বাইবেলের দৃষ্টিভঙ্গি
বিশ্বাসঘাতকতার পরে একটি বিবাহ কি রক্ষা করা যেতে পারে?
“আর আমি তোমাদিগকে কহিতেছি, ব্যভিচার দোষ ব্যতিরেকে যে কেহ আপন স্ত্রীকে পরিত্যাগ করিয়া অন্যাকে বিবাহ করে, সে ব্যভিচার করে; এবং যে ব্যক্তি সেই পরিত্যক্তা স্ত্রীকে বিবাহ করে, সেও ব্যভিচার করে।”—মথি ১৯:৯.
এই বাক্যগুলির দ্বারা যীশু খ্রীষ্ট একজন খ্রীষ্টানকে এক অবিশ্বস্ত সাথীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ বেছে নেওয়ার অনুমতি প্রদান করেছিলেন।a কিন্তু, কী হবে যদি নির্দোষ সাথী বিবাহ টিকিয়ে রাখতে চায় এবং দম্পতিটি তাদের সম্পর্ককে পুনর্গঠন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে? দম্পতিটির জন্য সম্মুখে কোন্ প্রতিদ্বন্দ্বিতাগুলি রয়েছে এবং কিভাবে তারা সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতাগুলি সফলতার সাথে মোকাবিলা করতে পারে? আসুন আমরা দেখি বাইবেল কিভাবে এই প্রশ্নগুলির উত্তর দিতে সাহায্য করে।
একটি গৃহ ভেঙ্গে যায়
আমাদের অবশ্যই প্রথমে বিশ্বাসঘাতকতার কারণে সংঘটিত ক্ষতির পরিমাণ বুঝতে হবে। যীশু খ্রীষ্ট যেমন ব্যাখ্যা করেছিলেন, বিবাহের উদ্যোক্তা স্থির করেন যে স্বামী এবং স্ত্রী “আর দুই নয়, কিন্তু একাঙ্গ।” তিনি আরও বলেছিলেন: “অতএব ঈশ্বর যাহার যোগ করিয়া দিয়াছেন, মনুষ্য তাহার বিয়োগ না করুক।” হ্যাঁ, বিবাহ মানুষকে অবিচ্ছেদ্যরূপে যুক্ত করার জন্য বিন্যস্ত। যখন এক ব্যক্তি পারদারিকতার মাধ্যমে বিবাহ অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তখন যন্ত্রণাদায়ক পরিণতি উদ্ভূত হয়।—মথি ১৯:৬; গালাতীয় ৬:৭.
এর প্রমাণ হল নিদারুণ বেদনা যা নির্দোষ সাথী ভোগ করে থাকে। পারদারিকতার ফলাফলকে প্রবল সামুদ্রিক ঝড়ের সাথে তুলনা করা যেতে পারে যা গৃহগুলিকে চূর্ণবিচূর্ণ করে। ড: শেরলি পি. গ্লাস মন্তব্য করেছিলেন: “যাদের সাথে আমি কাজ করেছি এমন কয়েকজন রোগী আমাকে বলেছিল যে তাদের সাথীর মৃত্যু সহ্য করা বরঞ্চ তাদের পক্ষে অধিকতর সহজ হত।” এটি সত্য যে, কয়েকজন যারা মৃত্যুতে তাদের সাথীদের হারিয়েছে হয়ত ভিন্নমত পোষণ করতে পারে। কিন্তু, এটি স্পষ্ট যে পারদারিকতা অতি যন্ত্রণাদায়ক ব্যথার উদ্রেক করে। কিছু লোক কখনই বিশ্বাসঘাতকতাকে সম্পূর্ণরূপে মেনে নিতে পারে না।
এইরূপ যন্ত্রণার পরিপ্রেক্ষিতে, একজন হয়ত জিজ্ঞাসা করতে পারে, ‘পারদারিকতা কি একটি বিবাহকে ভেঙ্গে দেয়?’ অপরিহার্যভাবে নয়। পারদারিকতা সম্বন্ধে যীশুর বক্তব্য দেখায় যে বিশ্বস্ত সাথীর বিবাহ বিচ্ছেদ বেছে নেওয়ার শাস্ত্রীয় অধিকার আছে কিন্তু তা করতে বাধ্য নয়। কিছু দম্পতি প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করার মাধ্যমে যা ভগ্ন হয়েছে তা পুনর্গঠন এবং শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে—যদিও কোন কিছুই ব্যভিচারকে অনুমোদন করে না।
অবশ্যই, বৈবাহিক সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করা উত্তম হবে যখন উভয় সাথী একে অপরের প্রতি বিশ্বস্ত থাকে। কিন্তু, যখন বিশ্বাসঘাতকতা ঘটে, তখনও কিছু নির্দোষ সাথী বিবাহ টিকিয়ে রাখতে চায়। কল্পিত চিন্তাধারার উপর ভিত্তি করা এইরূপ সিদ্ধান্তের চেয়ে বরঞ্চ, নির্দোষ সাথীর পরিণতিগুলি বিবেচনা করা উচিত। সে সম্ভবত তার সন্তানদের প্রয়োজন এবং সেইসাথে তার নিজের আধ্যাত্মিক, আবেগগত, শারীরিক এবং আর্থিক প্রয়োজনগুলির প্রতি মনোযোগ দেবে।b তার বিবাহ সংরক্ষিত করা যেতে পারে কি না তা বিবেচনা করার ক্ষেত্রেও তাকে বিজ্ঞ হতে হবে।
বিবাহ কি সংরক্ষণযোগ্য?
প্রবল সামুদ্রিক ঝড়ের দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি গৃহ পুনর্গঠন করার পদক্ষেপ গ্রহণের পূর্বে, এটি পুনঃস্থাপিত করা যাবে কি না সেই বিষয়টি একজন নির্মাতার অবশ্যই নির্ধারণ করতে হবে। অনুরূপভাবে, একটি সম্পর্ক যা বিশ্বাসঘাতকতার দ্বারা চূর্ণবিচূর্ণ হয়েছে তা পুনর্গঠন করার প্রচেষ্টার পূর্বে, এক দম্পতি—বিশেষভাবে বিশ্বস্ত সাথী—বিবাহে পুনঃস্থাপিত অন্তরঙ্গতা এবং আস্থা রাখার সম্ভাবনা সম্বন্ধে বাস্তবানুগ মূল্যনির্ধারণ করতে চাইবে।
দোষী সাথী আন্তরিক অনুতাপ দেখায় কি না অথবা পরিবর্তে, এখনও “মনে মনে” ব্যভিচার করছে কি না সেই বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। (মথি ৫:২৭, ২৮) যদিও সে পরিবর্তিত হওয়ার প্রতিজ্ঞা করে, তবুও সে কি তার অনৈতিক সম্পর্ক তৎক্ষণাৎ শেষ করতে দ্বিধাগ্রস্ত? (যাত্রাপুস্তক ২০:১৪; লেবীয় পুস্তক ২০:১০; দ্বিতীয় বিবরণ ৫:১৮) সে কি এখনও অন্য নারীদের দিকে তাকায়? সে কি তার পারদারিকতার জন্য তার স্ত্রীকে দোষারোপ করে? যদি তাই হয়, তবে বিবাহের প্রতি আস্থা পুনঃস্থাপনের প্রচেষ্টাগুলি সফল হওয়ার অনুপযোগী। অপরপক্ষে, যদি সে অবৈধ সম্পর্ক শেষ করে, তার অপরাধের দায় স্বীকার করে এবং দেখায় যে সে বিবাহ পুনর্গঠন করতে সম্পূর্ণভাবে দৃঢ়সংকল্পিত, তখন তার স্ত্রী হয়ত আশার ভিত্তি খুঁজে পেতে পারে যে প্রকৃত আস্থা একদিন পুনঃস্থাপিত হতে পারবে।—মথি ৫:২৯.
এছাড়াও, বিশ্বস্ত সাথী কি ক্ষমা করতে পারবে? এর অর্থ নয় যে যা ঘটেছে সেই বিষয়ে সে তার গভীর বেদনার অনুভূতি প্রকাশ করতে পারবে না অথবা সে ভান করবে যে কোন কিছুই পরিবর্তিত হয়নি। এর অর্থ হল যে সে যথাসময়ে, গভীর অসন্তুষ্টি ধরে না রাখার জন্য, প্রবলভাবে চেষ্টা করবে। এইরূপ ক্ষমার জন্য সময় লাগে কিন্তু তা এক দৃঢ় ভিত্তি স্থাপনে সাহায্য করতে পারে যার উপর বিবাহ পুনর্গঠিত হয়।
“ধ্বংসাবশেষ” পরিষ্কার করা
বিশ্বস্ত সাথী তাদের বিবাহ রক্ষা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর, এক দম্পতি হয়ত পরবর্তী কোন্ পদক্ষেপগুলি নিতে পারে? ঠিক যেমন এক প্রবল সামুদ্রিক ঝড়ের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত গৃহের চতুর্দিকের ধ্বংসাবশেষ অবশ্যই সরাতে হয়, তেমনি বিবাহের চতুর্দিকে পরিবেষ্টিত “ধ্বংসাবশেষ” অবশ্যই পরিষ্কার করতে হবে। এটি ব্যাপকভাবে করা যেতে পারে যদি দম্পতিটি একে অপরের প্রতি তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে। হিতোপদেশ ১৫:২২ পদ বলে: “মন্ত্রণার অভাবে সংকল্প সকল ব্যর্থ হয়।” যে ইব্রীয় শব্দ ‘মন্ত্রণা’ হিসাবে অনুবাদিত হয়েছে সেটি অন্তরঙ্গতাকে ইঙ্গিত দেয় এবং গীতসংহিতা ৮৯:৭ পদে “অন্তরঙ্গ দল” (NW) অনুবাদ করা হয়। অতএব, এটি কেবল ভাসা ভাসা কথোপকথন নয়, বরঞ্চ আন্তরিক এবং উষ্ণ ভাববিনিময়কে অন্তর্ভুক্ত করে যেখানে উভয় পক্ষ তাদের গভীর অনুভূতি প্রকাশ করে।—হিতোপদেশ ১৩:১০.
উদাহরণস্বরূপ, কিছু ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত সাথী হয়ত তার স্বামীকে অতিরিক্ত প্রশ্নাদি জিজ্ঞাসা করতে পারে। কিভাবে বিষয়টি শুরু হয়েছিল? কত দিন ধরে এটি চলেছিল? আর কারা এই সম্বন্ধে জানে? এটি সত্য যে, এই বিষয়গুলি আলোচনা করা দম্পতিটির জন্য কষ্টদায়ক হবে। কিন্তু, বিশ্বস্ত সাথী হয়ত আস্থার পুনঃস্থাপনে এইরূপ জ্ঞানকে প্রয়োজনীয় বলে মনে করতে পারে। যদি তাই হয়, তবে অবিশ্বস্ত সাথীর সৎ এবং বিবেচনাপূর্ণভাবে উত্তর দেওয়া উত্তম হবে। তার বিষয়গুলি প্রেমময় এবং দয়াপূর্ণভাবে ব্যাখ্যা করা উচিত, মনে রাখা উচিত যে এইরূপ মতবিনিময়ের উদ্দেশ্য উপশম করা, আঘাত করা নয়। (হিতোপদেশ ১২:১৮; ইফিষীয় ৪:২৫, ২৬) যা ঘটেছে সেই সম্বন্ধে যখন তারা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করবে তখন উভয়েরই বিচক্ষণতা, আত্ম-সংযম ব্যবহার করতে এবং সহানুভূতিপূর্ণভাবে শুনতে হবে।c—হিতোপদেশ ১৮:১৩; ১ করিন্থীয় ৯:২৫; ২ পিতর ১:৬.
যারা যিহোবার সাক্ষী তারা হয়ত মণ্ডলীর প্রাচীনদের সহযোগিতার জন্য অনুরোধ করতে পারেন। অবশ্যই, খ্রীষ্টানদের গুরুতর পাপ যেমন পারদারিকতা, প্রাচীনদের নিকটে অবিলম্বে স্বীকার করতে হবে, যারা দম্পতিটির এবং মণ্ডলীর আধ্যাত্মিক কল্যাণের বিষয়ে উদ্বিগ্ন। এটি হতে পারে যে সে যখন প্রাচীনদের সম্মুখীন হয়েছিল, ব্যভিচারী প্রকৃত অনুতাপ দেখিয়েছিল এবং তা করার দ্বারা মণ্ডলীতে থাকার অনুমতি পেয়েছিল। এইরূপ ক্ষেত্রে, প্রাচীনেরা উভয় সাথীকে ক্রমাগত সহযোগিতা করতে পারেন।—যাকোব ৫:১৪, ১৫.
পুনর্গঠন
দম্পতিটি যতদূর সম্ভব তাদের অনুভূতিগুলি স্থির করার পর, তারা তাদের বিবাহের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি পুনর্গঠন করার এক উত্তম অবস্থানে থাকে। আন্তরিক ভাববিনিময় ক্রমাগত প্রয়োজন হবে। যেখানে দুর্বলতাগুলি প্রকাশ পায়, সেখানে অবশ্যই উপযুক্ত পরিবর্তন করতে হবে।
প্রধানত, দোষী সাথীর পরিবর্তন করার প্রয়োজন হবে। কিন্তু, বিশ্বস্ত সাথীকে অবশ্যই বিবাহের দুর্বল ক্ষেত্রগুলিকে সবল করার জন্য তার ভূমিকা পালন করতে হবে। এটি বোঝায় না যে পারদারিকতা তার দোষ ছিল বা এটিকে প্রশ্রয় দেওয়া যেতে পারে—এইরূপ একটি পাপ করার কোন যুক্তিপূর্ণ অজুহাত নেই। (তুলনা করুন আদিপুস্তক ৩:১২; ১ যোহন ৫:৩.) এর সাধারণ অর্থ হল যে হয়ত বিবাহে সমস্যা থেকেছে যা সমাধানের প্রয়োজন হয়। পুনর্গঠন হল যৌথ কার্যক্রম। পারস্পরিক মূল্য এবং লক্ষ্যগুলিকে সবল করার কি কোন প্রয়োজন আছে? আধ্যাত্মিক কার্যাবলিকে কি উপেক্ষা করা হয়েছে? অত্যধিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিবাহ পুনর্গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দুর্বলতা আবিষ্কার করার এই প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করা অত্যন্ত দরকার।
রক্ষণাবেক্ষণ
এমনকি একটি সুনির্মিত গৃহের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন। তাহলে, এক পুনর্গঠিত সম্পর্ক বজায় রাখতে এটি কতই না গুরুত্বপূর্ণ। দম্পতিটি তাদের নতুন সিদ্ধান্তে অটল থাকার দৃঢ়সংকল্পকে নষ্ট করার জন্য অবশ্যই সময় অতিবাহিত হওয়াকে অনুমোদন করবে না। যদি তারা গৌণ প্রতিবন্ধকতাগুলির সম্মুখীন হয়, যেমন পুনরায় অপর্যাপ্ত ভাববিনিময়ে লিপ্ত হয়, তবে নিরুৎসাহিত হওয়ার চেয়ে বরঞ্চ, তাদের অবিলম্বে পূর্বের অবস্থানে ফিরে যাওয়া এবং ক্রমাগত সম্মুখে এগিয়ে যাওয়া উচিত।—হিতোপদেশ ২৪:১৬; গালাতীয় ৬:৯.
সর্বোপরি, স্বামী ও স্ত্রীর তাদের আধ্যাত্মিক তালিকাকে সর্বাগ্রে স্থান দেওয়া উচিত, অন্য কোন কার্যাবলি দ্বারা এটির বা তাদের বিবাহের, গুরুত্ব লাঘব করাকে অনুমোদন করা উচিত নয়। গীতসংহিতা ১২৭:১ পদ বলে: “যদি সদাপ্রভু গৃহ নির্ম্মাণ না করেন, তবে নির্ম্মাতারা বৃথাই পরিশ্রম করে।” এছাড়াও, যীশু সতর্ক করেছিলেন: “যে কেহ আমার এই সকল বাক্য শুনিয়া পালন না করে, তাহাকে এমন এক জন নির্ব্বোধ লোকের তুল্য বলিতে হইবে, যে বালুকার উপরে আপন গৃহ নির্ম্মাণ করিল। পরে বৃষ্টি নামিল, বন্যা আসিল, বায়ু বহিল, এবং সেই গৃহে আঘাত করিল, তাহাতে তাহা পড়িয়া গেল, ও তাহার পতন ঘোরতর হইল।”—মথি ৭:২৪-২৭.
হ্যাঁ, বাইবেলের নীতিগুলি প্রয়োগ করা কঠিন বলে যদি সেগুলিকে উপেক্ষা করা হয়, তবে বিবাহ বিশ্বস্ততার পরবর্তী ঝটিকাপূর্ণ পরীক্ষায় অরক্ষিত থেকে যাবে। কিন্তু, যদি স্বামী এবং স্ত্রী সমস্ত বিষয়ে বাইবেলের মানগুলিকে ধরে রাখে, তবে তাদের বিবাহে ঐশিক আশীর্বাদ থাকবে। এছাড়াও তাদের বৈবাহিক বিশ্বস্ততায় সর্বাধিক জোরাল উদ্দীপনাটি থাকবে—তা হল বিবাহের উদ্যোক্তা, যিহোবা ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করার আকাঙ্ক্ষা।—মথি ২২:৩৬-৪০; উপদেশক ৪:১২.
[পাদটীকাগুলো]
a কেন একজন ব্যক্তি পারদারিক সাথীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ বেছে নিতে পারে তার অনেক যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে। এই বিষয়ের উপর বিস্তারিত আলোচনার জন্য, সচেতন থাক! (ইংরাজি), আগস্ট ৮, ১৯৯৫ সংখ্যায় “বাইবেলের দৃষ্টিভঙ্গি: ব্যভিচার—ক্ষমা করা অথবা ক্ষমা না করা?” নামক প্রবন্ধটি দেখুন।
b আমরা অবিশ্বস্ত সাথীকে পুরুষ হিসাবে উল্লেখ করেছি। একটি তালিকা গণনা করে যে বিশ্বাসঘাতকতার ক্ষেত্রে পুরুষদের হার নারীদের হারের দ্বিগুণ। কিন্তু, যখন নির্দোষ সাথী খ্রীষ্টীয় পুরুষ হয় তখন আলোচিত নীতিগুলি সমভাবে প্রযোজ্য।
c উত্তম শ্রবণের উপর তথ্যের জন্য, সচেতন থাক! (ইংরাজি), জানুয়ারি ২২, ১৯৯৪, পৃষ্ঠা ৬-৯ এবং ডিসেম্বর ৮, ১৯৯৪, পৃষ্ঠা ১০-১৩ দেখুন।