত্তা” আর বিশ্রামবারেই তাঁর আরোগ্যকাজের অনেকগুলি সম্পাদিত হয়েছিল। (মথি ১২:৮-১৩; লূক ১৩:১৪-১৭; যোহন ৫:১৫, ১৬; ৯:১৪) কেন এটি হয়েছিল? স্পষ্টতই, বিশ্রামবার ইস্রায়েলকে প্রদত্ত ঈশ্বরের আইনের অংশ ছিল এবং এইভাবে তা “আগামী উত্তম উত্তম বিষয়ের ছায়াবিশিষ্ট,” হিসাবে কাজ করেছিল। (ইব্রীয় ১০:১) কাজের ছয়টি সাপ্তাহিক দিন আমাদের শয়তানের পীড়নকর শাসনের অধীনে মানবজাতির বিগত ৬,০০০ বছরের দাসত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়। সপ্তাহের শেষ দিনে বিশ্রামবারটি সান্ত্বনাদায়ক বিশ্রামের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় যা মানবজাতি মহান নোহ, যীশু খ্রীষ্টের হাজার বছরের রাজত্বকালীন সময়ে ভোগ করবে।—তুলনা করুন ২ পিতর ৩:৮.
১২. কোন্ সান্ত্বনাদায়ক অভিজ্ঞতাগুলি আমরা আনন্দের সাথে প্রত্যাশা করতে পারি?
১২ খ্রীষ্টের শাসনের পার্থিব প্রজারা কী স্বস্তিই না অনুভব করবে যখন, পরিশেষে, তারা নিজেদের শয়তানের দুষ্ট প্রভাব হতে সম্পূর্ণ মুক্ত অবস্থায় খুঁজে পাবে! পরবর্তী সান্ত্বনা আসবে যখন তারা তাদের শারীরিক, আবেগজনিত এবং মানসিক অসুস্থতা হতে আরোগ্য লাভ করবে। (যিশাইয় ৬৫:১৭) অতঃপর শুধুমাত্র তাদের পরমানন্দ সম্বন্ধে চিন্তা করুন যখন তারা মৃত্যু থেকে উত্থিত প্রিয়জনদের স্বাগত জানাতে শুরু করবে! এইভাবে ঈশ্বর “তাহাদের সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন।” (প্রকাশিত বাক্য ২১:৪) যখন যীশুর মুক্তির মূল্যরূপ বলিদানের উপকারগুলি উত্তরোত্তর প্রয়োগ করা হবে, তখন ঈশ্বরের রাজ্যের বাধ্য প্রজারা আদমের পাপের সকল মন্দ প্রভাব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হয়ে, সিদ্ধতার দিকে এগিয়ে যাবে। (প্রকাশিত বাক্য ২২:১-৫) পরে শয়তানকে “অল্প কালের নিমিত্ত” মুক্ত করা হবে। (প্রকাশিত বাক্য ২০:৩, ৭) সকল মানুষেরা যারা বিশ্বস্তভাবে যিহোবার ন্যায়সম্মত সার্বভৌমত্বকে সমর্থন করবে তারা অনন্ত জীবন দ্বারা পুরষ্কৃত হবে। সম্পূর্ণরূপে “ক্ষয়ের দাসত্ব হইতে মুক্ত” হওয়ার অব্যক্ত আনন্দ ও স্বস্তি সম্বন্ধে কল্পনা করুন! সুতরাং বাধ্য মানবজাতি “ঈশ্বরের সন্তানগণের প্রতাপের স্বাধীনতা” উপভোগ করবে।—রোমীয় ৮:২১.
১৩. সকল সত্য খ্রীষ্টানদের কেন ঈশ্বর দ্বারা প্রদত্ত সান্ত্বনার প্রয়োজন রয়েছে?
১৩ ইত্যবসরে, আমরা ক্রমাগত যন্ত্রণা ও ব্যথার অধীনে রয়েছি যা শয়তানের দুষ্ট বিধিব্যবস্থার মধ্যে যারা বাস করে, তাদের সকলের জন্য সাধারণ। শারীরিক অসুস্থতা ও মানসিক বিকৃতির বৃদ্ধি বিশ্বস্ত খ্রীষ্টানসহ সকল প্রকার লোকেদের প্রভাবিত করে। (ফিলিপীয় ২:২৫-২৭; ১ থিষলনীকীয় ৫:১৪) এছাড়াও, খ্রীষ্টান হিসাবে আমরা প্রায়ই অন্যায় উপহাস ও তাড়নার সম্মুখীন হই যা শয়তান ‘মনুষ্যদের আজ্ঞা অপেক্ষা ঈশ্বরের আজ্ঞা পালন করার’ জন্য আমাদের উপর নিয়ে আসে। (প্রেরিত ৫:২৯) অতএব, আমাদের যদি শয়তানের জগতের শেষ পর্যন্ত ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করার জন্য ধৈর্য ধরতে হয়, তাহলে আমাদের তাঁর সরবরাহকৃত সান্ত্বনা, সাহায্য ও শক্তির প্রয়োজন।
কোথায় সান্ত্বনা খুঁজে পাওয়া যায়
১৪. (ক) কোন্ প্রতিজ্ঞা যীশু তাঁর মৃত্যুর পূর্ব রাতে করেছিলেন? (খ) ঈশ্বরের পবিত্র আত্মার সান্ত্বনা থেকে সম্পূর্ণরূপে উপকার পেতে হলে আমাদের কী করা প্রয়োজন?
১৪ তাঁর মৃত্যুর পূর্বের রাতে, যীশু তাঁর বিশ্বস্ত প্রেরিতদের কাছে স্পষ্ট করেছিলেন যে তিনি শীঘ্রই তাদের ছেড়ে তাঁর পিতার কাছে ফিরে যাবেন। এটি তাদের উদ্বিগ্ন ও দুঃখিত করেছিল। (যোহন ১৩:৩৩, ৩৬; ১৪:২৭-৩১) তাদের ক্রমাগত সান্ত্বনার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে, যীশু প্রতিজ্ঞা করেছিলেন: “আমি পিতার নিকটে নিবেদন করিব, এবং তিনি আর এক সহায় তোমাদিগকে দিবেন, যেন তিনি চিরকাল তোমাদের সঙ্গে থাকেন।” (যোহন ১৪:১৬, পাদটীকা, NW) যীশু এখানে ঈশ্বরের পবিত্র আত্মা সম্বন্ধে উল্লেখ করেছিলেন, যা তাঁর পুনরুত্থানের ৫০ দিন পরে তাঁর শিষ্যদের উপর বর্ষিত হয়েছিল।a অন্যান্য বিষয়গুলির মধ্যে, ঈশ্বরের আত্মা তাদের পরীক্ষার সময়ে সান্ত্বনা দিয়েছিল এবং ক্রমাগত ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করতে তাদের শক্তিশালী করেছিল। (প্রেরিত ৪:৩১) কিন্তু, এইরূপ সাহায্যকে স্বয়ংক্রিয় হিসাবে দেখা উচিত নয়। এর থেকে পূর্ণ উপকারিতা লাভ করতে হলে, প্রত্যেক খ্রীষ্টানকে সান্ত্বনাদায়ক সাহায্যের জন্য অবশ্যই ক্রমাগত প্রার্থনা করতে হবে যা ঈশ্বর তাঁর পবিত্র আত্মার মাধ্যমে সরবরাহ করেন।—লূক ১১:১৩.
১৫. কয়েকটি উপায় কী যার মাধ্যমে যিহোবা আমাদের সান্ত্বনা প্রদান করেন?
১৫ অন্য একটি উপায়, যার মাধ্যমে ঈশ্বর সান্ত্বনা প্রদান করেন তা হল তাঁর বাক্য, বাইবেল। পৌল লিখেছিলেন: “পূর্ব্বকালে যাহা যাহা লিখিত হইয়াছিল, সে সকল আমাদের শিক্ষার নিমিত্তে লিখিত হইয়াছিল, যেন শাস্ত্রমূলক ধৈর্য্য ও সান্ত্বনা দ্বারা আমরা প্রত্যাশা প্রাপ্ত হই।” (রোমীয় ১৫:৪) এটি আমাদের বাইবেল এবং বাইবেল-ভিত্তিক প্রকাশনায় লিখিত বিষয় সকল নিয়মিত অধ্যয়ন এবং ধ্যান করার প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে দেখায়। এছাড়া আমাদের নিয়মিত খ্রীষ্টীয় সভাগুলিতে যোগদান করাও প্রয়োজন, যেখানে ঈশ্বরের বাক্য থেকে সান্ত্বনাদায়ক চিন্তাধারাগুলি বন্টন করা হয়। এইধরনের সমাবেশগুলির একটি প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে একে অপরকে উৎসাহিত করা।—ইব্রীয় ১০:২৫.
১৬. ঈশ্বরের সান্ত্বনাদায়ক ব্যবস্থাগুলির আমাদের কী করতে পরিচালিত করা উচিত?
১৬ রোমীয়দের কাছে লেখা পৌলের পত্র দেখায় যে ঈশ্বরের সান্ত্বনাদায়ক ব্যবস্থাগুলি ব্যবহার করে কোন্ উত্তম ফলগুলি আমরা লাভ করি। পৌল লিখেছিলেন, “ধৈর্য্যের ও সান্ত্বনার ঈশ্বর এমন বর দিউন, যাহাতে তোমরা খ্রীষ্ট যীশুর অনুরূপে পরস্পর একমনা হও, যেন তোমরা একচিত্তে এক মুখে আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ঈশ্বরের ও পিতার গৌরব কর।” (রোমীয় ১৫:৫, ৬) হ্যাঁ, ঈশ্বরের সান্ত্বনাদায়ক ব্যবস্থাগুলির পূর্ণ সুযোগ গ্রহণের দ্বারা, আমরা আরও বেশি আমাদের সাহসী নেতা, যীশু খ্রীষ্টের মত হব। এটি আমাদের সাক্ষ্যদানের কাজে, সভাগুলিতে, সহবিশ্বাসীদের সাথে ব্যক্তিগত কথোপকথনে এবং প্রার্থনায় ঈশ্বরকে মহিমান্বিত করার জন্য আমাদের মুখকে ব্যবহার করে চলতে পরিচালিত করবে।
কঠোর পরীক্ষার সময়
১৭. কিভাবে যিহোবা তাঁর পুত্রকে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন এবং কী ফলাফলসহ?
১৭ তাঁর যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যুর পূর্ব রাতে যীশু “ব্যাকুল” এবং “দুঃখার্ত” হয়েছিলেন। (মথি ২৬:৩৭, ৩৮) তাই, তিনি তাঁর শিষ্যদের থেকে সামান্য দূরে গিয়ে তাঁর পিতার কাছে সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন। তিনি “আপন ভক্তি প্রযুক্ত উত্তর পাইলেন।” (ইব্রীয় ৫:৭) বাইবেল বর্ণনা করে যে “স্বর্গ হইতে এক দূত [যীশুকে] দেখা দিয়া তাঁহাকে সবল করিলেন।” (লূক ২২:৪৩) যেমন সাহসী এবং পৌরুষদীপ্তভাবে যীশু তাঁর বিরোধীদের মোকাবিলা করেছিলেন, পুত্রকে সান্ত্বনাদানের ঈশ্বরের পদ্ধতি যে সর্বাধিক কার্যকারী ছিল তা তার প্রমাণস্বরূপ।—যোহন ১৮:৩-৮, ৩৩-৩৮.
১৮. (ক) প্রেরিত পৌলের জীবনের কোন্ অংশ বিশেষভাবে পরীক্ষাজনক ছিল? (খ) আমরা কিভাবে পরিশ্রমী, সহানুভূতিশীল প্রাচীনদের সান্ত্বনাকারী হতে পারি?
১৮ প্রেরিত পৌলও কঠোর পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে সময়গুলি অতিবাহিত করেছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, ইফিষে তার পরিচর্যা “অশ্রুপাতের সহিত এবং যিহূদীদের ষড়যন্ত্র হইতে উৎপন্ন নানা পরীক্ষার” দ্বারা চিহ্নিত ছিল। (প্রেরিত ২০:১৭-২০) পরিশেষে, যখন দীয়ানা দেবীর সমর্থকেরা তার প্রচার কাজের কারণে শহরে কোলাহল ব্যাপ্ত করেছিল, পৌল ইফিষ পরিত্যাগ করেছিলেন। (প্রেরিত ১৯:২৩-২৯; ২০:১) পৌল যখন উত্তরে ত্রোয়া শহরের দিকে অগ্রসর হয়েছিলেন, তখন অন্য কিছু বিষয় তার মনকে উদ্বিগ্ন করেছিল। ইফিষে কোলাহলের কিছুদিন পূর্বে, তিনি একটি উদ্বেগজনক সংবাদ পেয়েছিলেন। করিন্থের নতুন মণ্ডলী দলভেদ দ্বারা সংক্রামিত হয়েছিল এবং তারা ব্যভিচার অনুমোদন করছিল। তাই ইফিষ থেকেই, পৌল পরিস্থিতি সংশোধনের আশায় কঠিন অনুযোগ করে একটি পত্র লিখেছিলেন। এটি করা তার জন্য সহজ কাজ ছিল না। পরবর্তী সময়ে তিনি তার দ্বিতীয় পত্রে প্রকাশ করেছিলেন যে, “অনেক ক্লেশ ও মনোবেদনার মধ্যে অনেক অশ্রুপাত করিতে করিতে তোমাদিগকে লিখিয়াছিলাম।” (২ করিন্থীয় ২:৪) পৌলের মত, সহানুভূতিশীল প্রাচীনেরাও সংশোধনযোগ্য পরামর্শ দেওয়া এবং অনুযোগ করাকে সহজ মনে করেন না, অংশতভাবে এই কারণে যেহেতু তারা তাদের নিজস্ব দুর্বলতাগুলি সম্বন্ধে ভীষণভাবে সচেতন। (গালাতীয় ৬:১) অতএব, আমরা যেন সাগ্রহে প্রেমপূর্ণ, বাইবেল-ভিত্তিক পরামর্শের প্রতি সাড়া প্রদান করতে প্রস্তুত থেকে আমাদের মধ্যে যারা নেতৃত্ব নিচ্ছেন তাদের জন্য সান্ত্বনাদায়ক হই।—ইব্রীয় ১৩:১৭.
১৯. কেন পৌল ত্রোয়া থেকে মাকিদনিয়ায় গিয়েছিলেন এবং কিভাবে তিনি পরিশেষে সান্ত্বনা লাভ করেছিলেন?
১৯ ইফিষে থাকাকালীন সময়ে, পৌল করিন্থের ভাইয়েদের শুধুমাত্র পত্রই লেখেননি কিন্তু তাদের সহায়তা করতে এবং পত্রের প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে জানানোর দায়িত্ব দিয়ে তীতকে পাঠিয়েছিলেন। পৌল আশা করেছিলেন যে তীতকে ত্রোয়াতে পাবেন। সেখানে পৌল শিষ্যকরণের উত্তম সুযোগ দ্বারা আশীর্বাদপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। কিন্তু তা তার উদ্বেগের উপশম করতে পারেনি, কারণ তীত তখনও সেখানে পৌঁছাননি। (২ করিন্থীয় ২:১২, ১৩) তাই তিনি তীতের সাথে মিলিত হওয়ার আশায়, মাকিদনিয়ায় যাত্রা করেছিলেন। পৌলের উদ্বিগ্ন অবস্থা তার পরিচর্যায় প্রবল বিরোধিতার দ্বারা আরও বেড়ে গিয়েছিল। তিনি বর্ণনা করেন, “যখন আমরা মাকিদনিয়াতে আসিয়াছিলাম, তখনও আমাদের মাংসের কিছুমাত্র শান্তি ছিল না; কিন্তু সর্ব্বদিকে ক্লিষ্ট হইতেছিলাম; বাহিরে যুদ্ধ, অন্তরে ভয় ছিল। তথাপি ঈশ্বর, যিনি অবনতদিগকে সান্ত্বনা করেন, তিনি তীতের আগমন দ্বারা আমাদিগকে সান্ত্বনা করিলেন।” (২ করিন্থীয় ৭:৫, ৬) পরিশেষে, যখন তীত, পৌলকে তার পত্রের প্রতি করিন্থীয়দের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে বলার জন্য এসে পৌঁছেছিলেন তখন কী স্বস্তিই না তিনি পেয়েছিলেন!
২০. (ক) পৌলের ক্ষেত্রে যেরূপ হয়েছিল, আর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় কী যার মাধ্যমে যিহোবা সান্ত্বনা প্রদান করেন? (খ) পরবর্তী প্রবন্ধে কী বিবেচনা করা হবে?
২০ পৌলের অভিজ্ঞতা আজকের দিনে ঈশ্বরের দাসেদের জন্য সান্ত্বনাদায়ক, যাদের অনেকেই পরীক্ষার সম্মুখীন হন যা তাদের ‘অবনত’ অথবা “হতাশাগ্রস্ত” করে। (ফিলিপস্) হ্যাঁ, ‘সান্ত্বনার ঈশ্বর’ আমাদের ব্যক্তিগত প্রয়োজনগুলি সম্বন্ধে জানেন এবং একে অপরকে সান্ত্বনা দিতে আমাদের ব্যবহার করতে পারেন, ঠিক যেমন পৌল করিন্থীয়দের অনুতপ্ত আচরণ সম্বন্ধে তীতের বিবৃতির মাধ্যমে সান্ত্বনা লাভ করেছিলেন। (২ করিন্থীয় ৭:১১-১৩) আমাদের পরবর্তী প্রবন্ধে, আমরা করিন্থীয়দের প্রতি পৌলের আন্তরিক প্রতিক্রিয়া এবং তা আজকে কিভাবে আমাদের ঈশ্বরের সান্ত্বনার কার্যকারী অংশীদার হতে সাহায্য করতে পারে, সে সম্বন্ধে আলোচনা করব।
[পাদটীকাগুলো]
a প্রথম শতাব্দীর খ্রীষ্টানদের উপর ঈশ্বরের আত্মার অন্যতম প্রধান উল্লেখযোগ্য কাজ ছিল, তাদের ঈশ্বরের দত্তক আধ্যাত্মিক পুত্র এবং যীশুর ভাই হিসাবে অভিষিক্ত করা। (২ করিন্থীয় ১:২১, ২২) এটি শুধুমাত্র খ্রীষ্টের ১,৪৪,০০০ জন শিষ্যদের জন্য সংরক্ষিত। (প্রকাশিত বাক্য ১৪:১, ৩) আজকে সদয়ভাবে বিপুল সংখ্যক খ্রীষ্টানদের পরমদেশ পৃথিবীতে অনন্ত জীবনের আশা দেওয়া হয়েছে। যদিও অভিষিক্ত নয়, তবু তারাও ঈশ্বরের পবিত্র আত্মার সাহায্য ও সান্ত্বনা লাভ করে।
আপনি কি উত্তর দিতে পারেন?
◻ মানবজাতির সান্ত্বনার প্রয়োজন কিভাবে সৃষ্টি হয়েছিল?
◻ যীশু কিভাবে নোহের চেয়ে মহান বলে প্রমাণিত হয়েছেন?
◻ যীশু কেন নিজেকে “বিশ্রামবারের কর্ত্তা” বলেছিলেন?
◻ ঈশ্বর কিভাবে আজকের দিনে সান্ত্বনা প্রদান করেন?
[১০ পৃষ্ঠার মানচিত্র/চিত্র]
পৌল, করিন্থীয়দের সম্বন্ধে তীতের বিবৃতির মাধ্যমে প্রচুর সান্ত্বনা লাভ করেছিলেন
মেসিডোনিয়া
ফিলিপী
গ্রীস
করিন্থ
এশিয়া
ত্রোয়াস
ইফিষাস