বিশ্ব একতা—কিভাবে তা আসবে?
একটি ক্ষতিগ্রস্ত অট্টালিকার মত যেটি এক নির্দয় ভাড়াটিয়ার দ্বারা খুব খারাপভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে, বর্তমান জগৎ ব্যবস্থা কেবলমাত্র একটি জিনিসেরই যোগ্য—নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া ও পুনরায় প্রতিস্থাপন করা। এটি কেবলমাত্র আরেকটি বিশ্বনিন্দক দণ্ডাজ্ঞা কথকের বিবরণী নয়। বাইবেল অনুসারে এটিই হচ্ছে একমাত্র বাস্তবধর্মী দৃষ্টিভঙ্গি। কেন?
বর্তমান জগৎ ব্যবস্থার ভিত্তিগুলি অসুরক্ষিত। সম্পূর্ণ কাঠামো ঘুণপোকা ও ক্ষয়প্রাপ্ত কাঠের দ্বারা ঝাঁঝরা হয়ে পড়েছে। ইস্পাতের কাঠামোতে মরিচা পড়তে শুরু করেছে। ভারবাহক দেওয়ালগুলি দুর্বল হয়ে পড়েছে। ছাদ ধ্বসে পড়ছে। জলের নলগুলিতে ছিদ্র দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ ও বিপজ্জনক। অধিবাসীরা অবিরামভাবে লড়াই করে চলেছে এবং সম্পূর্ণ অট্টালিকাটি বিদ্বেষ পরায়ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। সম্পূর্ণ সম্পত্তি ও তার চতুষ্পার্শ্বস্থ এলাকা কীট-পতঙ্গ দ্বারা ক্ষতিকরভাবে পরিব্যাপ্ত এবং জীবন ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের পক্ষে বিপজ্জনক।
“সমাধির প্রান্তে উপনীত হওয়া”
নিরন্তর রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, লোভ, আগ্রাসন এবং গভীর প্রোথিত উপজাতিগত ও জাতিগত শত্রুতার কারণে “সম্পূর্ণ মানব জাতি” গুইন ডায়ার যেমন বলেন, এক “সমাধির প্রান্তে উপনীত” হয়েছে। সমগ্র জগদ্ব্যাপী দৃঢ়সংকল্প সংখ্যালঘু—সংগঠিত সংঘগুলি, স্বাধীনতা সংগ্রামী, অপরাধী দল, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী এবং অন্যান্যেরা—তাদের নিজেদের স্বার্থপর পরিকল্পনা চরিতার্থ করেছে আর বিশ্বে শান্তি নিয়ে আসার যে কোন সম্ভাবনাকে প্রায় ইচ্ছামত ধ্বংস করতে সক্ষম হচ্ছে বলে মনে হয়। দুর্বৃত্ত ভাড়াটিয়ার মত তারাও অন্যান্য প্রত্যেকের জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলতে পারে।
কিন্তু, অনেক মন্তব্যকারীর মতানুযায়ী কেবলমাত্র ভিন্নমতাবলম্বী দলগুলি অথবা অশাসিত ব্যক্তিবিশেষেরাই বিশ্ব একতার পক্ষে প্রতিরোধকারী নয়। সর্বাপেক্ষা বৃহৎ প্রতিবন্ধকটি হল স্বয়ং জাতি-রাষ্ট্র। যুদ্ধ বিষয়ের লেখক এস. বি. পেন জুনিয়ার বলেন, স্বাধীন জাতিগুলির অস্তিত্ব “এক আন্তর্জাতিক নৈরাজ্যমূলক অবস্থায়” রয়েছে। যা তাদের জাতীয় স্বার্থকে সর্বোত্তমভাবে চরিতার্থ করে, সেটিই শুধু তারা করে থাকে, অন্যান্যদের জন্য তাদের কিছুমাত্র অথবা একেবারেই বিবেচনা নেই। ফলস্বরূপ, ইতিহাসব্যাপী “এক জন অন্যের উপরে তাহার অমঙ্গলার্থে কর্ত্তৃত্ব করে।”—উপদেশক ৮:৯.
সত্য যে, কিছু জাতীয় সরকার তাদের আঞ্চলিক সীমায় এবং কিছু মাত্রায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অন্যায় এবং পীড়নের বিরুদ্ধে সংগ্রামে কিছু পরিমাণ সাফল্য লাভ করেছে। সময়ে সময়ে, তারা কিছু পরিমাণ আন্তর্জাতিক একতাও প্রতিষ্ঠিত করেছে। কিন্তু এমনকি যখন কিছু জাতি এক আগ্রাসী জাতির বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য একত্র হয়েছে, তখনও প্রায়ই এই সন্দেহ থেকে গেছে যে তারা অকৃত্রিমভাবে অন্যদের মঙ্গলের চেয়ে বরঞ্চ নিজেদের স্বার্থ অনুযায়ী কাজ করেছে। বাস্তব বিষয়টি হল যে মানব সরকারগুলির কাছে বিশ্ব অনৈক্যের কোন ব্যাপক, স্থায়ী সমাধান নেই। গুইন ডায়ার উল্লেখ করেন: “জগতের সমস্ত জাতিগুলি, কোন একটি স্বাধীনচেতা দেশের দ্বারা আগ্রাসনকে নিবৃত্ত করবে অথবা শাস্তি দেওয়ার জন্য সংঘবদ্ধ হবে এই ধারণাটি নীতিগত দিক থেকে উত্তম কিন্তু এই আগ্রাসীদের কে নির্ধারণ করবে আর এটিকে বন্ধ করার জন্য হয়ত যে অর্থমূল্য ও জীবনের প্রয়োজন সেটি কে পরিশোধ করবে?”
অবশ্যই, একটি জাতির বিরুদ্ধে অন্য একটি জাতির আগ্রাসন কেবলমাত্র তখনই সম্ভব হয় যখন এর অধিকাংশ নাগরিক সেই আগ্রাসনের বিরোধিতা করে না। ইতিহাস পুনরাবৃত্তভাবে দেখায় যে এটি সাধারণভাবে কিছু ‘স্বাধীনচেতা দেশ’ নয় যাদের নাগরিকেরা তাদের নেতাদের ঠিক অথবা ভুল উভয় ক্ষেত্রেই, সমর্থন করে। বস্তুতপক্ষে, পৃথিবীর অধিবাসীদের অধিকাংশই এটি করে থাকে। যেমন টাইম পত্রিকা বলে যে তারা অন্ধভাবে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের অসংখ্য “মিথ্যাচার, জননেতৃত্ব এবং প্রচার” অনুসরণ করে থাকে।
জাতীয়তাবাদ সেই সমস্ত লোকেদের আবেগকে উত্তেজিত করেছে অন্যথায় যারা যুক্তিবাদী ও সহানুভূতিসম্পন্ন ছিল আর তাদের অন্য জাতির পুরুষ, স্ত্রী ও শিশুদের বিরুদ্ধে হিংস্র অপরাধ করাতে বাধ্য করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ১ম বিশ্বযুদ্ধ সম্বন্ধে উল্লেখ করে ইতিহাসবেত্তা জে. এম. রবার্টস মন্তব্য করেন: “১৯১৪ এর একটি আপাতবিরোধী সত্য হল যে প্রত্যেক দেশের সমস্ত দল, মতবাদ ও জাতির বৃহৎ সংখ্যক লোকেরা মনে হয় যেন স্বেচ্ছায় ও আনন্দের সাথে যুদ্ধে গিয়েছে যেটি খুবই আশ্চর্যজনক।” তখন থেকে লোকেরা কি তাদের শিক্ষণীয় বিষয়টি শিখেছে? না! “অন্ধ জাতিয়তাবাদের” পশু যেমন সাংবাদিক রড ইশার এটিকে বলেছেন, বিশ্ব একতার যে কোন সম্ভাবনাকে ক্রমাগত ধ্বংস করে চলেছে।
বাইরের শক্তিগুলি কার্যকারী
যাইহোক, বিশ্ব একতার পক্ষে এক বৃহত্তর প্রতিবন্ধক রয়েছে। বাইবেল প্রকাশ করে যে বাইরের শক্তিগুলি কার্যকারী। এগুলি শয়তান দিয়াবল ও তার দৃঢ় সমর্থক মন্দ দূত হিসাবে শনাক্তিকৃত হয়েছে। বাইবেল অনুসারে শয়তান “এই যুগের দেব [যে] অবিশ্বাসীদের মন অন্ধ করিয়াছে,” যেন “ঈশ্বরের প্রতিমূর্ত্তি যে খ্রীষ্ট, তাঁহার গৌরবের সুসমাচার-দীপ্তি” তাদের উপর কোনরকম প্রভাব বিস্তার করতে না পারে।—২ করিন্থীয় ৪:৪; প্রকাশিত বাক্য ১২:৯.
নিশ্চিতভাবেই, এটি ব্যক্তিবিশেষকে তার নিজস্ব কাজের জন্য তার যে দায়িত্ব তা থেকে মুক্তি দেয় না। কিন্তু এটি ব্যাখ্যা করে যে কেন মনুষ্য সরকার কখনও এক প্রকৃত একতাবদ্ধ জগৎ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। যতদিন পর্যন্ত শয়তান দিয়াবল অস্তিত্বে আছে সে পুরুষ ও স্ত্রীদের বাইবেল যাকে “মাংসের কার্য্য” বলে অভিহিত করে তা উৎপন্ন করার জন্য প্রভাবিত করবে যার অন্তর্ভুক্ত “নানা প্রকার শত্রুতা, বিবাদ, প্রতিযোগিতা ও বিচ্ছিন্নতা।”—গালাতীয় ৫:১৯-২১.
বিশ্ব সরকার
তাহলে সমাধানটি কী? প্রায় সাতশ বছর আগে সুপরিচিত ইতালীয় কবি ও দার্শনিক দান্তে উত্তরটির প্রতি ইঙ্গিত করেছিলেন। তিনি যুক্তি করেছিলেন যে কেবলমাত্র বিশ্ব সরকার মানবজাতির জন্য শান্তি ও একতাকে নিশ্চিত করতে পারে। অনেক লোকেদের কাছে যে কোন প্রকারের বিশ্ব সরকারের আশা সাধারণভাবে এক মায়া, সেটি এমন কিছু নয় যার উপর প্রকৃত প্রত্যয় স্থাপন করা যেতে পারে। পূর্বোল্লিখিত গ্রন্থকার পেন উপসংহার করেন ‘বিশ্ব সরকার, ইতিহাসের এই পর্যায়ে প্রশ্নাতীত।’ কেন? কারণ যে কোন সফল বিশ্ব সরকারকেই দুটি বিষয় সম্বন্ধে নিশ্চয়তা দিতে হবে যা সম্পূর্ণভাবে মানুষের ক্ষমতার বাইরে বলে মনে হয় আর সেটি হল “বিশ্ব সরকার যুদ্ধের অবসান নিয়ে আসবে এবং বিশ্ব সরকার বিশ্ব পীড়ক হবে না।”
এটি নিশ্চিত যে কোন মনুষ্য সরকার কখনও এটি করতে সমর্থ হবে না। কিন্তু, যীশু খ্রীষ্টের পরিচালনায় ঈশ্বরের রাজ্য যুদ্ধকে অপসারিত করতে পারে এবং এটি তা করবে। (গীতসংহিতা ৪৬:৯, ১০; মথি ৬:১০) অবশ্যই এটি সমস্ত যুদ্ধবিলাসীদের অপসারিত করবে। ভাববাদী দানিয়েল ইঙ্গিত করেন যে পৃথিবীতে মনুষ্য শাসনের জন্য ঈশ্বরের নিরূপিত সময় শেষ হওয়ার পর মনুষ্য শাসন “কর্দ্দমে মিশ্রিত লৌহ” এর মত ‘বিভক্ত রাজ্য বুঝাবে।’ (দানিয়েল ২:৪১-৪৩) এর ফল হবে রাজনৈতিক বিভেদ ও অপরিহার্য দ্বন্দ্ব। তবুও, দানিয়েল বলেন যে ঈশ্বরের রাজ্য “ঐ সকল [জাতিয়তাবাদী ও অনৈক্যবদ্ধ] রাজ্য চূর্ণ ও বিনষ্ট” করবে অর্থাৎ সরকারগুলিকে তিনি যীশু খ্রীষ্টের পরিচালনায় তাঁর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত রাজ্য দ্বারা স্থানান্তরিত করবেন।—দানিয়েল ২:৪৪.
লোকেদের জন্য একটি উত্তম আবহাওয়া সৃষ্টি করার কোন সার্থকতা থাকবে না, যদি ক্রমাগতভাবে লুণ্ঠনকারী ব্যক্তিবিশেষেরা পৃথিবীতে বসবাস করতে থাকে, যারা অন্য লোকেদের জীবন দুঃসহ করেই চলবে। যাইহোক, “দুরাচারগণ উচ্ছিন্ন হইবে।” (গীতসংহিতা ৩৭:১, ২, ৯, ৩৮; হিতোপদেশ ২:২২) সুতরাং, যারা ইচ্ছাকৃতভাবে ঈশ্বরের মানগুলিকে প্রত্যাখ্যান করে অথবা যারা ঐক্যনাশক জাগতিক কর্তৃপক্ষদের সমর্থন করে, খ্রীষ্ট তাদের সকলকে অপসারিত করবেন। তিনি তাদের সকলকে ধ্বংস করবেন যারা এই গ্রহের সৌন্দর্যহানি করছে। “পৃথিবীনাশকদিগকে নাশ করিবার” সম্বন্ধে ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেন।—প্রকাশিত বাক্য ১১:১৮.
এটি কোন একপ্রকার বিশ্ব পীড়ন হবে না। যখন তিনি উত্তমদের থেকে মন্দদের পৃথক করবেন তখন যীশু খ্রীষ্ট “সত্যের ও ধার্ম্মিকতাযুক্ত নম্রতার পক্ষে” কার্য করবেন। (গীতসংহিতা ৪৫:৩, ৪; মথি ২৫:৩১-৩৩) এটি কখনই নেতিবাচক ও ধ্বংসাত্মক এবং ক্ষমতার অপব্যবহার হবে না। না! এটি সেই রকম হবে না যে কিছু লোভী সম্পত্তি উন্নয়নকারীর দ্বারা একটি সুন্দর পুরনো অট্টালিকা ধ্বংস হতে চলেছে। বরং এটি এই রকমই হবে যে, যেন এক নোংরা বস্তি অঞ্চলকে ধ্বংস করা হচ্ছে যাতে করে একটি মনোরম পরিষ্কার আবহাওয়া সৃষ্টি করা যেতে পারে।
কিন্তু সেই বাইরের শক্তি সম্বন্ধে কী যেটি অতীতে এইধরনের অনৈক্যের কারণস্বরূপ হয়েছে? তাদের কি এই নতুন ব্যবস্থায় অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে যাতে করে এর বসবাসকারীরা সহ বাসিন্দাদের সাথে সংঘর্ষের দ্বারা পুনরায় ধ্বংসাত্মক প্রক্রিয়া শুরু করে আর প্রত্যেকের জন্য জীবন দুঃসহ করে তোলে? অবশ্যই না। এই উচ্ছেদ আর নবরূপদান চূড়ান্ত ও সম্পূর্ণ। “দ্বিতীয় বার সঙ্কট উপস্থিত হইবে না।”—নহূম ১:৯.
বাইবেল শয়তানের চূড়ান্ত ধ্বংসকে, জঞ্জালকে পুড়িয়ে ফেলার সাথে তুলনা করে। এটি বলে যে, “[পৃথিবীর অধিবাসীদের] ভ্রান্তিজনক দিয়াবল ‘অগ্নি ও গন্ধকের’ হ্রদে নিক্ষিপ্ত হইল।” (প্রকাশিত বাক্য ২০:১০) কতই না শক্তিশালী এক প্রতীক! কল্পনা করুন যে ধ্বংসকে কেবলমাত্র সাধারণভাবে কোন ছোট ভস্মীকরণ যন্ত্রের সাথে নয়, যেটির ক্ষমতা সীমিত কিন্তু একটি সম্পূর্ণ অগ্নি হ্রদের সাথে তুলনা করা হয়েছে যেটি মন্দ ও কলুষিত সমস্ত কিছুর অস্তিত্বকে শেষ ও অপসারিত করবে। মানুষ অথবা মন্দ দূত কেউই এমন কিছু করে চলতে অনুমতি পাবে না যা বিশ্বের নিয়মকে আঘাত করে, যা ঠিক ও ভুল সম্বন্ধে ঈশ্বরের মানগুলিকে লঙ্ঘন করে অথবা যা তাদের সহমানবদের ব্যথার কারণ হয়। একতার সমস্ত ধ্বংসকারী চলে যাবে!—গীতসংহিতা ২১:৯-১১; সফনিয় ১:১৮; ৩:৮.
সমস্ত জাতি থেকে আগত এক ঐক্যবদ্ধ লোক
এই বৃহৎ পরিষ্কারের কাজ থেকে রক্ষাপ্রাপ্তেরা “প্রত্যেক জাতির ও বংশের ও প্রজাবৃন্দের ও ভাষার বিস্তর লোক” দ্বারা গঠিত হবে। জাতীয় এবং উপজাতিগত ভিন্নতা তাদের বিভক্ত করবে না। তারা শান্তিপূর্ণ একতায় সম্মিলিতভাবে বাস করতে শিখবে। (যিশাইয় ২:২-৪) এমনকি তার চেয়েও বিস্ময়কর বিষয়টি হল যে, তারা এই গ্রহের অতীতের বাসিন্দাদের সাথে মিলিত হবে যারা পুনরুত্থানের অপূর্ব ব্যবস্থার দ্বারা এই পরিষ্কৃত পৃথিবীর অধিকারী হওয়ার জন্য পুনরুদ্ধারকৃত হবে।—যোহন ৫:২৮, ২৯.
আপনি কি এইধরনের এক বিশ্বে বাস করতে চান? কেবলমাত্র যারা ঈশ্বরের চাহিদাগুলির প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করবে তারা সেটি পাবে আর তাঁর চাহিদাগুলি সম্বন্ধে বাইবেলে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে। (যোহন ১৭:৩; প্রেরিত ২:৩৮-৪২) ঈশ্বর আপনার কাছ থেকে কী চান তা শেখার জন্য আপনাকে সাহায্য করতে যিহোবার সাক্ষীরা খুশি হবে যাতে করে আপনি এক প্রকৃত ঐক্যবদ্ধ বিশ্বে অনন্তকাল জীবন উপভোগ করার আশা রাখতে পারেন।
[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]
যীশু খ্রীষ্টের পরিচালনাধীনে সরকার একটি ঐক্যবদ্ধ বিশ্বের নিশ্চয়তা দেয়